চশমা ভুলে-মাথায় তুলে,
দেখনু ছেলের বই খাতা,
কি লিখেছিস হিজিবিজি,
আবোল-তাবোল নাই মাথা।
এই হয়েছে হাতের লেখা,
ঝাপসা কিরম নিষ্প্রভ,
এই লেখাতে পাস করে কেউ?
বল তো দেখি তুই বাবা।
হাতের লেখা লিখতে গেলে,
জুত করে সেই বসতে হয়,
লেখার আগে সব কথাকে,
গুছিয়ে মাথায় ঘষতে হয়।
নাক বরাবর কলম ধরে,
প্রশ্ন লেখ গুছিয়ে তায়,
জল খাব আর খেলতে যাব,
করলে পড়া গুলিয়ে যায়।
এদিক ওদিক ছট-ফটি তোর
কিম্বা ঘুমেই চিৎপটাং,
লেখার আগে বসতে শেখো
এক্কেবারে পিঠ-সটাং।
পড়তে হবে মন দিয়ে সব
রাখবি মাথায় গাঁঠ বেঁধে,
তবে লেখা সহজ হবে
নইলে মর শেষ কেঁদে।
এই না বলে ভাষণ দিয়ে,
দুলিয়ে মাথা উঠতে যাই,
চশমা হঠাৎ পড়ল নাকে,
স্পষ্ট লেখা দেখতে পাই।
বেশ লিখেছে হাতের লেখা,
পড়ায় ছেলে মন্দ নয়,
বৃথাই দিলাম লেখার ভাষণ,
আমার সাথেই এমনি হয়।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি -
জন্ম ও বাল্যকাল কেটেছে সিন্দ্রি,ঝাড়খণ্ডে। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যচর্চায় বেশ রুচি ছিল। ১২ বছর বয়স থেকেই স্বরচিত কবিতা সিন্দ্রির অনেক মঞ্চে আবৃত্তি করে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। পেশাগতভাবে একজন Fashion Designer ও artist দেশ-বিদেশে জয়দেববাবুর আঁকা অনেক ছবি বিক্রিও হয়েছে । হ্যাবিটেড সেন্টারে solo art exhibition ও হয়েছে। বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য " রূপান্তরের আলো "ছোট বাচ্চাদের ছড়ার বই "ভেলকি" ইত্যাদি। ২০০২ থেকেই কর্মসূত্রে ও পড়াশোনার সূত্রে দিল্লিতেই আছেন।
তিনি ভ্রমণবিলাসী এবং খাদ্য রসিক একজন মানুষ।