কলিংবেল টিপে জয়িতা ভাবছিল
কাজলদির বদলে যদি মাসীমা দরজা খোলেন তাহলেই মুস্কিল। বকবক করে মাথা ধরিয়ে দেবেন
মাসীমা। একবার শুরু হলে আর থামতে চান না।
মাসীমাই দরজা খুললেন।
জয়িতা প্রমাদ গুনল।
বলল---মাসীমা কাজলদি কি বাড়িতে আছে?
---আয় আয়। বোস,বোস্। তোর কাজলদি এই এখুনি এসে পড়বে। এই পাড়ার মন্দিরেই গেছে। যাবে আর আসবে। তুই এলি কতদিন পর। পূজোর পর বোধহয় এই প্রথম। ঘরে কিছু নেই। তোকে কি যে দিই। একটু আগে এলে ভাল করতিস। কেন মাসীমা? এই একটু আগে, এক ডিবে চানাচুর সব ফেলে দিলাম যে!
লেখিকার পরিচিতিঃ
যদিও জন্ম পলাশীপাড়া, নদিয়া জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, কিন্তু তাঁর শৈশব, বেড়ে ওঠা, শিক্ষা-দীক্ষা সব এলাহাবাদেই। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থশাস্ত্রে এম.এ.। ১৯৮১ সালে এলাহাবাদ থেকে একটি ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা "তূণীর" প্রকাশ করতেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় (দেশে ও বিদেশে) লেখা প্রকাশিত হয়। হিন্দী ও ইংরাজিতেও লেখা প্রকাশিত হয়েছে। পানামার কবি, রোখেলিও সিনান এর দশটি স্প্যানিশ কবিতা বাংলায় অনুবাদ করেছেন। 'অনুশীলন পত্রিকা'সুইডেন থেকে রাইটার্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৩ সালে পেয়েছেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছে "ঈশ্বর ও মানুষ" ( অণু গল্প ও ছোট গল্প সংকলন)। লেখিকার অভিজ্ঞতাজাত কোভিড সংক্রান্ত বই "কোভিড-১৯ আমার জীবন আমার লড়াই" গাঙচিল থেকে প্রকাশিত হয়েছে, ডিসেম্বর ২০২২ সালে।