নিয়তির ফাঁদে বন্ধনে বাঁধা
চড়ি পড়ি ধাতু যন্ত্রে,
শহরের ভিড়ে ঠেলা খায় প্রাণ
পাংশু তো পথ
প্রান্তে।
নাইরে হেথায় পলাশের বন
কোকিল ডাকে না শাঁখে,
পাইনে খবর বসন্ত কখন
ফিরে গেছে কোন ফাঁকে।
আসেনা হেথায় মৌমাছি হায়,
প্রজাপতি দলে দলে,
মানব বিধাতা প্লাস্টিক দিয়ে,
রহিয়াছে ফুল ফলে।
দিক অম্বরে কালো ধোঁয়া মাখা,
সূর্যের আলো করে না পাতায়
নৃত্য,
গর্বের বোঝা জীবিকার খোঁচা,
জর্জর জর্জর করে চিত্ত।
সভ্যতা হেথা কৃত্রিম সবই
হাসি ঝরে চালাকির চাপে,
ঘোর অমানিশা প্রতি নিমেষের
ভারে
হু হু করে হৃদ কাঁপে।
নিয়তির ফাঁদে বন্ধনে বাঁধা,
ক্রন্দন চাপা শহরে,
একে অপরের ঘাড়ে ফ্ল্যাট
বাড়ি চড়ে,
প্রাণ খোঁজে প্রাণী কথা
কহিবারে।
তাইতো পুষেছি কুকুর বিড়াল
পাখি কটা আছে খাঁচাতে,
ওরা জানে তাই পোষ মানে
কথা কয় আরেক কয়েদি
বাঁচাতে।
এই শহরের বুকে প্রকৃতি হারা
বেঁচে আছি যারা কারাগার গৃহে
বন্দী,
নিমেষে নিমেষ হয়ে আসে শেষ,
প্রতি পলে করি যাতনার সাথে
সন্ধি ।
কবি পরিচিতি -
জন্ম ও
বাল্যকাল কেটেছে সিন্দ্রি,ঝাড়খণ্ডে। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যচর্চায় বেশ রুচি ছিল। ১২ বছর বয়স থেকেই
স্বরচিত কবিতা সিন্দ্রির অনেক মঞ্চে আবৃত্তি করে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। পেশাগতভাবে একজন Fashion Designer ও artist দেশ-বিদেশে জয়দেববাবুর আঁকা অনেক ছবি বিক্রি ও
হয়েছে । হ্যাবিটেড সেন্টারে solo art exhibition ও হয়েছে। বেশ কিছু বই প্রকাশিত
হয়েছে। উল্লেখযোগ্য " রূপান্তরের আলো "ছোট বাচ্চাদের ছড়ার বই
"ভেলকি" ইত্যাদি। ২০০২ থেকেই কর্মসূত্রে ও পড়াশোনার সূত্রে দিল্লিতেই আছেন।
তিনি ভ্রমণবিলাসী এবং খাদ্য রসিক একজন মানুষ।