সাংবাদিকতা মোটেই সহজ ও সরল কাজ নয় এটা সবারই জানা । ঘটনা থেকে নিখুঁত সংবাদটি
সংগ্রহ করে আনতে হয়। ঘটনার আড়ালে যে আসল সত্যটি
লুকিয়ে থাকে তাকে বের করে আনতে হয় নিজের বুদ্ধি ও কৌশল দিয়ে। এ ধরনের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায়
কোনও পক্ষপাতিত্ব করা চলে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও আসল সত্যটাকে জানার জন্য তাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। আমাদের
দেশের সাংবাদিক সম্পর্কে পাঠকেরা সবাই অবগত আছেন তাই আজ আমার প্রতিবেদন বিদেশের কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে।
ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির কথা মনে আছে সবারই। এই বহুল আলোচিত ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির
রহস্য যিনি উন্মোচন করেছিলেন তিনি হলেন কার্ল বার্নস্টেইন। তার সাথে ছিলেন বব উডওয়ার্ড
ও বেন ব্রাডলি। এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন।
আমেরিকার ইতিহাসে সেটাই ছিল প্রথমবারের মত ঘটনা যেখানে প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে
হয়েছিল। এই ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর কার্ল বার্নস্টেইন এবং বব উডওয়ার্ড ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান’ নামে একটি বই লেখেন। এ নিয়ে যে সিনেমাটি তৈরি হয় সেটি অস্কার
লাভ করে।
কার্ল বার্নস্টেইন আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেন কিছুদিন তিনি সি আই এ-র সাথেও গোপনে
অনুসন্ধানী মূলক কাজ করেছেন বলেও জানা যায়।তাঁকে আমি সি এন এন চ্যানেলেও নিয়মিত রাজনৈতিক
ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করতে দেখেছি। তিনি এমনই একজন নির্ভীক সাংবাদিক যে তিনি বর্তমান
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও সমালোচনা করতে ছাড়েননি।
একবার দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এডওয়ার্ড স্নোডেন’স এর লেখা সবাইকে আলোড়িত করে তুলেছিল। ক্লাসিফায়েড ডকুমেন্টস
ইন ২০১৩ এর মত একটি বড় মাপের ডকুমেন্ট সিরিজ প্রকাশ করে সবাইকে তিনি হতবাক করে দিয়েছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিশ্বব্যাপী নজরদারি প্রোগ্রামের পুঙ্খানুপুঙ্খ
সমালোচনা করে সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলে দিয়েছিলেন। গ্লেনের এই দুঃসাহসী ভূমিকা তাকে ২০০৪
সালে পুলিৎজার পুরষ্কার এনে দেয়। তিনি একদিকে যেমন সাংবাদিক, আইনজীবী, লেখক ঠিক তেমনি অন্যদিকে তিনি একজন নামকরা কলামিস্টও। আমেরিকান এই সাংবাদিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘স্যালন ডটকম’-এ একসাথে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস,দ্য আমেরিকান কনজারভেটিভ, দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট এবং ইন দিস টাইমসেও কন্ট্রিবিউটিং করে
থাকেন। ২০১৩ সালের ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে তাকে বিশ্বের ১০০ জন গ্লোবাল থিংকার-এর তালিকায়
নাম উল্লেখ করা হয়। তার পরিকল্পনায় একটি প্রাইভেট ফাইন্যান্সড ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম
ভেঞ্চার ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’ গড়ে তোলেন।
সাংবাদিকতার ব্যাপারে নারী সাংবাদিকেরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে
২০০৪ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনে ১০০ জন ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন
ডিয়ান সোয়ার। তার চাকরী জীবনের শুরুর দিকে একটি লোকাল পত্রিকায় কাজ করলেও পরে তিনি
হোয়াইট হাউসের প্রেস অফিসে কাজ করার সুযোগ পান। তখন সেখানে নারী সাংবাদিক-এর সংখ্যা
খুব কমই ছিল।তিনি এক সময় প্রাইম টাইম লাইভের কো-অ্যাংকর হিসেবেও কাজ করেন। তবে এ বি
সি চ্যানেলে গুডমর্নিং আমেরিকা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান।
২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি এ বি সি নিউজের উপস্থাপনা করেছেন। আমেরিকান এই সাংবাদিক হলেন
প্রথম নারী যিনি ‘সিক্সটি মিনিটস’-এর করেসপন্ডেন্ট-এর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে অনেকেই হয়ত
তাকে এ বি সি নিউজের হাই-প্রোফাইল ইন্টার্ভিউগুলো নিতে দেখে থাকবেন।তিনি সাংবাদিকতায়
দক্ষতার জন্য অনেক পুরষ্কারও পেয়েছেন।
আর একজন নারী সাংবাদিক, বারবারা ওয়াল্টার্স লেখক হিসেবেও সবার কাছে খুবই প্রিয়। জানাগেছে টেলিভিশন সম্প্রচারের
ইতিহাসে তিনিই হলেন একমাত্র নারী সাংবাদিক, যিনি সবচেয়ে বেশি বেতন পান। এ কারণে তাকে মিলিয়ন ডলার নিউজওম্যান
বলা হয়ে থাকে। খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিতে তিনি খুবই অভিজ্ঞ।এ বিষয়ে তারমধ্যে
একটি শৈল্পিক সত্ত্বা খুঁজে পাওয়া যায়। আর এই গুণের জন্য তিনি বিশ্বের নেতাদের সাক্ষাৎকার
গ্রহণের জন্য প্রচুর সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ‘ওমেন্স ইন্টারেস্ট স্টোরিজ’ নামের একটি প্রোগ্রামের লেখক ও সেগমেন্ট প্রোডিউসারের দায়িত্ব
পালন করে প্রচুর সুখ্যাতি পান। চেষ্টা করলে অনেকে আজও এ বি সি-র সান্ধ্যকালীন নিউজের কো-অ্যাংকর-এর দায়িত্ব
পালন করতে দেখতে পারবেন। তার জন্ম বোস্টন শহরে। কর্মদক্ষতার জন্য তিনি বিশ্বের নামকরা
উপস্থাপকদের মধ্যে একজন ।
এবিসি নিউজের যুক্তরাষ্ট্র শাখার বৈশ্বিক বিষয়ক অনুষ্ঠানের আর একজন উপস্থাপক হলেন
ক্রিশ্চিয়ানো আমানপুর। একই সাথে তাকে সি এন এন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিত্ব করতে
আমরা অনেকেই তাকে দেখেছি। পি আর ফার্ম বার্সন মার্সেলার এর তথ্য অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ানো আমানপুর এমন একজন সাংবাদিক যাকে বিশ্বের সবচেয়ে
বেশি রাজনৈতিক নেতা টুইটারে অনুসরণ করেন। বিগত তিনি দশকের বেশি সময় ধরে তিনি সাংবাদিকতা
করে আসছেন। আমানপুরই একমাত্র সাংবাদিক যিনি গদ্দাফির সাক্ষাৎকার নিতে সফল হয়েছিলেন।
এছাড়াও অনেক অসাধারণ কাজের জন্য তিনি বেশ কিছু বড় বড় ব্রডকাস্ট অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।
এর মধ্যে আছে নয়টি নিউজ ও ডকুমেন্টারি অ্যাওয়ার্ড, টেলিভিশন একাডেমী অ্যাওয়ার্ড, তিনটি ডুপন্ট কলম্বিয়া অ্যাওয়ার্ড ও দুটি জর্জ পলক অ্যাওয়ার্ড
ইত্যাদি।
গোপন সংবাদ বের করে আনা সাংবাদিকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়। আর যে সেকাজটি
নিপুণভাবে করতে পারেন তাকেই সারা বিশ্ব দক্ষ সাংবাদিক হিসেবে বিচার করেন। এরকমই একজন
সাংবাদিক হলেন বব উডওয়ার্ড। বব উডওয়ার্ড এমনি একজন সাংবাদিক যিনি অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতাকে
এক ভিন্ন স্তরে নিয়ে গেছেন। বব উডওয়ার্ড আমেরিকার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন।
আমেরিকার ইতিহাসে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি এক ইতিহাস সৃষ্টিকারী ঘটনা। সেই কেলেঙ্কারির
উদঘাটন করেছেন তার সহযোগী কার্ল বার্নস্টাইনকে সঙ্গে নিয়ে।তিনি সাহসী সাংবাদিকতার জন্য
দুবার পুলিৎজার পুরস্কারও পেয়েছেন। তার লেখা ১৮টি বই-এর মধ্যে ১২ বই-ই বেস্ট সেলার।
অনেকেই শুনলে অবাক হবেন, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস এবং ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করার পর বাবার
ইচ্ছাতে তিনি নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর পর নৌবাহিনীর চাকরি ছেড়ে ওয়াশিংটন
পোস্টে চাকরি নেন। তিনি তার বই ‘দ্য কমান্ডার্স’-এ প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। তবে তার বিতর্কিত
বই শ্যাডোতে পাঁচজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্পর্শকাতর রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির কথা তুলে
ধরেছেন।
আমাদের এই বিশ্বে যদি দাপুটে সাংবাদিকদের কথা বলতে হয় তবে প্রথমেই বলতে হবে আমেরিকান
সাংবাদিক এন্ডারসন কুপারের কথা।এন্ডারসন কুপার-এর জন্ম নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে।
‘এন্ডারসন কুপার ৩৬০’ নামের একটি সংবাদ-ভিত্তিক টি ভি শো হোস্টিং করেন। এটি শুরু হয়েছিল
২০০৩ সাল থেকে। এটি সি এন এন-এর নিউইয়র্ক সিটি স্টুডিও থেকে সম্প্রচার করা হয়। এর আগে
১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি এ বি সি নিউজ-এর করেসপন্ডেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন
করেছেন। ইরাকের যুদ্ধ এবং হ্যারিকেন ক্যাটরিনা কভার করার পর থেকে এন্ডারসন কুপার ৩৬০’ অনুষ্ঠানটি মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের খবর প্রকাশের পর তিনি ব্রোঞ্জ টেলি পুরস্কার পান। এছাড়াও
তার কর্মজীবনে তিনি অনেক সাফল্য ও পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি অন্যান্য বহু পুরস্কারের
সাথে সাথে জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার ও দুটি গ্লাড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।
জ্যাক পল ট্যাপার সবার কাছে জ্যাক ট্যাপার নামেই বেশি পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন
খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক, লেখক ও কার্টুনিস্ট। তিনি ১৯৬৯ সালে ফিলাডেলফিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। জ্যাক সি এন
এন-এর চিফ ওয়াশিংটন করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি খুবই পরিচিত সাপ্তাহিক
নিউজ শো ‘দ্য লিড ইয়ুথ
জ্যাক ট্যাপার’ এবং প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠান দু’টি হোস্টিং করে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামার উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে কভারেজ করার জন্য তাকে এমি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া
হয়।২০০৩ সালে তিনি এ বি সি নিউজে কাজ শুরু করেন এবং সেখানে তিনি বাগদাদ ব্যুরোর দায়িত্ব
পালন করতে গিয়ে নিপুণভাবে তথ্য সংগ্রহ করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পর ২০১২ সালে
তিনি সি এন এন-এ যোগদান করেন। তার কাজে দক্ষতার জন্য তিনি জাতীয় পর্যায়ের তিনটি পুরস্কার
পেয়েছেন। তিনি যেসব উল্লেখযোগ্য কার করেছেন তার মধ্যে বোস্টন ম্যারাথন, ওকলাহোমা টর্নেডোর দীর্ঘ নিউজ কভারেজ আছে।
আমেরিকান টেলিভিশন প্রোগ্রামের হোস্ট এবং পলিটিকাল কমেন্টেটর র্যাচেল ম্যাডো-র
নাম অনেকেরই জানা। তিনি এম এস এস বিসিতে রাতের অনুষ্ঠান ‘দ্য র্যাচেল ম্যাডো শো’-এর হোস্টিং করেন। আলোচনার অনুষ্ঠানগুলোর জন্য তিনি সকলের কাছে
খুবই প্রিয় এবং এক নম্বর হোস্ট হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন।১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়াতে
তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার সমালোচনা ১৭ শতাংশ সংবাদের
প্রধান অংশে পরিণত হয়েছিল। তিনি অক্সফোর্ড থেকে ডক্টর অফ ফিলোসফি ডিগ্রি অর্জন করেন।
যদিও তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ম্যাডো রেডিওতে কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু তিনি ২০০৫ সালে প্রথম টেলিভিশন শো-তে আসেন।তাকে সবসময়
দেখা যায় এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করতে, কখনও তিনি সংবাদের মাঝখানে ঝগড়াঝাঁটি পছন্দ করেননা।
কয়েক মাস আগেই হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন
সাংবাদিক জিম অ্যাকোস্টা। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে ৭ই নভেম্বর হোয়াইট
হাউসে যখন সংবাদ সম্মেলন করছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তখনই সেখানে সি এন এনের হোয়াইট হাউস
বিষয়ক প্রতিবেদক জিম অ্যাকোস্টা অভিবাসী ইস্যুতে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করাতেই বাগ-বিতণ্ডা
শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই নির্ভীক সাংবাদিক মাত্র ১১ বছর বয়সে কিউবা থেকে বাবার সাথে অভিবাসন
প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি মূলত সি এন এনের হয়ে পলিটিকাল
করেসপন্ডেট হিসেবে কাজ করেন। তার জীবন শুরু হয় রেডিও সাংবাদিকতা দিয়ে। সে সময় তিনি
ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ডব্লিউ টি টি জি টিভিতে যোগদেন এবং ২০০৭ সালে সি এন এন-এ যোগ
দেন।
সমাপ্ত
সূত্র ঃ দেশ বিদেশের সংবাদপত্র
লেখক পরিচিতি –
কালীপদ চক্রবর্ত্তী দিল্লি থেকে প্রায় ১৮ বছর ‘মাতৃমন্দির সংবাদ’ নামে একটি
পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং ‘সৃষ্টি সাহিত্য আসর’ পরিচালনা করেছেন।
দিল্লি, কলকাতা এবং ভারতবর্ষের
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। কলকাতার আনন্দমেলা, আনন্দবাজার
পত্রিকা, সাপ্তাহিক বর্তমান, দৈনিক
বর্তমান, নবকল্লোল, শুকতারা, শিলাদিত্য, সুখবর, গৃহশোভা,
কিশোর ভারতী, চিরসবুজ লেখা (শিশু কিশোর
আকাদেমী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার), সন্দেশ,
প্রসাদ, ছোটদের প্রসাদ, কলেজস্ট্রীট, উল্টোরথ, তথ্যকেন্দ্র, জাগ্রত বিবেক (দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির
থেকে প্রকাশিত) , স্টেটসম্যান , কিশোর
বার্তা অন্যান্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত বই-এর
সংখ্যা ৮ টি এবং প্রকাশের পথে ২টি বই।
‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান’, পূর্বোত্তর আকাদেমির পুরস্কার, ‘বরুণা অসি’-র গল্প
প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ, আরত্রিক সম্মান, তুষকুটি পত্রিকা সম্মান, কাশীরাম দাস সম্মান,
সতীনাথ ভাদুড়ী সম্মান লাভ করেন। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে 'আজীবন সম্মাননা' লাভ করেন। এ ছাড়া আরও কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন।
বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কলমের সাত রঙ' ও www.tatkhanik.com এর সম্পাদক এবং দিল্লিতে
প্রতিমাসে একটি সাহিত্য সভা পরিচালনা করেন।