Advt

Advt

ek-manda-meyer-kahini-galpo-story-2ndpart-by-nityaranjan-debnath-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-এক-মন্দ-মেয়ের-কাহিনি

ধারাবাহিক  উপন্যাস

ek-manda-meyer-kahini-galpo-story-2ndpart-by-nityaranjan-debnath-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-এক-মন্দ-মেয়ের-কাহিনি

২য় পর্ব

(  দুই  )

শ্রাদ্ধ, পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম মিটে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে না ফিরতেই মেয়েটিকে নিয়ে পড়ল সবাই। অমন শান্তশিষ্ট মায়ের এমন মেয়ে যে হতে পারে কারও কল্পনাতেই ছিল না। যেহেতু মা রান্নাটা করত, ভেবেছে সেও মায়ের কাজে বহাল হবে। তাকে শুধু একটু শিখে নিতে যে কয়েকটা দিন  সময় লাগে। অবশ্য অনেক রান্নাই জানে। মায়ের কাছে আগেই শিখে নিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি বেঁকে বসেছে দেখে সকলে তাজ্জব। দৃঢ় স্বরে বলছে, রান্না করা দূরে থাক,আমি রান্না ঘরেই ঢুকব না। আমি কলেজ যাব, পড়াশুনা করব। আর কোনও কাজ করতে পারবো না।

জ্যেঠি বললেন," পড়ব বললেই হবে? পড়ার খরচ কী কম? কে যোগাবে শুনি?"

মেয়েটি বলল," নিজেই নিজের খরচ জোগাব। টিউশনি করে পড়বো। তোমাদের কাছ থেকে একটা পয়সাও নেব না। আমার কথা তোমাদের ভাবতে হবে না। আমি আমার ব্যবস্থা করে নেব।"

কাকি বললেন," তাহলে খাওয়াটাও নিজেই জোগাড় করে নিও। তাহলে আমাদের কোনও ভাবনা থাকে না। দু'বেলা ভুঁড়ি ভোজন, টিফিন, চা তো আর এমনি এমনি আসে না। রীতিমত রোজগার করতে হয়। রান্নার কাজ না করলে তোমার দায়িত্ব নিতে পারবো না বাপু। পরিষ্কার বলে দিলাম।"

" ঠিক আছে। তোমরা না পারলে আমারটা আমিই ব্যবস্থা করে নেব। তোমাদের কাছে খাবো না, কিছুই চাইবো না না, খুশি তো? আমাকে আমার মত থাকতে দাও। আমাকে নিয়ে তোমাদের আর ভাবতে হবে না।"

জ্যাঠা বললেন," এই বাড়িতে থাকতে গেলে কাজ করতে হবে। সকলের কথা শুনে চলতে হবে। কোনও বেয়াদবি বরদাস্ত করবো না বলে দিলাম।"

"কোনও বেয়াদবি করছি না তো জ্যাঠা। বরং তোমরাই করে যাচ্ছ। আর থাকার কথা বলছ?  এবাড়িতে তোমার থাকার যতটুকু অধিকার আমারও ততটুকু অধিকার। আমার বাবার সমান অংশ আছে এই বাড়িতে। তাই তোমাদের কারো দয়ায় এই বাড়িতে থাকছি না। নিজের অধিকারেই থাকবো।"

জ্যেঠি বললেন, "কি বলছিস তুই? আমাদের সঙ্গে তুলনা করছিস? এত বড় সাহস তোর? "

"সাহসের কি দেখলে? যা  সত্যি তাই বললামদরকার হলে উকিলের কাছে আইনকানুন জেনে এসে কথা বলো, আমি কোনও মিথ্যে বলেছি কিনা। মা-টাকে তো হাড়ভাঙা খাটিয়ে মেরে ফেললে। শান্তশিষ্ট মানুষ পেয়ে পিষে মারতে সুবিধা হয়েছে। আমার বেলায় জোর খাটাতে এস না, বিপদে পড়ে যাবে বলে দিলাম।"

হঠাৎ কাকা এসে উদয় হলেন। তিনি বললেন, " তোকে তো শুধু রান্না করতে বলা হয়েছে। আর কিছু নাই বা করলি। সকাল সকাল উঠে রান্না করে কলেজ যাবি, অসুবিধা কি? রাতে এসেও রান্নাটা করে পড়াশুনা করতে পারবি। তাহলেই তো সব ঝামেলা মিটে যায়। অত তর্ক করিস কেন?"

"তর্ক তো এমনি এমনি করছি না। তোমাদের ব্যবহারে করছি। আমি যদি বলি, বড়দিকে বলো এম.এ পড়া বাদ দিয়ে রান্না করতে, মানবে তো? জোর করে করাতে পারবে তাকে দিয়ে?"

জ্যেঠি বললেন," বড়দির সঙ্গে তুলনা করছিস?  এত বড় কথা? তুই তার নখের যোগ্য?"

"কেন? আমি অযোগ্য কোন দিক থেকে শুনি? বড়দিও এই বাড়ির মেয়ে আমিও এই বাড়ির মেয়ে। বরং মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে বড়দির থেকে আমার রেজাল্ট অনেক ভালো। কমটা কোন দিকে শুনি।"

জ্যেঠি বললেন," বড়দির অভিভাবক রীতিমতো সংসার খরচের অর্ধেক টাকা দেয়। তুই কটা টাকা দিসরে ছুঁড়ি, বড় বড় লেকচার দিচ্ছিস। থালা থালা যে ভাত খাচ্ছিস কোথা থেকে আসে সে হুশ আছে? "

"বললাম তো তোমাদের কাছে আর খাবো না। আমার ব্যবস্থা আমিই করে নেব।"

"অতই সস্তা। টিউশনি করে পড়ালেখা করবে আবার খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। করে দেখ, কত ধানে কত চাল টের পাবি। তখন যদি বলিস, জ্যেঠিমা আমাকে দুটো খেতে দাও,খুব খিদে পেয়েছে,তখন কিন্তু লাথি মেরে তাড়াবো, বলে দিলাম।"

জেদ যেমন কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতি করে তেমনি পরিণতও করে। বাড়ির লোক অনুভব করতে না পারলেও এ মেয়ে যে খিদের চোটে মরে যাবে তবু কারো কাছে হাত পাতবে না সে কথা নিশ্চিত করে বলা যায়।

শুরু হল তার নতুন জীবন। দুটি টিউশনি নিয়মিত করত। এতে যে খাবার জুটবে না সে জানে। হন্যে হয়ে আরও দুটি টিউশনি ধরার চেষ্টা করল। চাইলেই যে সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যাবে সে আশাও করে না। সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। হাতে টাকা পয়সাও নেই যে কিছু দিন চালিয়ে নিতে পারবে। সহায় সম্বলহীনকে ধারও দেবে না কেউ। তাছাড়া কেই বা তাকে চেনে যে চাইলেই ধার দেবে?  অনেক ভেবে চিন্তে একটা উপায় খুঁজে পেলএছাড়া অন্য পথ নেই। মায়ের কিছু গহনা আছে। মেয়ের বিয়েতে দেবে বলে খুব যত্ন করে রেখে ছিলেন। বিপদে আপদেও হাত দেন নি। হাতের দুটি বালা, চারটে চুড়ি, গলার হার ও কানের দুল। অনেক ভেবেচিন্তে বালা দুটিকে বিক্রি করে দিল। রান্না করে খেতে গেলে প্রাথমিক কিছু জিনিস পত্র কিনতেই হবে।

মায়ের অসুস্থতার জন্য কলেজের পার্ট-1 পরীক্ষাটাও দেওয়া হয় নি। এক বছর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। এবার যাতে রেজাল্ট ভালো করতে পারে রাত জেগে পড়া শুরু করল। কাক ভোরে উঠে এক ঘন্টার মধ্যে যাহোক একটা কিছু রান্না করে নিয়ে ছাত্র পড়াতে চলে যায়।  ইতিমধ্যে আরও দুটি টিউশনি পেয়ে গিয়েছে। নিজের মত চলতে চলতে একটা ছন্দে এসে গিয়েছে। বাড়ির কারো সঙ্গে কোনও বাক্যালাপ হয় না বললেই চলে। পরিশ্রম বেড়েছে তবু মেয়েটি শান্তিতে আছে। কারো কথা শোনার বালাই নেই নিজের মত রুটিন করে চলার চেষ্টা করছে। রাতে বেশির ভাগ দিন রান্নার ঝামেলায় যায় না। টিউশনি থেকে ফেরার পথে চারটে রুটি কিনে নিয়ে চলে আসে। সময় কিছুটা সাশ্রয় হয়। ফিরেই পড়তে বসে যেতে পারে।

সময় যে সর্বদা ভালো যাবে না মেয়েটি নিজেও জানে। তাই সদা সতর্ক থাকার চেষ্টা করে। একই বাড়িতে শত্রুদের সঙ্গে সহাবস্থান। তাকে তো সাবধান হতেই হবে। ঘুম থেকে উঠেই যাদেরকে সে প্রথম চোখে দেখে প্রত্যেকেই তার ক্ষতি চায়। পারত পক্ষে বাক্যালাপ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে। তবু তাঁদের যেন সহ্য হচ্ছে না। কারো সাহায্য ছাড়াই তর তর করে উৎরে যাবে কাহাতক সহ্য হয়। নানা ভাবে চেষ্টা করলেও বারবার সে বোবার ভূমিকাই নিয়েছে। আগে যা বলার বলেছে, আলাদা হওয়ার পর কারো মুখের উপর একটি কথাও বলেনি সে। ঠিক করে নিয়েছে আর কারো সঙ্গে তর্ক করে অশান্তি বাড়াবে না। এতে মানসিক চাপ পড়ে। পড়ার ক্ষতি হয়। তাহলে তার উদ্দেশ্য সফল করা মুশকিল। পাশ করে চাকরি তাকে পেতেই হবে।

এরমধ্যেই একটি ঘটনা ঘটল। মাস ছয়েক পরের কথা। একদিন রাত নটায় টিউশনি সেরে বাড়ি ফিরেছে। তালা খুলে ঘরে ঢুকেই দেখে সুইচ অন করা সত্ত্বেও আলো জ্বলছে না। ভাবল বাল্ব বোধহয় কেটে গিয়েছে। তার ঘরে দুটি মাত্র  ল্যাম্প। পনের ওয়াটের বেড রুমে একটি এবং বাথরুমে একটি পাঁচ ওয়াটের। দুটোই এল ই ডি ল্যাম্প। বেড রুমে পুরোনো সিলিং ফ্যান একটি আছে ঠিকই, তা দীর্ঘদিন খারাপ হয়ে আছে।  মা কয়েকবার বলা সত্ত্বেও কেউ গ্রাহ্য করে নি। গরমের সময়টা কষ্ট হলেও মানিয়ে নিয়েছে বাধ্য হয়ে। বেশি বলার অধিকার নেই যে। তাই এবারও অন্য রকম সন্দেহ হল তার। বাথরুমের  সুইচ দিয়েও জ্বলছে না। তারমানে লাইনের গন্ডগোল। অথচ অন্য ঘরগুলোতে দিব্যি আলো আছে। কি করবে ভাবল কিছুক্ষণ।

সরাসরি জ্যেঠুকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল। জ্যেঠু বলল," দেখ, ফিউজ কেটে গেছে বোধহয়। সমুকে একবার বল দেখে ঠিক করে দেবে।"

রান্না ঘর থেকে কাকি বললেন," ফিউজ কাটে নি। ওর ঘরের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। সারারাত ধরে লাইট জ্বেলে রাখবে, কত কারেন্ট পোড়ে সে হুশ আছে? বিলের টাকাটা তো দিতে হয় না টের পাবে কি করে? এবার থেকে লাইট জ্বালাতে গেলে কারেন্টের টাকা দিতে হবে, তবেই ওর ঘরে আলো জ্বলবে।"

এমন একটা সন্দেহ তার হয়েই ছিল। রাত একটা-দেড়টা অবধি পড়াশুনা করে সে। বাইরে থেকে টের পান নিশ্চয়ই। এনিয়ে তাদের মধ্যে যে আলোচনা হয় তাও কানে এসেছে। সে কথা না বাড়িয়ে বলল," জ্যেঠু, আমার দুটো বাল্বের জন্য যা কারেন্ট পোড়ে আমি মাসে মাসে দিয়ে দেব। আমার লাইনটা একটু ঠিক করে দিতে বল।"

জ্যেঠু ইদানিং তার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করছে। হঠাৎ এমন পরিবর্তন দেখে নিজেও কম অবাক হয় নি। সেদিন বড়দির সঙ্গে নিজেকে তুলনা করাতে রাগ হওয়ার কথা। বড়দি জ্যেঠুরই মেয়ে। রাগ না করে মিষ্টি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য কি? মায়ের কাছে শুনেছে তার বাবার সঙ্গে নাকি জ্যেঠুর খুব মিল ছিল। পিঠোপিঠি ভাই হওয়াতে দুজন এক সঙ্গেই থাকত। বাবা নাকি জ্যেঠুকে ছাড়া বাড়িতে একা কোনোদিন খেতে বসত না। এক বিছানায় ঘুমোতো। ছোটবেলায় খেলাধুলাও করেছে এক সঙ্গে। এমন কি বাবার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়ে মাকে নাকি জ্যেঠুই পছন্দ করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর জ্যেঠু কেমন পাল্টে গেছেন। তাহলে কি আগের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে?

জ্যেঠু বললেন," তুই যা, সমুকে বলে এখনই লাগিয়ে দিতে বলছি।"

সমু জ্যেঠুর ছোট ছেলে। বারো ক্লাসে পড়ে। তাকে দিদি বলে সম্মানও করে। জ্যেঠু বলার সঙ্গে সঙ্গে এসে লাইন জুড়ে দিল।

সমু বলল, " তোমার ফ্যানটা ভালো আছে। সুইচ খারাপ আছে। ঠিক করে দেব মেজদি? এই গরমে থাকো কি করে?"

"থাকতে থাকতে অভ্যাস হয়ে গেছে বুঝলি। না হলেও চলবে। লাগাতে গেলে তো আবার নতুন সুইচ কিনে আনতে হবে। ছেড়ে দে।"

সমু বলল," আমার কাছে একটা সুইচ আছে। ওটাই লাগিয়ে দিচ্ছি। ফ্যান থাকতে কেন গরমে কষ্ট পাবে?"

"থাক ভাই। আমার আর কষ্ট হয় না। আবার কারেন্টের বিল দিতে হবে। আমার পক্ষে একটু চাপ হয়ে যাবে।"

"বাদ দাও তো ওসব কথা। তোমার ঘরে ফিফটিন ওয়াটের একটি ল্যাম্প জ্বলে। আর বাথরুমে ফাইভ ওয়াট। সারা দিনরাতে এক ঘন্টাও জ্বলে না। কত কারেন্ট পোড়ে শুনি? ওদের কথায় কান দেবে না তো? বলে দেবে, আমি ইলেক্ট্রিক বিলের এক পয়সাও দেব না। আমি ফ্যানের সুইচটা এক্ষুনি লাগিয়ে দিচ্ছি। "

ভাইটার কথা শুনে মেয়েটির চোখে জল এসে গিয়েছে। মেজদির প্রতি কত সহানুভূতি। হবে না কেন, এক বাড়িরই তো সব ভাই- বোন। কিন্তু সবাই কেন এমন হয় না !

রাগের মাথায় অহেতুক কথা বলা উচিত নয়, সেও জানে। পরিস্থিতি মানুষকে বাধ্য করায়। না হলে বড়দিকে নিয়ে তুলনা করে কথা বলাটা তার একদম উচিত হয় নি। খুব অন্যায় করে ফেলেছে। বড়দিও তাকে যে  খুব ভালোবাসে, স্নেহ করে। মা বেঁচে থাকতে অনেকবার লক্ষ করেছে। যখন এক সঙ্গে থাকতো, কাকি বা জ্যেঠি যখন খেতে দিত, হয়তো দেখা গেল বড়দির পাতে মাছ দিয়েছে কিন্তু মেয়েটিকে দেয়নি। বড়দি বলত, একি? আমাকে মাছ দিয়েছ ওকে দিলে না কেন? ওকে দাও, না হলে আমিও মাছ খাবো না। না দিলে, খাওয়া বন্ধ রেখে চুপচাপ বসে থাকতো। সেসব কথা ভাবলে লজ্জায় কুঁকড়ে যায়। কাকি-জ্যেঠির যেমন ব্যবহার বড়দির কানে যে যাবে সে নিশ্চিত। তারপর থেকে বড়দির মুখোমুখি হয় নি। ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেছে। আজ ভাইটার এমন আন্তরিক ব্যবহার দেখে বারবার সে ঘটনাগুলো মনে পড়ছে।

 

ক্রমশ ……

৩য় পর্ব পড়ুন আগামী শনিবার

লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

লেখক পরিচিতি -

নিত্যরঞ্জন দেবনাথ পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার পানুহাটে ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।কাটোয়া কলেজ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক। বর্তমানে থাকেন হুগলির চুঁচুড়ায়। পেশায় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ছিলেন।অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল-এর অধীন ডিভিশনাল অ্যাকাউন্টস অফিসার পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম গল্প " চেতনা " ছোটদের পত্রিকা শুকতারায় ১৯৯৬ - এর এপ্রিলে প্রকাশিত হয়। এরপর দেশ, শিলাদিত্য, কালি ও কলম,মাতৃশক্তি, তথ্যকেন্দ্র, কলেজস্ট্রিট, কথাসাহিত্য, দৈনিক স্টেটসম্যান, যুগশঙ্খ, একদিন,,সুখবর ইত্যাদি এবং বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত তাঁর সাহিত্যকীর্তি অব্যাহত। ইতিমধ্যে পাঁচটি গল্প সংকলন ও চারটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক "শতানীক " পত্রিকাটি দীর্ঘদিন ধরে সম্পাদনা করে আসছেন।