উমা --- সেই যে গত বছর
স্বামীর ঘরে গেলি
বাপের বাড়ীর খোঁজ নেয়াটার
এখন সময় পেলি ?
সারা বছর মুখিয়ে থাকি
দেখবো কবে তোকে,
বর্তমানে আমরা সবাই
মুহ্যমান যে শোকে ।
ছেলেপুলে নিয়ে এলি
একটু আরাম কর্ ,
এইতো ক'দিন আগেই
দেশে
বইলো এমন ঝড় !
দু'মাস আগের
আর জি করের
ঘটনা তো জানিস
দেশের সকল নারীরা তো
তোরই শক্তি মানিস ?
তবু কেন দিলি না সেই
কেচ্ছাকান্ডে বাধা
স্বেচ্ছাচারী পুরুষগুলো
গুন্ডামীতে "দাদা"
?
কত লোকের করতো সেবা
মৃত্যু হল যার,
ধর্ষণ আর প্রাণটা নিয়ে
এমন দশা তার !
ভুলে যাচ্ছে পুরুষগুলো
ঘরেও মা-বোন আছে,
পরনারী দেখলে কেন
মনটা তাদের নাচে ?
শক্ত হাতে ওরে উমা
এদের শাসন কর্ ,
দৈবী শক্তি প্রয়োগ করে
এদের জেলে ভর ।
দৃষ্টিভঙ্গী যদি এদের
বদলে দিতে পারিস
বিপদমুক্ত হবে নারী
এটাই জেনে রাখিস ।
বর্তমানের নারী যেন
এমন শক্তি ধরে,
সমস্যাতে মোকাবিলা
নিজেই করতে পারে ।
লোক দেখিয়ে অষ্টমীতে
কুমারী পুজোর চলন,
তারই সাথে পাল্লা দিয়ে
করছে নারী-দলন ।
আমরা যেন এবার তোকে
অন্যরূপে পাই,
বসে আছি করজোড়ে
অধীর অপেক্ষায় ।
ভন্ডামীটা দূর কর্ মা
এদের মনের থেকে,
সহ্য করা আর চলে না
এই কান্ড দেখে ।
মেয়েরা তোর কন্যাসম
লক্ষ্মী সরস্বতী,
খোঁজ খবরে নিতে থাকিস
যত্ন তাদের প্রতি ।
শোন্ মা যারা অপরাধের
সঙ্গে আছে যুক্ত ,
কোন মতেই দেখিস যেন
হয় না তারা মুক্ত ।
এমন হাজার ঘটনাতে
দেশটা গেল ছেয়ে,
পরুক ফাঁদে, আবার কি
চাস
কোন ঘরের মেয়ে ?
শক্তিরূপে কঠোর হয়ে
কর্ মা অসুর দলন,
ছদ্মবেশে যায় না ধরা
এমন তাদের চলন ।
পুজো ঠিকই পাবি রে মা
সবার বিষাদ মন,
নারীরূপে --- কন্যা, মাতা
ভগ্নী আপন জন ।
দশমীটা রাখিস মনে
করতে কি কি হবে,
সঠিক পদক্ষেপেই মৃতার
আত্মা শান্তি পাবে ।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি -
জন্ম মুর্শিদাবাদে। প্রাথমিক শিক্ষা সেখানে ও পরে পাটনায় । 1969 সাল থেকে দিল্লিবাসী। বিজ্ঞানে স্নাতক, কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে অবসরপ্রাপ্ত । বর্তমানে "কলমের সাত রঙ" পত্রিকার নিয়মিত লেখক ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি।
ভাল লাগে সঙ্গীত, সাহিত্য, বইপড়া, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, যোগব্যায়াম, আধ্যাত্মিকতা, প্রেত-তত্ত্ব ইত্যাদিতে চর্চা। যুক্তিবাদী, মুক্ত-চিন্তাবিলাসী ও কুসংস্কার বিরোধী ।