শারদীয়া আশ্বিনে মেঘেরা আনমনে,
খুশির ভেলাতে দূরে ভেসে যায় ধীরে
আমেরিকা ইউরোপে দেবীর বোধনে
পরিযায়ী মন ফেরে নিজ নিজ নীড়ে।
মায়ের আবাহনে মেনকার গৃহকোণে
কাটে না সময় আর হৃদয়ের বাতায়নে
মর্তলোকে জাগে সবে নব নব পরিধানে
বিচারের বাণী হেরি দেবীর আননে।
ধরায় মড়ক আনে দোলায় আগমনে
ছত্রভঙ্গ বসুন্ধরা ঘোটকে গমনে
নিপীড়ন হানাহানি বিষাদ ধরণীতে
দুর্গানামে তাই শঙ্কা কাটে মনে।
উমার দরশনে ষষ্ঠীর আবাহনে
রামপ্রসাদের সুর সখিদের মনে,
“বৎসরেক ছিলে ভুলে
এত প্রেম কোথা খুলে
কথা কহ মুখ তুলে প্রাণ মরে মরে”।
অন্তঃপুরেও শুনি রামপ্রসাদের গান
দুর্গানামে ঝরে মেনকার অভিমান।
“যদি এসে মৃত্যুঞ্জয়
উমা নেবার কথা কয়
এবার মায়ে ঝিয়ে করবো ঝগড়া
জামাই বলে মানবো না”
কমলাকান্তের মুখে নবমীর নিশি শেষে
মর্তেও ঝরে পরে কবির অভিমান।
“ওরে নবমী নিশি না হইও রে অবসান
শুনেছি দারুণ তুমি না রাখো সতের মান”।
…… “কমলাকন্তের বাণী শুন ওগো গিরিরানি
লুকায় রাখ না মারে হৃদয়ে দিয়ে স্থান।”
ভুলোনা দুর্গানাম জীবের পরিত্রাণে
দেবীর মহিমা দ্যাখো শাস্ত্রে, পুরাণে।
“দৈত্যনাশার্থ বচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসন্মত।।
রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত”।।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি
–
শক্তি পদ মুখোপাধ্যায় ব্যাংকের একজন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিক। ওঁনার লেখা কবিতা,গল্প এবং প্রবন্ধ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পাঠকদের প্রশংসা লাভ করেছে। কয়েক বছর আগে শক্তিপদবাবুর লেখা এবং পরিচালনায় একটি গীতিনাট্য প্রভূত সাফল্যের সঙ্গে মঞ্চস্থ হয়। ওঁনার লেখা কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ বর্ডারলেস, পাসএজার, মলিকুল, বেটার দ্যান স্টারবাক্স, দি ড্রিবল ড্রেবল রিভিউ, তাৎক্ষনিক, দি পোয়েট, মাইন্ডফুল, ডিপ ওভারষ্টক, কাফেলিটম্যাগাজিন, ইন্ডিয়ান পিরিয়ডীকাল, ডাউন ইন দা ডার্ট, একাডেমী অফ দি হার্ট এন্ড মাইন্ড, মিউজ ইন্ডিয়া, বিবেকবার্তা, শব্দদ্বীপ, সেতু, দৈনিক স্টেটসম্যান, যুগশঙ্খ, লিঙ্কড্ ভার্স, কিতাব ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।