পূজা মানেই
আনন্দ আর সবার হাসি মুখ,
পূজা মানেই
বোনাস পাওয়া, পরিবারের সুখ ।
পূজা মানেই আরাধনা, অসুর নিধন পালা,
অঞ্জলি আর
ভোগ খাওয়া, রোজ দুপুর বেলা ।
পূজা মানেই
নতুন পোশাক, নতুন নতুন সাজ,
আলপনা আর পূজামণ্ডপ, মায়ের
ডাকের সাজ।
ভোরের বেলা
বিভোর করে শিউলি ফুলের গন্ধ,
পূজার কদিন
পড়াশুনা আর অফিস যাওয়া বন্ধ।
পূজা মানেই
মণ্ডপে ভিড়, আলোয় ভরা রাত,
ওই কটা দিন
অনুষ্ঠানে, শিল্পীদেরই মাত ।
কাজের চাপে
সারা বছর যারা থাকেন অনেক দূরে,
পূজা মানেই
তাঁরা এবার আসবে ঘরে ফিরে।
এখন পূজা অন্য
রকম,
অন্যভাবে আসে,
শিশির ভেজা
ঘাস দেখেন কি ? শিউলির
গন্ধ ভাসে ?
যুগের চাপে, কাজের
চাপে অনেক কিছু বদলে গেছে,
তার মাঝেও
খুঁজে দেখো, ছোট্ট বেলার মনটা আছে ।
সমাপ্ত
লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন
লেখক পরিচিতি –
কালীপদ চক্রবর্ত্তী দিল্লি থেকে প্রায় ১৮ বছর ‘মাতৃমন্দির সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং ‘সৃষ্টি সাহিত্য আসর’ পরিচালনা করেছেন।
দিল্লি, কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। কলকাতার আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, সাপ্তাহিক বর্তমান, দৈনিক বর্তমান, নবকল্লোল, শুকতারা, শিলাদিত্য, সুখবর, গৃহশোভা, কিশোর ভারতী, চিরসবুজ লেখা (শিশু কিশোর আকাদেমী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার), সন্দেশ, প্রসাদ, ছোটদের প্রসাদ, কলেজস্ট্রীট, উল্টোরথ, তথ্যকেন্দ্র, জাগ্রত বিবেক (দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির থেকে প্রকাশিত) , স্টেটসম্যান , কিশোর বার্তা অন্যান্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত বই-এর সংখ্যা ৮ টি এবং প্রকাশের পথে ২টি বই।
‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান’, পূর্বোত্তর আকাদেমির পুরস্কার, ‘বরুণা অসি’-র গল্প প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ, আরত্রিক সম্মান, তুষকুটি পত্রিকা সম্মান, কাশীরাম দাস সম্মান, সতীনাথ ভাদুড়ী সম্মান লাভ করেন। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে 'আজীবন সম্মাননা' লাভ করেন। এ ছাড়া আরও কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন।
বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কলমের সাত রঙ' ও www.tatkhanik.com এর সম্পাদক এবং দিল্লিতে প্রতিমাসে একটি সাহিত্য সভা পরিচালনা করেন।