দাঁড় টানতে
টানতে হাঁপিয়ে ওঠে মাল্লা
তবু টানতে হয় দড়ি
ঠেলতে হয় হাওয়া
বাইতে হয় জীবন।
আশা নিরাশা ভালো মন্দ
অতলে ডুবে যায়
কোমর ভেঙে টুকরো
টুকরো
ইচ্ছে করে না সকাল দেখার।
সাধ হয় তছনছ করি
হয় না,সম্ভব হয়
না
বিবেক বড় ঢিট
শুধু ব্যথা ফোটে চোখে।
চোখ বন্ধ করে
শ্বাস রোধ করে
সিঁড়ি বেয়ে ওঠা
শেষ ঠিকানা সামনেই।
কেন এমন হয়?
প্রশ্ন ফিরে আসে নীরবে
কোথাও নেই উত্তর
দুমুঠো কান্না পেয়েছি উপহার।
ভুল হয়েছিল সেই কিশলয়ে
আলো ছুঁতে চেয়েছিলাম
অযথা স্বপ্ন পুষতে নেই
জানা ছিল না।
স্বপ্নগুলো খাঁচায় পুরে
বেশতো আছি
ভালোই আছি বেশ
মন্দ থাকা মানা যে!
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
কবি পরিচিতি –
মনীষা কর বাগচী বিয়ের পর দিল্লিতে আসেন। শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে সবুজে শ্যামলে ঘেরা নদীয়া জেলার মাঝেরগ্রাম নামক একটি গ্রামে।
স্কুল থেকেই লেখা লিখি শুরু । নিজের মনেই লিখে যেতেন কত কিছু। আজ সে সব লেখাগুলোও হারিয়ে গেছে। লেখার অনুপ্রেরণা জোগান সেজোকাকা কবি নিশিকান্ত বাগচী।
দেশে এবং বিদেশে অসংখ্য লিটিল ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত হয়। প্রতিদিন কিছু না কিছু লেখেন। শ্রদ্ধেয় কাকু বিরাট বৈরাগ্যের সহায়তায় হরিচাঁদ ঠাকুরের গান লিখেছেন।
এ পর্যন্ত লেখিকার নিচের আটটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
১ নীল দিগন্ত
২ চোখের কোণে জল
৩ নূতন ভোর
৪ বসন্তরেণু
৫ শিউলি বেলার সুর
৬ বিবর্ণ বনলতা
৭ তপন বাগচী গভীর অনুধ্যান
৮ স্বপ্ন সফর (গল্প বই)
দু’টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পথে।
১ শিমুলরঙা সূর্য