২য় পর্ব
অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দশক থেকে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক অব্ধি,সাহিত্যের, গদ্যে-পদ্যের, নতুন বিস্তার নিয়ে একটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে লোকসাহিত্যের কবিগানের বা কথা-কাব্য বা কথন কাব্যের আলোচ্য বিষয়গুলিকে ভালভাবে তুলে ধরতে। শিষ্ট সাহিত্যে গদ্যে ও পদ্যে বিবর্তন আসতে থাকল ইংরেজির প্রভাবে, কিছু ইংরেজের প্রয়াসেও উৎকর্ষতা এলো বেশ কয়েকজনের বিশেষ ধরণের অবদানে, যেমন ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত, মাইকেল মধুসূদন দল, বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কালীপ্রসন্ন সিংহ, রমেশ চন্দ্র দত্ত, অক্ষয় কুমার বড়াল, দ্বিজেন্দ্র লাল রায়, দীনেশ চন্দ্র সেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, সুকুমার রায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়, জসীমুদ্দিন, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অতুল কৃষ্ণ সুর, অমিয় চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব বসু, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, গজেন্দ্র কুমার মিত্র এবং বিষ্ণু দে।
হাতে লেখার যুগ শেষ হয়ে ছাপাখানার দিন শুরু হলে, একটা লেখা বহু পাঠকের কাছে দ্রুত পৌঁছুতে লাগলো। সদ্য রচনা, পাঠক কেন্দ্র এবং আলোচনার মাধ্যমে পাঠকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হল। সময় সাপেক্ষ হলেও জনজাগৃতি করতে পারলো। ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত যুগসন্ধিক্ষন কবি, বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের ও কবিদের এক অনুকরণীয় ব্যতিক্রম বারো বছর গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে হারিয়ে যাওয়া ও বিস্মৃতি থেকে সংগ্রহ করেন এবং সাহিত্যের সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসাবে সংকলন করেন। লোককথা বা জমায়েতে গিয়ে কবি-গায়কদের বংশ পরিচিতি, জীবনধারা ও ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য জেনে সংকলন করেন। প্রভাকর সমাচারে ছাপিয়ে, তত্তবোধিনী সাহিত্য আসরে বক্তৃতা দিয়ে শিষ্ট সাহিত্যিকদের মানাতে সক্ষম হন। বেশ কয়েকজন কবি-গায়কের রচনার উৎকৃষ্টতা ও জনপ্রিয়তা,দুই স্রোতের রচনা তুলনা মূলক ভাবে দেখে, স্পষ্ট ভাবে বলেন।
তাছাড়া বলেন গদ্য সাহিত্যের তুলনায় অনেক শতাব্দীতে কবিগান এগিয়ে চলে এসেছে লেখার ধাঁচাতে এবং পরিবেশনের গুণে বৈচিত্র এনে। সুরেল কথা, আবৃত্তি, রসের সূক্ষ্ম ও মহানতার প্রকাশ দর্শক ও শ্রোতাদের অভিভূত করছে। কবিগানের আসর দর্শক ও শ্রোতাদের ইচ্ছাকে মানিয়ে নেওয়া হত, তাৎক্ষনিক রচনার দ্বারা এক একক বিশিষ্ট। কখনও যদি এই ব্যতিক্রমী প্রয়াস অন্য অসাধু দিকে যেতে চাইলে কবি, গায়ক ব্যঙ্গোক্তিতে পথ বদলানোর প্রয়াস থামিয়ে দিত। অথবা চমৎকার বাকচাতুর্যে উচ্চ ভাবনার অভাবটি বুঝিয়ে দিতেন। বাঙলার সব জিলাতে, বরাক উপত্যকাতে ও ত্রিপুরাতে কবি, গায়করা এক বড় সম্প্রদায়, শিষ্ট সাহিত্যিকদের তুলনায় খুব কম নয়। তাদের অনুরাগীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই কবিগান রচয়িতাগণ অনেক সমস্যার সামনে পড়লেন গদ্য সাহিত্যের দরুন এটা ঠিক নয়। সমস্যাটা হল শিষ্ট ও লোকসাহিত্যের তালমেলের অভাব, এটা গোঁড়া থেকে। বেশি সময় ধরে দেয়া নেয়া ব্যক্তিকেন্দ্রিক তার কারণ সবার উদ্দেশ্য গতানুগতিক রাজপরিবারের জয় গাথা নয় বা নতুন দেবতার স্তুতি পাঠ করা নয়। কারণটা হল ইংরেজ শাসনে সমাজে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ মানুষের সমীকরণ বদলেছে। উৎপাদন, তার বিতরণ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য চাইছে নতুন দেনা পাওনার ব্যবস্থা কবিগায়ক-শ্রোতা, দর্শকদের সমীকরণ বদলেছে।
আবার দাম। দেশ বিভাজনের চাপ
পড়ল নানা মানুষের উপর ভাত কাপড়ের, মাথার
উপরে ছাদের সমস্যাটা তীব্র হয়ে ওঠে। শিষ্টও গণ কবিদের প্রয়াস বাড়ল নিচু জাত পাতের
নিষ্পেষণ, অশুভ-অসত্য ধর্মীয় বিধানের
রদ করতে যেমন নিরীক্ষিত সমস্যার বৃদ্ধি তেমনি তার সমাধানের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়া
দরকার হল জনতার উৎসাহ বাড়ানোর জন্য।
এই সব নতুন পরিস্থিতিতে বাংলা ভাষা সাহিত্যে ও সমাজের দ্রুত বিবর্তনের সাথে পা মিলিয়ে অনেক কবি,গায়করাই যুগোপযোগী পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হলেন দুই বাংলাতে, ত্রিপুরা ও বরাক উপত্যকাতে ।কুসংস্কার ও অসাধু উদ্দেশ্যে ব্যাপক স্তরে প্রচলিত ধর্মাভ্যাসের প্রতিবাদে, প্রতিকার করতে এবং ব্যক্তি ও পরিবারের লোকশিক্ষার তুরন্ত দর্শনীয় হতে কার্যকরী হল। তাছাড। দুই বিশ্বযুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ও স্বাধীনতা আন্দোলন বহুধা কর্ম বিধির প্রেক্ষাপটে তরা লক্ষণীয় মৌলিক ও নতুন পথপ্রদর্শক হলেন। বেদ পুরাণের ভাবধারার সাথে কুরান ও বাইবেলের ভাবধারার সংমিশ্রণ করতে পূর্বসূরিদের চাইতে অনেক বেশি শারীরিক ও মানসিক চাপ সহ্য করে তারা সোচ্চার এবং আগ্রাসী হলেন। সংক্ষেপে বিষয়ে, কবিতা রচনার ছন্দে গানের রাগিণীতে এবং পরিবেশন শৈলীতে, সাহিত্যের অন্যান্য ধারার তুলনীয় মর্যাদা রেখেছেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ড. দীনেশ চন্দ্র সিংহ মহাশয়ের নেতৃত্বে এক ব্যাপক নিরীক্ষণ পঠন গবেষণা সম্পন্ন করেছে। নানাভাবে নানা তথ্য বেশ কয়েকটি ইদানীং কালে প্রকাশিত হয়েছে। কত দূর তাঁরা প্রয়োজনীয়তা এবং পরিমিত-সাধন করতে কৃত হলেন তা দেখা যায় অনেকটা প্রবন্ধ থেকে।
উল্লেখিত শিষ্ট সাহিত্যিকগণের অধিকাংশ লোকসাহিত্যের কবিগানের সাথে বিষয় ও বিস্তারের যোগাযোগ রেখেছেন। তথাপি কবিগানের সমীক্ষণ করাতে উদ্যোগী ছিলেন না। ফলে বড. সংখ্যায় কবিগায়ক বিস্মৃত হন বিশাল রচনা হারিয়ে যায়। তবু নতুন শাসন ব্যবস্থাপনাতে যারা আর্থিক মার খাচ্ছিলেন তারা মানুষের আমোদ দিতে লাগলেন রুচিতে অশালীনতা এনে কথায় এবং ব্যঙ্গ নাচের মধ্য দিয়ে। এটা অল্পসংখ্যক, শহরতলীতে। বড. সংখ্যায় গুণी नाभी कরिয়ালরা তীরা পরম্পরার তঅশুভ -অসসত সামাজিক, পারিবারিক এবং ধর্মবোধি-ধর্মাভ্যাসে প্রতিকার দ্রুত ও ব্যাপক ভাবে করতে লাগলেন । অন্য দিকে সাম্প্রদায়িক বিশেষ করে দেশ বিভাজনের এনারা আরও সচেতন হলেন রচনায় ও পরিবেশনে সর্বতোভাবে বিবর্তন আনতে লাগলেন। সেই দিক থেকে কবিগান যতটা মৌলিক, যতটা বিস্তৃত মাটি জল মানুষকে প্রত্যক্ষ ঘিরে ছুঁয়ে শিষ্ট সাহিত্য ততটা ছিল না। যে কজন অতি মুষ্টিমেয় শিষ্ট, অবশ্য বিদ্রোহী যেমন রামমোহন রায় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, কয়েকটা অশুভ বিধান প্রথার অবসান ঘটালেন। তাঁদের প্রচার করেছেন, গণ-সমর্থন করেছেন কবিয়ালরা। আবার তাদের পৃষ্ঠপোষক চাষি ও কারিগরি ব্যবসায়ীরা উৎপাদন ও বাণিজ্য করে ধনী হয়েছেন যেমন শ্রীমতী রাসমনি দাস, তাঁদের বলাতে রামমোহন বিদ্যাসাগরকে সুরক্ষা দিয়েছেন । অতি বিশিষ্ট হলেন
মুর্শিদাবাদের গুমানী দেওয়ান, বীরভূমের
লম্বোদর চক্রবর্তী, ঢাকার হরিচরণ আচার্য, ফরিদপুরের
রাজেন্দ্র সরকার (ভুঁইমালী) এবং যশোরের বিজয় সরকার (অধিকারী)। এটাও দ্রষ্টব্য যে
গুণী প্রখ্যাত শিষ্ট সাহিত্যিকরা কবিগানকে সাহিত্যিক স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং
কবিয়ালদের নানাভাবে অভিনন্দন জানিয়েনে। আশ্চর্যে বিষয় তথাপি প্রকাশনে ও সমীক্ষণে
সুযোগ দেয়নি। কিন্তু কবিগান গুণে এগিয়ে আছে, কবিয়াল
সংখ্যায় ।হিতৈষীরা বহু সংখ্যায়, বিশেষ
ভাবে উল্লেখনীয় হলেন কবি কুঞ্জ দত্ত, ড.
নিজামউদ্দিন আমেদ, ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. সুশীল
কুমার দে. পুলক চন্দ, দীপ্তি ত্রিপাঠী, হেমাঙ্গ
বিশ্বাস, নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য, পূর্ণ
ভট্টাচার্য, মহেশ চন্দ্র, কবি ভূষণ, পাণ্ডে, জসীমউদ্দিন, অন্নদা
শ্যামলাল রায়, হরেকৃষ্ণ রায়, শশীভূষণ
মুখার্জী, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ।
এই বক্তব্যের সমর্থনে বাংলা সাহিত্যের শিখরের ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের
অভিব্যক্তিগুলি তুলে ধরা হচ্ছে (রবীন্দ্র কুমার দত্ত ২০১৫ও সম্পাদিত প্রবন্ধকার
দীনেশ চন্দ্র সিংহ, স্মৃতি চক্রবর্তী, অমিতা
চৌধুরী, আশিস কুমার বৈদ্য, খেলন দাস (হালদার) ও স্বয়ং
রবীন্দ্র কুমার দত্তের ভূমিকা এবং বাংলা সাহিত্যে কবিয়াল ও কবিগানঃ সেকাল-একাল।
যেমন :
"বাংলা প্রাচীন কাব্য সাহিত্য এবং আধুনিক কাব্য-সাহিত্যের মাঝখানে কবি- ওয়ালাদের গান। এটা এক নূতন সামগ্রী এবং অধিকাংশ নূতন পদার্থের ন্যায় ইহার পরমায়ু তাতি স্বল্প। একদিন হঠাৎ গোধূলির সময়ে যেমন পতঙ্গে আকাশ ছাইয়া যায়, মধ্যাহ্নে আলোকেও তাহাদিগকে দেখা যায় না এবং অন্ধকার ঘনীভূত হইবার পূর্বেই তাহারা অদৃশ্য হইয়া যায়, এই কবির গানও সেইরূপ এক সময়ে বঙ্গসাহিত্যের স্বপ্নস্থায়ী গোধূলি আকাশে অকস্মাৎ দেখা দিয়েছিল।
এই নষ্ট পরমায়ু কবির দলের গান আমাদের সাহিত্য এবং সমাজ ইতিহাসের একটি অঙ্গ এবং ইংরেজ রাজ্যের অভ্যুদয়ে যে আধুনিক সাহিত্য রাজসভা ত্যাগ করিয়া পৌরজন সভায় আতিথ্য গ্রহণ করিয়াছে এই গানগুলি তাহারই প্রথম পথপ্রদর্শক।"
" ইংরেজের নূতন সৃষ্ট রাজধানীতে পুরাতন রাজসভা ছিল না,.... তখন কবির আশ্রয়দাতা রাজা হইল সর্বসাধারণ নামক এক অপরিণত মূলায়তন ব্যক্তি এবং সেটি হঠাৎ রাজার সভায় উপযুক্ত গান হইল কবির দলের গান । তখন যথার্থ-সাহিত্যরস আলোচনার অবসর, যোগ্যতা এবং কয়জনের ছিল? তখন নূতন রাজধানীর নূতন সমৃদ্ধশালী কর্মশ্রান্ত বণিক সম্প্রদায় সন্ধ্যা বেলায় বৈঠকে বসিয়া দুই দণ্ড আমোদের উত্তেজনা চাহিত তাহারা সাহিত্য রস চাহিত না।"
তথ্যসূত্র
১) অতুল কৃষ্ণ প্রেক্ষাপট, ভাষার সুর
ভারতের নৃতাত্ত্বিক ও পরিচয়ঃ প্রাগৈতিহাসিক জাতিভেদ। সাহিত্য লোক, কলকাতা, ১৯৮৮।
যাদুঘর, সমাজ ও
জাতিভেদ । সাহিত্য লোক, কলকাতা 1988
২) Dinesh
Chandra Das Man's Tryst with Destiny in World and India: Part-A: Food to
Religion. BUUKS, Chennai, 2020.
৩) জ্যোতির্ময় রায়: লোক
কবিয়াল কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর, হিমদল রায় ও সমুদ্র বিশ্বাস
গ্লাস। অলংকৃত তীর, লোক কবিগান , ষান্মাসিক, ১৭ বর্ষ
সংখ্যা, অক্টোবর- জানুয়ারি, কলকাতা, ২০১৬-২০১৭।
৪) রবীন্দ্র কুমার দত্ত
বাংলা কবিগান ও কবিয়াল হরিচরণ আচার্য: দীনেশ চন্দ্র সিংহ, অগ্নিকুমার
আচার্য, স্মৃতি চক্রবর্তী, অমিতা চৌধুরী, আশিষ
কুমার বৈদ্য, প্রণব বর্ধন, খেলন দাস
(হালদার), সন্দীপ দেব ও স্বয়ং রবীন্দ্র
কুমার দত্তের ভূমিকা এবং বাংলা সাহিত্যে কবিয়াল ও কবি গানঃ সেকাল-একাল, অক্ষর
পাবলিকেশন্স, আগরতলা, ২০১৫।
ক্রমশ ………………
৩য় পর্ব পড়ুন আগামী মঙ্গলবার
লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
লেখক পরিচিতি –
স্কুল-কলেজ পেরিয়ে উচ্চশিক্ষা পান আই
টি খরগপুর, নেডারল্যান্ডস্ ও
জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইউ এস এ -তে ।
কর্মক্ষেত্র উত্তর প্রদেশ-এর তরাই অঞ্চলের গ্রাম, ভারত সরকার-এর অধীনে অরুণাচল-এ, (শিলং-এ থেকে), উটি (তামিলনাড়ু), দেরাদুন-এ (উত্তরাখণ্ড) , কৃষি এবং পরিবেশ
মন্ত্রালয়, দিল্লি-তে।
দিল্লির ৩৪ পল্লীর কালীবাড়ির সাথে
যুক্ত আছেন বিগত ৩০ বছর ধরে।
১৯৪৮ সাল থেকেই লেখেন কিন্তু প্রথম প্রকাশন ২০১৫-তে। কবিতা , গল্প, ভ্রমণ কাহিনী ও প্রবন্ধ ছাপতে থাকে দিল্লির
পত্র-পত্রিকাগুলোতে। কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন।
প্রথম বই ' অনুভূতি বহুরূপে'। অনেক বই প্রকাশিত
হয়েছে। বর্তমানে দিল্লিথেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ' কলমের সাথ রঙ' পত্রিকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং উচ্চপদে আছেন।