হাতড়ে চলি থলির ভেতর
শব্দ গন্ধ ছবি
পেলাম নাকো স্মৃতি খুঁজে
উলটে দেখি সবই ।
কোথায় যেন দেখেছি ভাই
তোমাকে কোনযুগে
ভুলে যাওয়াই স্বভাব এখন
রোগে ভুগে ভুগে ।
এইতো সেদিন বাজার গিয়ে
ফেরার পথটা ভুলি
কোথায় বাড়ী,আমি যে কে
নিজেই প্রশ্ন তুলি ।
শেষে দেখি একটা কুকুর
পাঞ্জাবীটা ধ'রে
টানতে টানতে নিয়ে এলো
সোজা আমার ঘরে ।
পাড়ার কুকুর চিনতে পেরে
জানায় লেজটা নেড়ে
পাগল ভেবে অন্য কুকুর
আসতো হয়তো তেড়ে ।
বৃদ্ধ হলে সবারই কি
এমন দশা হয় ?
নিজের কাছে নিজেই আমার
হারিয়ে যাবার ভয় ।
পৃথিবীটা ভীষণ বড়
কত কিছুই আছে
থাকে সবাই অনেক দূরে
কাকে পাবো কাছে ?
আমার তরুণ অবস্থাটা
চোখের সামনে নাচে
বদলে যেতে থাকে জীবন
নিত্য নতুন ধাঁচে ।
হাত কাঁপছে, পা কাঁপছে
কখনো বুক কাঁপে
আগের মতো আর রাগি না
কারুর কথার তাপে ।
দেহ মনের আগুন এখন
নিভছে ধীরে ধীরে
দুর্বলতায় ভিজে ওঠে
দু'গাল
অশ্রুনীরে ।
প্রকৃতিরই খেলারে ভাই
এসব বয়স কালে
ভাগ্যবান পড়ে না এই
জীবন মরণ জালে ।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি -
জন্ম মুর্শিদাবাদে। প্রাথমিক শিক্ষা সেখানে ও পরে পাটনায় । 1969 সাল থেকে দিল্লিবাসী। বিজ্ঞানে স্নাতক, কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে অবসরপ্রাপ্ত । বর্তমানে "কলমের সাত রঙ" পত্রিকার নিয়মিত লেখক ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি।
ভাল লাগে সঙ্গীত, সাহিত্য, বইপড়া, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, যোগব্যায়াম, আধ্যাত্মিকতা, প্রেত-তত্ত্ব ইত্যাদিতে চর্চা। যুক্তিবাদী, মুক্ত-চিন্তাবিলাসী ও কুসংস্কার বিরোধী ।