'ভারতপথিক' রাজা
রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩) -এর মৃত্যুর পর তাঁর অসম্পূর্ণ বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড স্তব্ধ
হয়ে যাওয়ার সমূহ আশংকা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সে- আশংকাকে ভুল প্রমাণিত করে
রামমোহনের অসম্পূর্ণ বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড নিজ স্কন্ধে তুলে নেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র
বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১)। রামমোহন যদি সংস্কার আন্দোলনের 'প্রভাতের
তারা' হন, তাহলে ঈশ্বরচন্দ্র 'উদিত সূর্য'।
১৮২০ সালের ২৬
সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামের অত্যন্ত দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে
ঈশ্বরচন্দ্রের জন্ম হয়। তাঁর পিতা- ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা ভগবতী দেবী।
পাণ্ডিত্যের গভীরতায়, মানসিকতার উদারতায়,
সমাজ সংস্কারের তৎপরতায় ঈশ্বরচন্দ্রের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
প্রকাশ পেয়েছে তা এদেশের সমাজ-সংস্কৃতির ইতিহাসে উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে গণ্য।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যে কর্মবহুল সফল জীবন অতিবাহিত করেছিলেন তা ধর্ম ও
সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি সাহিত্যের ক্ষেত্রেও
বৈচিত্র্যপূর্ণ।
রাজা রামমোহন রায়ের মতো
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও সাহিত্য সৃষ্টির জন্যে কলম ধরেননি। তাঁর সাহিত্য রচনার
উদ্দেশ্য ছিল জনকল্যাণ, নিছক সাহিত্যতত্ত্ব
নয়। বিদ্যাসাগরের যথেষ্ট সাহিত্যপ্রতিভা ও রচনাশক্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি
শিক্ষাপ্রচার তথা সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যেই বাংলা গদ্যের রচনা শুরু করেন। বলা
বাহুল্য, তিনি যদি শুধু সাহিত্য সৃষ্টিতে নিজেকে নিমগ্ন
রাখতেন তাহলে তাঁর মধ্যে এক বিচিত্র সাহিত্যপ্রতিভার পরিচয় পাওয়া যেতো। উপযোগবাদী
বিদ্যাসাগর ছাত্রদের উপযোগী পাঠ্যগ্রন্থ রচনা করার জন্যে সমৃদ্ধশালী ভাষা সংস্কৃত
ও ইংরেজি থেকে কয়েকটি গ্রন্থ অনুবাদ করে যুগের দাবিকেই মিটিয়েছেন। পাশাপাশি
বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ রোধকল্পে এবং বিধবা বিবাহ প্রচলনের
উদ্দেশ্যে তাঁর লেখনী চালনা করেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা গ্রন্থগুলোকে
বিষয়বস্তু ও রচনারীতি অনুসারে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় - ১) অনুবাদমূলক রচনা,
২) সমাজ-সংস্কারমূলক রচনা, ৩)
সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক রচনা এবং ৪) ব্যক্তিগত রচনা। এই চারটি স্তরের প্রথমটি সম্পূর্ণ
অনুবাদমূলক, পরের দুটি অনুবাদ ও বিশ্লেষণমূলক এবং শেষেরটি
মৌলিক রচনার অন্তর্গত।
বিদ্যাসাগরের অনুবাদমূলক
গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে 'বাসুদেব চরিত'
(১৮৪৭), 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭), 'বাংলার ইতিহাস' (১৮৪৮),
'জীবনচরিত' (১৮৪৯), 'বোধোদয়'
(১৮৫১), 'শকুন্তলা' (১৮৫৪),
'কথামালা' (১৮৫৬), 'সীতার
বনবাস' (১৮৬০), 'ভ্রান্তিবিলাস'
(১৮৬৯) ইত্যাদি। তাঁর সমাজ-সংস্কারমূলক রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে। 'বিধবাবিবাহ চলিত হওয়া উচিত কিনা এতদবিষয়ক প্রস্তাব' (প্রথম- ১৮৫৫, দ্বিতীয়- ১৮৫৫) , 'বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদবিষয়ক বিচার' (প্রথম
১৮৭১, দ্বিতীয় - ১৮৭৩) ইত্যাদি। বিদ্যাসাগরের লেখা 'সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব' (১৮৫৩)
নামক গ্রন্থটিই কোনো বাঙালির লেখা প্রথম সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থ।
গ্রন্থটি বাংলা সমালোচনা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক গদ্যের উজ্জ্বল নিদর্শন
ইত্যাদি।
বিদ্যাসাগরের লেখা মৌলিক
সাহিত্য (যা মূলত ব্যক্তিগত রচনা)- এর সংখ্যা দুটি। একটি হল-অসমাপ্ত গ্রন্থ 'জীবনচরিত' (১৮৯১) এবং অপরটি হচ্ছে তাঁর বন্ধুকন্যার
অকাল মৃত্যুতে (মাত্র চার বছর বয়সে) রচিত 'প্রভাবতী সম্ভাষণ'
(১৮৬৩, আনুমানিক)। আমাদের আলোচ্য বিষয়
বিদ্যাসাগরের মৌলিক রচনা হওয়ায় এরপর আমরা মূলত এর মধ্যেই বিচরণ করব। নির্মম নিয়তির
করাল ছোবলে আক্রান্ত হয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বন্ধু রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের
চার বছরের কন্যা প্রভাবতীর আকস্মিক মৃত্যু হয়। বন্ধু-কন্যাকে হারানোর পর
বিদ্যাসাগর সবার অলক্ষ্যে এঁকেছিলেন একটি স্মরণ-সুন্দর আলেখ্য- 'প্রভাবতী সম্ভাষণ'। এখানে আমরা তার অংশ বিশেষ তুলে
ধরছি-
"বৎসে প্রভাবতী। তুমি দয়া,
মমতা ও বিবেচনায় বিসর্জন দিয়া, এ জন্মের মত,
সহসা, সকলের দৃষ্টিপথের বহির্ভূত হইয়াছ।
কিন্তু আমি, অনন্যচিত্ত হইয়া, অবিচলিত
স্নেহভরে তোমার চিন্তায় নিরন্তর এরূপ নিবিষ্ট থাকি যে, তুমি,
এক মুহূর্তের নিমিত্ত, আমার দৃষ্টিপথের
বহির্ভূত হইতে পার নাই।...
বৎসে। তোমার কিছুমাত্র
দয়া ও মমতা নাই। যখন, তুমি, এত সত্বর চলিয়া যাইবে বলিয়া স্থির করিয়া রাখিয়া- ছিলে, তখন তোমার সংসারে না আসাই সর্বাংশে উচিত ছিল। তুমি, স্বল্প
সময়ের জন্য আসিয়া, সকলকে কেবল মর্মান্তিক বেদনা দিয়া গিয়াছ।
আমি যে, তোমার অদর্শনে, কত যাতনাভোগ
করিতেছি, তাহা তুমি একবারও ভাবিতেছ না।...
বৎসে। তুমি এমন শুভক্ষণে
জন্মগ্রহণ করিয়াছিলে যে, ব্যক্তিমাত্রেই,
তোমার অদ্ভুত মনোহর মূর্তি ও প্রভূত মাধুরীপূর্ণ ভাবভঙ্গী দৃষ্টিগোচর
করিয়া, নিরতিশয় পুলকিত ও চমৎকৃত হইতেন। তুমি সকলের নয়নতারা
ছিলে। সকলেই তোমার আপন প্রাণ অপেক্ষা প্রিয় জ্ঞান করিতেন। এই নগরের অনেক পরিবারের
সহিত আমার প্রণয় পরিচয় আছে; কিন্তু, কোনও
পরিবারেই, তোমার ন্যায়, অবিসংবাদে
সর্বসাধারণের নিরতিশয় স্নেহভূমি ও আদরভাজন অপত্য, এ পর্যন্ত,
আমার দৃষ্টিপথে পতিত হয় নাই। তুমি যে স্বল্পকাল সংসারে ছিলে,
তাহা আদরে আদরে অতিবাহিত করিয়া গিয়াছ, অস্নেহ
বা অনাদর কাহাকে বলে, এক মুহূর্তের নিমিত্ত তোমায় তাহার
অণুমাত্র অনুভব করিতে হয় নাই।...
বৎসে। আমি যে তোমায়
আন্তরিক ভালবাসিতাম, তাহা তুমি বিলক্ষণ জান। আর,
তুমি যে আমায় আন্তরিক ভালবাসিতে, তাহা আমি
বিলক্ষণ জানি। আমি, তোমায় অধিকক্ষণ না দেখিলে, যারপর নাই অসুখী ও উৎকণ্ঠিত হইতাম। তুমিও, আমায়
অধিকক্ষণ না দেখিতে পাইলে, যার পর নাই অসুখী ও উৎকণ্ঠিত হইতে;
এবং, আমি কোথায় গিয়াছি, কখন
আসিল আসিতে এত বিলম্ব হইতেছে কেন, অনুক্ষণ, এই অনুসন্ধান করিতে। এক্ষণে, এত দিন তোমা দেখিতে না
পাইয়া আমি অতি বিষম অসুখে কালহরণ করিতেছি। কিন্তু, তুমি এত
দিন আমা না দেখিয়া, কি ভাবে কালযাপন করিতেছ, তাহা জানিতে পারিতেছি না। বৎসে। যদিও তুলি নিতান্ত নির্মম হইয়া, এ জন্মের মত, অন্তর্নিহিত হইয়াছ, এবং আমার নিমিত্ত আকুলচিত্ত হইতেছ কি না, জানিতে
পারিতেছি না, আর, হয় ত, এত দিনে, আমায় সম্পূর্ণরূপে বিস্মৃত হইয়াছ, কিন্তু, আমি তোমায়, কস্মিন
কালেও, বিস্মৃত হইতে পারিব না। তোমার অদ্ভুত মনোহর মূর্তি,
চিরদিনের নিমিত্ত, আমার চিত্তপটে চিত্রিত
থাকিবেক। কালক্রমে পাছে তোমায় বিস্মৃত হই, এই আশঙ্কায়,
তোমার যারপর নাই চিত্তহারিণী ও চমৎকারিণী লীলা সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ
করিলাম। সতত পাঠ করিয়া, তোমায় সর্বক্ষণ স্মৃতিপথে জাগরূক
রাখিব; তাহা হইলে, আর আমার তোমায়
বিস্মৃত হইবার অণুমাত্র আশঙ্কা রহিল না।..."
'প্রভাবতী সম্ভাষণ' -এর হৃদয়গত আবেদন এত গভীর যে। একে অনায়াসে 'গদ্য
কবিতা' অভিধায় অভিহিত করা যায়। এই রচনাটি অশ্রুবিধুর হলেও এর
গদ্যে অনমনীয় পৌরুষ নেই, নেই প্রবল গতিচ্ছন্দ। ছিন্ন মণির
মতো অশ্রুর ধারায় ভেসে গেছে রাজকীয় শব্দসম্পদ। এর গদ্য ক্লান্ত মুসাফিরের মতো
ভারাক্রান্ত। বলা যায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যদি অন্য কোন লেখা নাও লিখতেন,
শুধুমাত্র 'প্রভাবতী সম্ভাষণ' এর জন্যেই তিনি বাংলা সাহিত্যে মৃত্যুহীন কৃতিত্বের অধিকারী হতেন।
বিদ্যাসাগরের লেখা
আত্মজীবনীটি ('বিদ্যাসাগর চরিত') বাংলা জীবনী সাহিত্যের সম্পদবিশেষ। অতীব দুঃখের বিষয় নানাবিধ কাজে ব্যস্ত
বিদ্যাসাগর জীবনের শেষ প্রান্তে (মৃত্যু ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই কলকাতায়) পৌঁছে যখন
আত্মজীবনী রচনায় মনোনিবেশ করলেন, তখন নতুন সাহিত্যকর্মে তাঁর
বড়ো একটা স্পৃহা ছিল না, সময়ও ছিল না। সে জন্যে বাল্যজীবনের
কাহিনি বলতে বলতে গ্রন্থ অর্ধপথেই থেমে গেছে। বলা যায় গ্রন্থটি সম্পূর্ণকারে শেষ
হলে বাংলা সাহিত্যে এক দুর্লভ ব্যক্তিত্বের আশ্চর্য প্রতিফলন পরিলক্ষিত হতো।
অসম্পূর্ণ 'বিদ্যাসাগরচরিত'- এর মাঝেও দেখা যায়- ঈশ্বরচন্দ্র
বিদ্যাসাগর কত অল্পে নিজের দুঃখকে প্রকাশ করেছেন। কত সহজে তাঁর রচনা 'সাহিত্যপদবাচ্য' হয়ে উঠেছে। তাঁর পিতা ঠাকুরদাস
বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুঃখকাহিনী কোন আবেগের সংযোগ ছাড়াই হয়ে উঠেছে মর্মস্পর্শী। এখানে
রচনাটির অংশবিশেষ তুলে ধরা যায়-
"... বীরসিংহগ্রামে আমার জন্ম
হইয়াছে; কিন্তু, এই গ্রাম আমার
পিতৃপক্ষীয় অথবা মাতৃপক্ষীয় পূর্বপুরুষদিগের বাসস্থান নহে। জাহানাবাদের ঈশান কোণে,
তথা হইতে প্রায় তিন ক্রোশ অন্তরে, রণমালীপুর
নামে যে গ্রাম আছে, উহাই আমার পিতৃপক্ষীয় পূর্বপুরুষদিগের
বাসস্থান বহুকালের বাসস্থান। যে ঘটনাসূত্রে পূর্বপুরুষদিগের বাসস্থানে বিসর্জন
দিয়া, বীরসিংহগ্রামে আমাদের বসতি ঘটে, তাহা
সংক্ষেপে উল্লিখিত হইতেছে।
প্রপিতামহদেব ভুবনেশ্বর
বিদ্যালঙ্কারের পাঁচ সন্তান, জ্যেষ্ঠ
নৃসিংহরাম, মধ্যম গঙ্গাধর, তৃতীয় রামজয়,
চতুর্থ পঞ্চানন, পঞ্চম রামচরণ। তৃতীয় রামজয়
তর্কভূষণ আমার পিতামহ। বিদ্যালঙ্কার মহাশয়ের দেহত্যাগের পর, জ্যেষ্ঠ
ও মধ্যম, সংসারে কর্তৃত্ব করিতে লাগিলেন। সামান্য বিষয়
উপলক্ষ্যে, তাঁহাদের সহিত কথান্তর উপস্থিত হইয়া, ক্রমে বিলক্ষণ মনান্তর ঘটিয়া উঠিল। জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সহোদরের
অবমাননাব্যঞ্জক বাক্যপ্রয়োগে, তদীয় অন্তঃকরণ নিরতিশয় ব্যথিত
হইল। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া, তিনি কতিপয় দিবস অতিবাহিত করিলেন;
অবশেষে, আর এস্থানে অবস্থিতি করা, কোনও ক্রমে, বিধেয় নহে, এই
সিদ্ধান্ত করিয়া, কাহাকেও কিছু না বলিয়া, এককালে, দেশত্যাগী হইলেন।..." ইত্যাদি।
পরিশেষে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একাধারে সমাজ সংস্কারক পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, পরোপকারী ('দয়ার সাগর' নামে খ্যাত), সত্যসন্ধানী ইত্যাদি। যথেচ্ছভাবে সাহিত্যচর্চা করতে না পারলেও তিনি বাংলা গদ্যকে দিয়েছেন স্বাতন্ত্র্য ও অভিজাত্য এবং সর্বোপরি শিল্পসম্মত রীতি। বিদ্যাসাগরের বলিষ্ঠ প্রতিভার জাদুস্পর্শে বাংলা গদ্য কৈশোর কালের অনিশ্চয়তাকে পেছনে ফেলে পূর্ণ সাহিত্যিক রূপের নিশ্চয়তার মধ্যে স্থান পায়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) যথার্থ অর্থেই বলেছেন, "বিদ্যাসাগরের প্রধান কীর্তি বঙ্গভাষা"। পাশাপাশি তিনি তাঁকে "বাংলা গদ্যের প্রথম যথার্থ শিল্পী" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সমাপ্ত
লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
লেখক পরিচিতি –
ড.বাসুদেব রায়ের জন্ম ১৯৬২ সালে। কবিতার মাধ্যমে সাহিত্যের জগতে আত্মপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশিত বই মানব' (কাব্যগ্রন্থ), দ্বিতীয় বই রক্তের বাঁধন (উপন্যাস)। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় পদচারণা করলেও প্রবন্ধ সাহিত্যের দিকে তার ঝোঁক বেশি। তদুপরি গবেষণামূলক প্রবন্ধ তথা বই লিখতে তিনি অধিকতর উৎসাহী। গবেষণামূলক বইয়ের পাশাপাশি সাধু-মহাপুরুষদের জীবনী-গ্রন্থ, একাঙ্কিকা ইত্যাদি সম্পাদনাও করেছেন তিনি।
ড.বাসুদেব রায়ের বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। হার উল্লেখযোগ্য গবেষণা গুলোর মধ্যে রয়েছে মনসামঙ্গল কাব্যে দেবদেবীর স্বরূপ', চণ্ডীমঙ্গল ও অন্নদামঙ্গল কাব্যে দেবদেবীর স্বরূপ, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে সমাজ-চিত্র ইত্যাদি। তাঁর যৌথ রচনা ও উপেক্ষণীয় নয়।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বাসুদেব রায় নিরলস ভাবে লিখে চলেছেন। এছাড়াও নতুন করে তিনি একক ও যৌথভাবে বেশ কয়েকটি গবেষণামূলক কাজে হাত দিয়েছেন। নিয়মিত বিভিন্ন e magazine-এ লেখেন।