ছোট্ট একটা খাল, পারাপারে
নৌকো লাগে না, বাঁশে বাঁধা সাঁকো।
কাছে-দূরে ক-ঘর পটুয়া থাকে
জানি। কারো নাম ধরে কেউ যদি ডাকে,
দরমার দরজা খুলে সহাস্য
সাড়া দেয় প্রত্যেকেই তারা।
দাওয়াতে আসন পেতে অতিথি আপ্যায়নে
মজে, আনন্দে আত্মহারা।
আমার জীবনেও এমনই একটি ঘটনা, তখন কৈশোর, কবেকার
কথা।
দিনান্তে সূর্য সেদিন
পশ্চিমে হেলে সন্ধ্যা হব-হব, বুকে তার
সদ্যহারা আকাশের ব্যথা।
ধীরে ধীরে পৃথিবী নতুন রূপে, অন্ধকারে
ঢাকা। সেসময়
একটি আলোর রেখা দপ করে নিভে
গিয়ে শূন্যে ঝুলে নেভা-সূর্যের মতো
আমাকে পাঠালো তার শেষতম লেখা।
পটুয়া মেয়ের মতো ঈশ্বরীরা
আসে যত, নষ্ট হওয়া চোখে আঁকে আলোকিত প্রেম।
কিশোর যুবক হ'ল, কবিতাযাপনে এলো লক্ষকোটি ট্যাবু ও টোটেম।
কবি পরিচিতি -
বাংলা কবিতার সাতের দশকের এক প্রতিবাদী কবিমুখ,সুভাষ সরকার।
অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ রাজ্য সরকারি আধিকারিক।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : *প্রিয় মাতৃমুখ*;*অনুসন্ধানপর্বের কবিতা*;*কবিতা কৃষ্ণপক্ষে*;
*ঈশ্বরীকথা সমগ্র*।
শীঘ্র প্রকাশের পথে : *আধিপত্য নয়*; এবং নির্বাচিত একশো কবিতার ইংরেজি অনুবাদ।
সম্পাদিত পত্রিকা : *কবিতা ও গল্প বারোমাস*।