Advt

Advt

scientist-acharya-prafulla-chandra-roy-jana-ajana-feature-knowledge-science-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-বিজ্ঞানী-প্রফুল্ল-চন্দ্র-রায়-কালীপদ-চক্রবর্তী

 বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়

কালীপদ চক্রবর্তী

বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ছিলেন নির্লোভ,পরোপকারী,শিক্ষাবিস্তারে নিবেদিত প্রাণ এক মানুষ। যখনই মানুষের দুর্ভোগ দেখতেন তখনই সেখানে তিনি পৌঁছে যেতেন। তা স্বাধীনতা সংগ্রামী হোক বা ঝড়,বন্যায় দুর্যোগ-গ্রস্ত মানুষই হোক,সবারই সহায় হয়ে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন। এই মহান কর্মযোগী মানুষটিকে সকলে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বা এ পি সি রায় বলেই জানেন।

২রা আগস্ট এই মহান মনিষী বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মদিন । তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, বিজ্ঞান শিক্ষক, দার্শনিক এবং কবি। তিনি বেঙ্গল কেমিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্কিউরাস নাইট্রাইট-এর আবিষ্কারক। দেশী শিল্পায়ন-এর উদ্যোক্তা। তাঁর জন্ম অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলায় (বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত)। তিনি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর সহকর্মী ছিলেন। ভারতবর্ষে পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে গবেষণার সূত্রপাত করেন যেমন জগদীশ চন্দ্র বসু, রসায়নবিদ্যার গবেষণায় সেইরূপ পথিকৃৎ ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। তিনি যে কেবল একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ছিলেন তা নয়, তার একক প্রচেষ্টায় মৌলিক গবেষণার দিকে কৃতী ছাত্রদের আকৃষ্ট করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের প্রথম রাসায়নিক গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। খ্যাতনামা আমরা দেখেছি বিজ্ঞানীরা সাধারণত গবেষণাগারের মধ্যেই তাদের কর্মক্ষেত্রের পরিধি সীমাবদ্ধ রাখেন, কিন্তু প্রফুল্ল চন্দ্রের জীবনে আমরা এর এক বিস্ময়কর ব্যতিক্রম দেখতে পাই। বিজ্ঞান চর্চার সাথে সাথে দেশ ও দলের সেবাকে তিনি সমান গুরুত্ব দিতেন। তার অকৃত্রিম স্বাদেশিকতা, শিল্পোন্নয়নে অনুরাগ, শিক্ষা বিস্তারে ও সমাজ সেবায় আগ্রহ এবং সর্বোপরি তার সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন প্রণালির জন্য দেশবাসীর কাছে তিনি ছিলেন ঋষিতুল্য, আচার্য।

আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বাংলাদেশের খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাডুলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা'র নাম ছিল ভুবনমোহিনী দেবী এবং পিতার নাম ছিল হরিশচন্দ্র রায় চৌধুরী,যিনি স্থানীয় একজন জমিদার এবং পারস্য ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। ভুবনমোহিনী দেবী তাঁর মধুর প্রকৃতি ও কোমল হৃদয় স্বভাবের জন্য সকলের কাছে খুবই প্রিয় ছিলেন। প্রফুল্ল চন্দ্র যে পরোপকার ব্রত গ্রহণ করেন, তার দীক্ষা পিতা-মাতার থেকেই পেয়েছিলেন। তাদের পাঁচ পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে প্রফুল্ল চন্দ্র ছিলেন তৃতীয় পুত্র। ছোটবেলা থেকেই প্রফুল্ল চন্দ্র অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং প্রত্যুৎপন্নমতি ছিলেন। তাঁর মা-বাবা আদর করে তাঁকে ফুলু বলে ডাকতেন। 

তার পড়াশোনা শুরু হয় বাবার প্রতিষ্ঠিত এম ই স্কুলে। চার বছর বয়সে তাঁর হাতে খড়ি হয়। ১৮৬৬ সাল থেকে ১৮৭০ সাল এই চার বছর তিনি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন।  ১৮৭২ সালে তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার পড়ালেখায় বিঘ্নের সৃষ্টি হয়। বাধ্য হয়ে তিনি নিজের গ্রামে ফিরে যান। গ্রামে থাকার এই সময়টা তার জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনে সাহায্য করেছে। বাবার গ্রন্থাগারে প্রচুর বই পান তিনি এবং বইপাঠ তার জ্ঞানমানসের বিকাশসাধনে প্রভূত সহযোগিতা করে।

১৮৭৪ সালে প্রফুল্ল চন্দ্র আবার কলকাতায় ফিরে এসে অ্যালবার্ট স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকেই ১৮৭৮ সালে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন কলেজে (বর্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ) ভর্তি হন। ১৮৮১ সালে সেখান থেকে এফ এ পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজে বি এ-তে ভর্তি হন। প্রেসিডেন্সী থেকে গিলক্রিস্ট বৃত্তি নিয়ে তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চলে যান। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বি এস সি পাশ করেন এবং ডি এস সি ডিগ্রী লাভের জন্য গবেষণা শুরু করেন। তার সেই গবেষণার বিষয় ছিল কপার ম্যাগনেসিয়াম শ্রেণীর সম্মিলিত সংযুক্তি পর্যবেক্ষণ (Conjugated Sulphates of Copper Magnesium Group: A Study of Isomorphous Mistures and Molecular Combination)দুই বছরের কঠোর সাধনায় তিনি এই গবেষণা সমাপ্ত করেন এবং পি এইচ ডি ও ডি এস সি ডিগ্রী লাভ করেন। এমনকি তার এই গবেষণাপত্রটি শ্রেষ্ঠ মনোনীত হওয়ায় তাকে হোপ প্রাইজে ভূষিত করা হয়। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই ১৮৮৫ সালে সিপাহী বিদ্রোহের আগে ও পরে (India Before and After the Sepoy Mutiny) এবং ভারত বিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধ লিখে ভারতবর্ষ এবং ইংল্যান্ডে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে ১৮৮৮ সালে আচার্য রায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফিরে প্রেসিডেন্সী কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। প্রায় ২৪ বছর তিনি এই কলেজে অধ্যাপনা করেছিলেন। অধ্যাপনাকালে তার প্রিয় বিষয় রসায়ন নিয়ে তিনি নিত্য নতুন অনেক গবেষণাও চালিয়ে যান। নিজের বাসভবনে দেশীয় ভেষজ নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে তিনি তার গবেষণাকর্ম শুরু করেন। এই গবেষণাস্থল থেকেই পরবর্তী কালে বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানার সৃষ্টি হয় যা ভারত বর্ষের শিল্পায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।  পরবর্তীকালে ১৯০১ সালে তা কলকাতার মানিকতলায় ৪৫ একর জমিতে স্থানান্তরিত করা হয়। তখন এর নতুন নাম রাখা হয় বেঙ্গল কেমিক্যাল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড।

  ১৮৯৫ সালে তিনি মারকিউরাস নাইট্রাইট (HgNO2) আবিষ্কার করেন যা বিশ্বব্যাপী আলোড়নের সৃষ্টি করে। এটি তার অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। তিনি তার সমগ্র জীবনে মোট ১২ টি যৌগিক লবণ এবং ৫ টি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন।

  সি আই ই: ১৯১১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটর হিসেবে তৃতীয়বারের মত তিনি ইংল্যান্ড যান এবং সেখান থেকেই সি আই ই লাভ করেন।

  সম্মানসূচক ডক্টরেট: ১৯১১ সালে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় তাকে এই ডিগ্রী দেয়। এছাড়া ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তীকালে মহীশুর ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তিনি ডক্টরেট পান।

  নাইট: ১৯১৯ সালে তিনি নাইট উপাধি লাভ করেন।

  ১৯২২ সালে উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা হলে সেখানেও তিনি ছুটে যান। সেখানকার মানুষদের রক্ষায় গঠিত ত্রাণ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

  তিনি ১৯০৬ সালে ৪১টি কৃষি ঋণদান সমবায় সমিতি গড়ে তোলেন।

  ১৯০৮ সালে আচার্য দেব এবং তাঁর ভাই রায় সাহেব নলিনীকান্ত রায়চৌধুরীর চেষ্টায় সমবায় সমিতিগুলো নিয়ে রাড়ুলি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন, যা ছিল অবিভক্ত বাংলায় তৃতীয় ব্যাঙ্ক।

আচার্য দেবের দেশপ্রেম তাকে ইউরোপে থেকে ফিরিয়ে এনেছিল। দেশে এসেও তিনি তার সেই স্বদেশপ্রীতির পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ক্লাসে বাংলায় লেকচার দিতেন। বাংলা ভাষা তার অস্তিত্বের সাথে মিশে ছিল। তার বাচনভঙ্গি ছিল অসাধারণ যার দ্বারা তিনি ছাত্রদের মন জয় করে নিতেন খুব সহজেই। তিনি সকল ক্ষেত্রেই ছিলেন উদারপন্থী। অনেক সময়ই দেখা যায়, কলেজের প্রবীণ শিক্ষক উঁচু ক্লাসে পড়ানো পছন্দ করেন। প্রফুল্ল চন্দ্র কিন্তু ছিলেন এর বিপরীত। নতুন ছাত্রদের মনে রসায়নের মূল বিষয়গুলো যাতে শুরু থেকেই গেঁথে যায় তাই তিনি সরল বক্তৃতার মাধ্যমে সেই চেষ্টাই করতেন। কোন একটি নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করা তিনি পছন্দ করতেন না। বরং পঠিতব্য বিষয়ের মূল বক্তব্য বুঝিয়ে তিনি চাইতেন ছাত্ররা চালো যে কোন পাঠ্যপুস্তক তার বক্তৃতার পরিপূরক হিসেবে পাঠ করুক।

প্রতি ক্লাসের শেষে তিনি কোন না কোন সামাজিক সমস্যা বা কুসংস্কারের উল্লেখ করতেন, যেমন জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতা, বাল্যবিবাহ, পণপ্রথা, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, আমাদের সমাজের এই কুপ্রথাগুলো দূর করতে না পারলে জাতীয় উন্নতি ও সামাজিক মুক্তির পথ সুগম হবে না। তার মৃত্যুর চার দশক পরেও এ কথাগুলো যে কত সত্য, তা সমাজ সচেতন দেশবাসী-মাত্রই উপলব্ধি করতে পারবেন।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার রসায়ন সম্পর্কিত তিন শতাধিক গবেষণামূলক রচনা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করে গেছেন। তাঁর রচিত কয়েকটি গ্রন্থাবলী হল -

  India Before and After the Sepoy Mutiny (সিপাহী বিদ্রোহের আগে ও পরে)

  সরল প্রাণীবিজ্ঞান, বাঙ্গালী মস্তিষ্ক ও তার অপব্যবহার

  হিন্দু রসায়নী বিদ্যা

  মোট গবেষণাপত্রের সংখ্যা ১৪৫ টি

প্রফুল্ল চন্দ্র যে কতটা সমাজ সচেতন ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় তার গবেষণা জীবনের প্রথম দিকের বিষয়গুলো থেকে। খাবারে ভেজাল এখন যেমন ব্যাপক, তখন কার দিনে তার প্রকোপ ততটা ন হলেও ভেজালের যুগ তখন শুরু হয়ে গেছে। ভোজ্য তেল ও স্নেহজাতীয় নানা খাদ্যদ্রব্যের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে তার ভেতর ভেজালের পরিমাণ কতখানি, তা তিনি নির্ধারণ করেন এবং তার গবেষণার ফল এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় প্রকাশ করেন।

১৯৩৭ সালে ৭৫ বছর বয়সে তিনি যখন পরিপূর্ণ অবসর নিতে চাইলেন, তখন উপাচার্য শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে রসায়নের গবেষণাকর্মের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। বিজ্ঞান কলেজে যোগ দিয়ে তিনে কলেজেরই দোতলার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের একটি ঘরে থাকতেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি ঐ ঘরেই কাটান। কলেজে সব সময় ৮-১০জন ছাত্র গবেষণাকাজের জন্য তাঁর কাছে থাকতেন।

চিরকুমার প্রফুল্ল চন্দ্রের জীবন ছিল অনাড়ম্বর। ছাত্রদের সঙ্গে তাঁর নিবিড় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। জাতীয় শিক্ষা ও শিল্পোদ্যোগের প্রতি ছিল তার অকৃপণ সহায়তা। মানব কল্যাণে নিজের অর্জিত সব অর্থ তিনি অকাতরে দান করে গেছেন। তিনি মারকিউরাস নাইট্রাইট ও পারদ সংক্রান্ত মিশ্র ধাতু আবিষ্কার করে রসায়ন জগতে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। গবাদি পশুর হাড় পুড়িয়ে তাতে সালফিউরিক এসিড যোগ করে তিনি সুপার ফসফেট অফ লাইম তৈরি করতে সমর্থ হন।

এই মহান মনিষী কে তাঁর জন্মদিনে সহস্রকোটি প্রণাম জানাই।

সূত্র -  ‘প্রকৃতি’ – প্রসন্ন কুমার রায় লিখিত ‘ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়’

         দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকা

     ইন্টারনেট  ইত্যাদি

লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

লেখক পরিচিতি –

কালীপদ চক্রবর্ত্তী  দিল্লি থেকে প্রায় ১৮ বছর ‘মাতৃমন্দির সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং ‘সৃষ্টি সাহিত্য আসর’ পরিচালনা করেছেন। 

দিল্লি, কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। কলকাতার আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, সাপ্তাহিক বর্তমান, দৈনিক বর্তমান, নবকল্লোল, শুকতারা, শিলাদিত্য, সুখবর, গৃহশোভা, কিশোর ভারতী, চিরসবুজ লেখা (শিশু কিশোর আকাদেমী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার), সন্দেশ, প্রসাদ, ছোটদের প্রসাদ,  কলেজস্ট্রীট, উল্টোরথ, তথ্যকেন্দ্র, জাগ্রত বিবেক (দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির থেকে প্রকাশিত) , স্টেটসম্যান , কিশোর বার্তা অন্যান্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত বই-এর সংখ্যা ৬ টি এবং প্রকাশের পথে ২টি বই।

‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান’, পূর্বোত্তর আকাদেমির পুরস্কার, ‘বরুণা অসি’-র গল্প প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ, আরত্রিক সম্মান, তুষকুটি পত্রিকা সম্মান, কাশীরাম দাস সম্মান, সতীনাথ ভাদুড়ী সম্মান লাভ করেন।  ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে 'আজীবন সম্মাননা' লাভ করেন। এ ছাড়া আরও কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন।

 বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কলমের সাত রঙ'  ও www.tatkhanik.com এর  সম্পাদক এবং দিল্লিতে প্রতিমাসে একটি সাহিত্য সভা পরিচালনা করেন।