মাইক্রোবায়োলজির ক্ষেত্রে ডঃ অমিত সিং-এর অবদান
উল্লেখযোগ্য
কালীপদ চক্রবর্ত্তী
অমিত সিং একজন বিখ্যাত ভারতীয় মাইক্রোবায়োলজিস্ট
এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের মাইক্রোবায়োলজি এবং সেল বায়োলজি (Microbiology
and cell biology) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তিনি এটি শুরু করেছিলেন। তিনি অধ্যয়ন করে দেখিয়েছেন যে
কীভাবে Micobacterium causes tuberculosis । এর জন্য সুপরিচিত এই অমিত সিং । ১৮ই মার্চ ১৯৭৬ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
রেছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক করার পরে তিনি জৈব
প্রযুক্তিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আইআইটি রুরকিতে যোগদান করেছিলেন তিনি দিল্লি
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে পিএইচডি লাভ করেন এবং পোস্ট ডক্টরাল পড়াশোনার জন্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান।
২০১০ সালে তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং ওয়েলকাম ট্রাস্ট
ডিবিটি ইন্টারমিডিয়েট ফেলো হিসাবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজির
আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে যোগদান করেন। এর চার বছর পর তিনি IISC, ব্যাঙ্গালোরে যোগদান করেন যেখানে তিনি এখনও কাজ করছেন।
তিনি সংক্রামক রোগ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে
সেখানে কাজ করছেন। সেখানে যক্ষ্মা,এইডস,দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের জন্য এবং অন্যান্য ক্রনিকের ওপর গবেষণা করা হয়।
বৈজ্ঞানিক ড.অমিত সিং বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত
হয়েছেন। এসব পুরস্কারগুলোর মধ্যে দুটি খুবই উল্লেখযোগ্য –
- National Bioscience Award for Career Development – 2017-18.
- CISR – Shanti Swarup Bhatnagar Award – 2021 (for bio-scientific research)
সূত্র – আমাদের দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক পত্র-পত্রিকা
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ভবিষ্যতে ক্রিকেট ব্যাট কি বাঁশ দিয়ে তৈরি হবে?
কালীপদ চক্রবর্ত্তী
ক্রিকেটাররা
তাদের সারা জীবন সঠিক ম্যাচের সন্ধানে, সঠিক ব্যাটের সন্ধানে এবং সঠিক
অনুভূতি এবং মিষ্টি মধুর মুহুর্তের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।ব্যাটের ওজনও তাদের
গাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই জানি উইলো কাঠ দিয়ে ক্রিকেটের ব্যাট তৈরি হয়।আর এই
দামী উইলো কাঠ পাওয়া যায় বিদেশে এবং অপেক্ষাকৃত সস্তায় কাশ্মীরে।
১৫ই ডিসেম্বর,১৯৭৯ সালে,পার্থ-এ ইংল্যান্ড এবং
অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন, ডেনিস লিলি অ্যালুমিনিয়াম ব্যাট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন পরীক্ষামূলকভাবে এবং তা নিয়ে প্রচণ্ড
বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তবে গবেষকেরা দেখেছেন যে বাঁশ দিয়ে তৈরি ব্যাট উইলো কাঠ দিয়ে তৈরি ব্যাটের
বিকল্প হতে পারে।তবে এর কিছু অসুবিধেও আছে।
প্রধান অসুবিধা
....
এটি উইলোর চেয়ে ৪০% ভারী, এছাড়াও, প্রযুক্তিগতভাবে
এটি বেআইনি - এমসিসির একটি আইন রয়েছে যাতে বলা হয়েছে যে ব্যাট
শুধুমাত্র কাঠের তৈরি হতে পারে।তাই বাঁশ দিয়ে ব্যাট তৈরি করতে হলে তাদের আইন আইন পরিবর্তন করতে হবে।
অবশ্য বেশকিছু সুবিধেও আছে।
সুবিধাগুলো কি কি?
এর সুবিধাগুলি
কেবল পরিবেশগত নয়, বল পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ দর্শিল শাহ (Dr. Darshil Shah)এবং বেন টিঙ্কলার ডেভিস (Ben Tinkler Davies)। তারা আরও বলেছেন - এটি শক্ত, এবং নমনীয় অর্থাৎ বাঁকাতে সুবিধে।এছাড়াও যেহেতু
প্রচুর ক্রিকেট ব্যাট ভারতে তৈরি হয়, তাই ভারতকে আর ব্রিটেন থেকে থেকে উইলো পাঠাতে হবে না। টিঙ্কলার ডেভিস বলেন,যেহেতু ভারতবর্ষ এবং চীনে
প্রচুর পরিমাণে ক্রিকেটের ব্যাট তৈরি হয়, এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণে
বাঁশের উৎপাদন ও হয়, তাই সেখানে বাঁশ দিয়ে ক্রিকেট ব্যাট তৈরি হলে অনেক
সস্তা দামে ক্রিকেটাররা ব্যাট কিনতে পারবেন। কারণ উইলো কাঠ আমদানীর খরচ কমে
যাওয়াতে দাম ও অর্ধেক হয়ে যাবে।
ক্রিকেট ব্যাট
কিভাবে আজ এই পর্যায়ে এলো -
১৬২০ সালে এই ক্রিকেট ব্যাটের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়।সে সময় একটি ক্রিকেট খেলা চলাকালীন একজন ফিল্ডার মারা যান কারণ একজন ব্যাটসম্যান তাকে
বল ধরতে বাধা দেওয়ার জন্য তার ব্যাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। সেই সময়ে ক্রিকেট
ব্যাট দেখতে অনেকটা আধুনিক হকি স্টিকের মতো ছিল। সে সময় বল ছোঁড়া হতো আন্ডারআর্মে এবং পরে মাটিতে গড়িয়ে ।
ই এস পিএন ক্রিক
ইনফো অনুসারে, ১৭৭০ এর দশকে এটি তার বর্গাকার আকার পেতে শুরু করেছিল যখন বোলারদের আন্ডারআর্ম বোলিং থেকে বল বাতাসে বল করার অনুমতি
দেওয়া হয়েছিল। এটি ব্যাটিং কৌশলের পরিবর্তনের দিকেও যুগান্তরকারী পরিবর্তন, কারণ তখন থেকে সুইপিং মোশনের ফলে বল বাতাস থেকে
মাটিতে পরে ঘোরা শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাই ব্যাটের এই আকার পরিবর্তন
ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করতে শুরু করে।
১৭৭১ সাল পর্যন্ত ব্যাটের আকার বা
আকৃতি সম্পর্কে কোন নিয়ম ছিল না। ১৭৭১ সালে একজন খেলোয়াড় স্টাম্পের মত
চওড়া ব্যাট নিয়ে মাঠে নামেন। সেই সময় থেকেই একটি ব্যাটের
প্রস্থের আনুষ্ঠানিক সীমা চার এবং এক চতুর্থাংশ ইঞ্চি হয়ে যায়।
১৯০০ সালে ব্যাটের আকৃতিরও বেশ পরিবর্তন হয়।আমরা আজকাল যে রকম ব্যাট ব্যাবহার
করি, তখন প্রায় একই ধরণের ব্যাটের ব্যবহার চালু শুরু হয়। ওভারআর্ম বোলিং
আরও ব্যাপকভাবে চালু হওয়ার পর থেকেই ব্যাটের গঠনের পরিবর্তন শুরু হতে
থাকে কারণ ফাস্ট বলে খেলার জন্য প্রয়োজন হয় চওড়া ব্যাটের।
সূত্র – টাইমস অফ ইন্ডিয়া, দিল্লি সংস্করণ। তারিখ
১৬.০৫.২০২২
লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন
লেখক পরিচিতি –
কালীপদ চক্রবর্ত্তী দিল্লি থেকে প্রায় ১৮ বছর ‘মাতৃমন্দির সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং ‘সৃষ্টি সাহিত্য আসর’ পরিচালনা করেছেন।
দিল্লি, কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। কলকাতার আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, সাপ্তাহিক বর্তমান, দৈনিক বর্তমান, নবকল্লোল, শুকতারা, শিলাদিত্য, সুখবর, গৃহশোভা, কিশোর ভারতী, চিরসবুজ লেখা (শিশু কিশোর আকাদেমী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার), সন্দেশ, প্রসাদ, ছোটদের প্রসাদ, কলেজস্ট্রীট, উল্টোরথ, তথ্যকেন্দ্র, জাগ্রত বিবেক (দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির থেকে প্রকাশিত) , স্টেটসম্যান , কিশোর বার্তা অন্যান্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত বই-এর সংখ্যা ৬ টি এবং প্রকাশের পথে ২টি বই।
‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান’, পূর্বোত্তর আকাদেমির পুরস্কার, ‘বরুণা অসি’-র গল্প প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ, আরত্রিক সম্মান, তুষকুটি পত্রিকা সম্মান, কাশীরাম দাস সম্মান, সতীনাথ ভাদুড়ী সম্মান লাভ করেন। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে 'আজীবন সম্মাননা' লাভ করেন। এ ছাড়া আরও কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন।
বর্তমানে দিল্লি থেকে প্রকাশিত 'কলমের সাত রঙ' ও www.tatkhanik.com এর সম্পাদক এবং দিল্লিতে প্রতিমাসে একটি সাহিত্য সভা পরিচালনা করেন।