দুঃস্বপ্নের ভিতর হাড় হিম করা শব্দ শুনি ।
কিংবা আসলে কোন শব্দই নাই,এক অস্থির
নৈঃশব্দ্য বাদে –
বধ্যভূমির দেয়ালে যেন তার
ক্ষীণ আর্তনাদ লেগে ,
মনে হয়,আমিও আজ
পথ হাঁটি নীরব প্রতিবাদে ।
আরও কত মর্মান্তিক মৃত্যু
দেখব আমি ? দেখব উর্দি-ধারী সন্ত্রাসের
জয় ?
মনে হয় , কুর্সির
চোখে সবচেয়ে বড় পাপ , প্রশ্ন করা , সত্যের
অবিচল সেবা
আর থাকা , রাত্রির
স্বৈরাচারের চোখে চোখ রেখে , নির্ভয় ।
ভেঙে না গিয়ে , আপন
অস্তিত্বের বাইরে বেরিয়ে, কদিন , কেবা -
বেঁচে থাকে , থাকতে
পারে , রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নির্বিকার ; ইলা
মিত্রের মত ?
ভাবি,গলাটিপে
মেয়েটিকে যারা হত্যা করল,তাদের চেতনা ফেরেনি
আর্তস্বরে ।
তাদের হৃদয়ে লবণ জমে জমে
কঠিন – একবিন্দু কান্নাতেও গলবে না ,
ভোররাতে শেফালিকা ঝরে গেল , অস্থির
অন্ধকার ঘরে ।
দুঃস্বপ্নের ভিতর থেকে থেকে
শেষ আর্তস্বর শুনতে আমি পাই ।
হাড় হিম হয়ে যায় , নদীর ধারে
পথ আমার কাঁদে ,
চলো আমরা বেরিয়ে পড়ি , প্রদীপ
নিয়ে হাতে ,
চলো আমরা পথ হাঁটি , নীরব প্রতিবাদে ।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি –
জন্ম ১৯৭৪ । পেশায় চিকিৎসক , এমডি , ডিএম ( কার্ডিওলজিস্ট ) ।কবি , সমালোচক , রবীন্দ্র অনুরাগী ও শনিবারের চিঠির সম্পাদক সজনীকান্ত দাসের পৌত্র ।
ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে নবকল্লোল , শনিবারের চিঠি ( নবপর্যায় ), সুদক্ষীণা , গল্পপত্র , কাথাসাহিত্য , শারদীয়া দক্ষীণীবার্তা , কবিতা ও গল্প বারোমাস , কালপত্রী , ইছামতি বিদ্যধরী, অন্ধপক্ষ প্রভৃতি পত্রিকায় ও নানা লিটল ম্যাগাজিনে।
গল্পগ্রন্থ : সৈকত শিল্পী , বনবিহঙ্গ ।
উপন্যাস: সমান্তরাল ।