Advt

Advt

khelar-sathi-story-galpo-third-last-part-nalinaksha-bhattacharya-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-খেলার-সাথী-নলিনাক্ষ-ভট্টাচার্য

ধারাবাহিক  বড়  গল্প

khelar-sathi-story-galpo-third-last-part-nalinaksha-bhattacharya-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-খেলার-সাথী-নলিনাক্ষ-ভট্টাচার্য

৩য় ও শেষ পর্ব শুরু

                                             চার 

        লায়লার নাচ দেখে বান্টি এমনই মুগ্ধ হয়ে গেল যে রোজ দুপুরেই নাচের প্রোগ্রাম বসে গেল নন্দিতার বাইরের ঘরে। মাছের বড় পিস খাইয়ে লায়লাকে খুশি করে সন্ধ্যা এবার ওর মেয়ে টুস্‌কিকে ভিড়িয়ে দিল নাচের দলে। টিভিতে যখন কোন নাচের রিয়ালিটি শো চলে তখন টুস্‌কি পর্দার নাচিয়েদের অনুকরণ করে নাচের চেষ্টা করে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে। এখন লায়লার কাছে নাচের তালিম পেয়ে টুস্‌কিও ওর সঙ্গে নাচতে শুরু করে দিল। 

বান্টি আর টুস্‌কিকে জুড়ি বানিয়ে লায়লা ওদের পুরনো হিন্দি গানের সঙ্গে নাচতে শেখাল। দ্রুতলয়ের গানে ওদের পা ফেলতে অসুবিধে হতে পারে তাই লায়লা সেই সব রোমান্টিক গানই পছন্দ করল যাতে ওদের নাচতে বিশেষ অসুবিধা না হয়। ‘দিলতো পাগল হ্যায়’ ছবির ‘আরে রে আরে রে কেয়া হুয়া’ কিংবা ‘আজনবী’ ছবির ‘ এক আজনবী হাসিনাসে ইঁয়ু মুলাকাত হো গয়ী’ নাচতে ওদের খুব বেশি কসরত করতে হলনা। খুশিতে ডগমগ হয়ে সন্ধ্যা বলল, “ তোমাদের দু’জনের জুটি কিন্তু খুব মানিয়েছে, বান্টিবাবা। নাও এবার তোমরা একটু পেপসি খেয়ে জিরিয়ে নাও দেখি।” সন্ধ্যার মনের কোণে এমন আশাও বুদ্বুদের মত ভেসে উঠল যে নাচের মাধ্যমে বান্টির সঙ্গে টুস্‌কির যদি হৃদ্যতা জমে ওঠে সেটা পরবর্তী জীবনে আরো বড় কিছুর দিকে এগোতে পারে যেমনটা সিনেমায় সচরাচর দেখা যায়। কাজেই পেপসির সঙ্গে বরফি খাইয়ে তিনজনকেই চাঙ্গা করে সন্ধ্যা যে রোমান্টিক গানে মেয়েকে বান্টির সঙ্গে নাচাতে চাইবে তাতে আর আশ্চর্য কী? পেপসি খেয়ে লায়লা বলল, “এবার এমন একটা হিট্‌ ভোজপুরি গানে নাচাব তোমাদের দু’জনকে যে গানে নেচে আমি আমাদের পাশের গাঁয়ের এক রইস আদমির ছেলের বিয়েতে দশ টকার নোটের মালা পেয়েছিলাম। টুস্‌কি খুব কোমর দোলাতে হবে কিন্তু তোমাকে।”

        টুস্‌কি এক গাল হেসে বলল, “ ওতেই আমার বেশি মজা লাগে, লায়লাদি।”

        লায়লা এবার সন্ধ্যাকে বলল একটা গামছা নিয়ে আসতে কারণ ভোজপুরি ছবিতে নাচের দৃশ্যে নায়কের গলায় গামছা থাকবেনা তাতো হয়না। ঘরে অবশ্য গামছা পাওয়া গেলনা কজেই টাওয়েলই গলায় ঝোলাতে হল বান্টিকে। ‘ লচ্‌কে কমরিয়া তোহার লাহে লাহে’ গানে টুস্‌কির সঙ্গে বান্টি লায়লার নির্দেশনায় বার তিনেক রিহার্সাল দিয়ে মোটামুটি ভালই নাচল। সন্ধ্যাতো মেয়ের কোমর দোলানো দেখে হেসে লুটোপুটি খেল।

        ওদিকে ম্যাডামের বাড়িতে নাচের জলসা যেরকম জমে উঠেছে তাতে রূপারতো চক্ষু চড়ক গাছ!  একটা খুদে মেয়েকেও কোথা থেকে ধরে এনে নাচাচ্ছে চিন্টু ম্যাডামের ছেলের সঙ্গে। এই নতুন ডেভেলপমেন্টটা ম্যাডামকে জানানো দরকার, কাজেই লাঞ্চের সময় ল্যাপটপ নিয়ে নন্দিতার ঘরে হাজির হল রূপা।

        “ আবার কি হল,রূপা? ওরা নাচানাচি করে আমার ঘরে কিছু ভেঙে ফেলল নাকি?”

        “ না ম্যাডাম, চিন্টু একটা পুচকে মেয়েকে কোথা থেকে জোগাড় করে বান্টির সঙ্গে রোমান্টিক জুটি বানিয়ে নাচাচ্ছে। দেখুন একবার।”

        নন্দিতা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বলল,  “আরে এত আমার রাধুনি সন্ধ্যার মেয়ে টুস্‌কি!“

        “ নাচটাও খুব ভাল রুচির নয়,ম্যাডাম। দেখুন কীভাবে কোমর দোলাচ্ছে আর অব্‌সিন সব অঙ্গভঙ্গি করছে মেয়েটা।”

        নন্দিতা এবার রূপার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, “ তোমার মেয়ে হলে ওডিশি আর ভারতনাট্যম শিখিও। টুস্‌কিরা এখন ওই নাচই নাচবে।”

                                              পাঁচ

        ম্যাডামের নির্দেশ অমান্য করে, দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর বান্টির সঙ্গে এক বিছানায় শোয়াটা চিন্টুর নিজের ইচ্ছেয় নয়,বান্টির বিশেষ অনুরোধে। শুয়ে শুয়ে গল্প করতে ভালবাসে বান্টি। হস্টেলেও ছুটির দিনে কোন সঙ্গীকে নিজের কামরায় ডেকে নিয়ে একসঙ্গে শুয়ে গল্পসল্প করে দুপুরটা কাটিয়ে দেয় ও।

khelar-sathi-story-galpo-third-last-part-nalinaksha-bhattacharya-tatkhanik-digital-bengali-web-bangla-online-e-magazine-খেলার-সাথী-নলিনাক্ষ-ভট্টাচার্য


        “
তুমি এত ভাল নাচ লায়লা তা মুম্বই গিয়ে টিভিতে নাচের প্রোগ্রামে নাচনা কেন?”

        লায়লা হেসে বলল, “ টিভিতে নাচের প্রোগ্রামে আসতে হলে জাজ, হিপ হপ, জুম্বা, সালসা আরো অনেক রকম নাচ জানতে হয়। নয়ডার একটা ডান্স একাডেমিতে ভর্তি হবার কথা ভাবছি। তিন মাস নাচ শিখবার জন্য ওদের পঁচিশ হাজার টাকা ফি দিতে হবে।”

        “মাকে বলে আমি টাকার জোগাড় করে দেব।”

        “সত্যি?!” লায়লা খুশি হয়ে নন্দিতার নিষেধাজ্ঞা বেমালুম ভুলে গিয়ে বান্টির দুই গালে চুমু খেল। তারপর একটু মুষড়ে গিয়ে বলল, “ না না, বান্টি, থাক। ম্যাডামকে আমার জন্য বলতে হবেনা তোমাকে। উনিতো আমাকে এক মাস তোমার সঙ্গে থাকার জন্য কুড়ি হাজার টাকা দেবেন। এদিক ওদিক থেকে আর পাঁচ হাজার টাকা ঠিক জোগাড় করে নিতে পারব আমি।”

        বান্টি ওর হাতটা নিজের মুঠোয় নিয়ে বলল, “ আমার পকেট এ্যালাউন্স মানে হাতখরচ থেকে পাঁচ হাজার বাঁচিয়ে তোমাকে দিয়ে দেব আমি, মম জানতেও পারবেনা।”

        লায়লা একটু চিন্তা করে বলল, “ সেটা যদি করতে পার তবেতো খুব ভাল হয়। কিন্তু আমাকে এত টাকা দিয়ে দিলে তোমার ওখানে চলবে কি করে?”

        বান্টি বলল, “ মমকে বলে কোন বাহানায় সামনের মাসে আমি দশ হাজার টাকা পকেট এ্যালাউন্স নেব।”

        “লাভলি! ওয়ান্ডারফুল!” লায়লা বলল বান্টির কাছ থেকে শেখা ইংরেজিতে। তারপর ওকে বুকে টেনে নিয়ে দুইগালে আবার চুমু খেল লায়লা, তারপর বলল, “ তুমি খুব ভাল ছেলে, বান্টি। কাল তোমাকে কান্‌হা সাজিয়ে আর আমি রাধা সেজে তোমার সঙ্গে রাসলীলা নাচব আমি। জন্মাষ্টমীতে আমার গাঁয়ের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে রাসলীলায়তো রাধা সেজেই নাচি আমি। তোমার ইউ টিউবে রাসলীলার হিট গান দু চারটা থাকবে নিশ্চয়ই। যেমন ধর ‘গোবিন্দ বোলো হরি গোপাল বোলো’ কিংবা ‘মুঝে হ্যায় শ্যামসে কিতনা পেয়ার, ইয়ে দুনিয়া কেয়া জানে’।”

        “তুমি যে গানের সঙ্গে নাচতে চাও সব গান পাবে ইউ টিউবে। কিন্তু আমরা দু’জন রাধা কৃষ্ণ হয়ে নাচলে টুস্‌কি কী হয়ে নাচবে?”

        “ও হবে আমার সখী, ললিতা বা চন্দ্রাবলী। এবার কাজের কথা শোন, বান্টি। রাসলীলা নাচতে হলে আমাদের অনেক পোষাক দরকার পরবে। কাল আমাকে পাড়ার লন্ড্রি থেকে চুম্‌কিদার শাড়ি, লেঙ্গা, চোলি, পাগড়ি এসব ভাড়া করতে হবে। ফুল আর মিষ্টিরও ব্যবস্থা করতে হবে। রাসলীলার পরে প্রসাদ বাটতে হয়, জানোত? আর হ্যাঁ, রাধাকৃষ্ণের একটা ছোট মূর্তিও আনতে হবে দোকান থেকে। শ’পাঁচেক টাকা দিতে পারবে আমাকে?”

        “ডান,” বলল বান্টি। তারপর বিছানা থেকে ঊঠে গিয়ে দেরাজ খুলে একটা পাঁচশ টাকার নোট তুলে দিল লায়লার হাতে। খুশিতে আরেকবার বান্টির গালে চুমু খেল লায়লা।

        রূপার অনুরোধে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে এই প্রথম গম্ভীর হল নন্দিতা বোস। একটা নয় তিন তিনটে শর্ত ভেঙেছে গনপত লাল মিশ্র ওরফে চিন্টু। এক,বান্টির বিছানায় শোয়া; দুই,ওর সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘণিষ্ঠ হওয়া এবং ওকে চুমু খাওয়া, তিন,বান্টির কাছ থেকে টাকা নেওয়া। রূপা ভাবল আমার সতর্কবাণীকে যদি আগেই আমল দিতেন ম্যাডাম . . .। “চিন্টুকে স্যাক করে দেব, ম্যাডাম?” জিজ্ঞেস করল রূপা।

        “হ্যাঁ, কিন্তু কাজটা খুব ট্যাক্টফুলি করতে হবে রূপা। ইট্‌স কোয়ায়েট পসিব্‌ল বান্টি ইজ ইমোশোনালি ইনভলভ্‌ড উইথ দ্যাট গার্লি বয়। ওকে আমার সঙ্গে অফিসে দেখা করতে বল রাত আটটায়। ওকে যে আমি ডেকে পাঠিয়েছি সেটা যেন বান্টিকে ও না বলে, রাইট?”

        “আপনি কোন চিন্তা করবেননা, ম্যাডাম।“ এতদিনে যে ম্যাডামের টনক নড়েছে, সেটাই রক্ষা, ভাবল রূপা।

        রাত আটটায় চিন্টু এসে নমষ্কার করে চেয়ারে বসলে নন্দিতা সরাসরি বলল, “তোমাকে কাল থেকে আর কাজে আসতে হবেনা গনপত।”

        “কেন ম্যাডাম? আমি কি কোন অন্যায় করেছি?”

        “তুমি আমার দেওয়া তিনটে শর্তই ভেঙেছ আজ দুপুরে। আমার বাড়িতে যে সিসি টিভি লাগান আছে সেটা তোমাকে জানাইনি আমি।”

        গনপত ওরফে চিন্টু ওরফে লায়লা বুঝতে পারল ও কী বিরাট ভুল করে বসেছে বান্টির অনুরোধে ওর বিছানায় শুতে গিয়ে। “ কিন্তু ম্যাডাম, বান্টিতো নিজেই ডেকে নিল আমাকে ওর ঘরে।”

        “ওকে চুমু খাওয়া আর ওর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্যও বান্টিই দায়ী, তাইনা?”

        এবার আর প্রতিবাদ করলনা গনপত কেননা ও বুঝতে পারল যে আনন্দের আতিশয্যে বান্টিকে চুমু খেতে গিয়ে ও ওর সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে। “ আমার ভুল হয়ে গিয়েছে ম্যাডাম। ক্ষমা করে দিন, এ রকম ভুল আর করবনা।”

        “সরি, গনপত, তোমাকে আর রাখা সম্ভব হবেনা। আমার ঘরে বান্টি আর টুস্‌কিকে নিয়ে রোজ দুপুরে নাচ গান করেছ, তার জন্য আমি কিছু বলিনি তোমাকে, কিন্তু আজ যা করেছ সেটা আমার হিসেবের বাইরে। তবু তিন সপ্তাহ তুমি আমার ছেলেকে সঙ্গ দিয়েছ, আনন্দ দিয়েছ তার জন্য তোমাকে আমি পুরো একমাসের টাকাই দেব।”

        দেরাজ থেকে পনের হাজার টাকা বের করে গনপতের হাতে দিয়ে নন্দিতা বলল, “পাঁচ হাজার এ্যাডভান্স নিয়েছিলে কাজ শুরু করার আগে, তাই ওটা কেটে নিয়ে পনের হাজার দিচ্ছি তোমাকে।”

        বান্টির কাছ থেকে শেখা ইংরেজিতে গনপত বলল, “ থ্যাংক ইউ ম্যাডাম।”

        “আমার ছেলের সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ রাখবেনা তুমি, মনে থাকে যেন।”

        গনপত মাথা নাড়ল। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে নমষ্কার করল নন্দিতাকে যেমনটা করেছিল ও প্রথম দিন ইন্টারভিউয়ের সময়।

 

                                             ছয়

 

        সকাল আটটা থেকেই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে লায়লার প্রতীক্ষা করছিল বান্টি। নন্দিতা এসে ওর পাশে দাঁড়াল। “ চিন্টু আর আসবেনা বান্টি,” নন্দিতা বলল ছেলের কাঁধে হাত রেখে।

        “কিন্তু ও যে আমাকে কথা দিয়েছে মম ভাড়া করা পোষাক, ফুল, মিস্টি আর রাধাকৃষ্ণের মূর্তি নিয়ে ও আজ আসবে রাসলীলা করতে। আমি কৃষ্ণ সাজব আর লায়লা মানে চিন্টু সাজবে রাধা, টুস্‌কি হবে চন্দ্রাবলী।”

        নন্দিতা বুঝতে পারল নাচ গানের মধ্য দিয়ে গনপত ওরফে চিন্টু (যার আরেকটি নতুন নাম এখনই আবিষ্কার করল নন্দিতা ছেলের কাছ থেকে) অনেকটা এগিয়ে গেছে যা ওর সিসি টিভির মধ্যে ধরা পড়েনি। নন্দিতা ধর্ম টর্ম নিয়ে মাথা ঘামায়না,মন্দিরে শেষ কবে গিয়েছিল তা ওর মনে পড়েনা, কিন্তু গনপত যে বান্টিকে নিয়ে রাসলীলায় মেতে উঠতে চায় তাতে এটা ও পরিষ্কার বুঝতে পারল যে তিন সপ্তাহের ঘণিষ্ঠতায় ওদের দু’জনের সম্পর্কটা এখন এক গভীর খাতে বইতে শুরু করেছে। তবু অবাক হবার ভান করে নন্দিতা বলল,“ কিন্তু ওতো ফোন করে কাল রাতেই রূপাকে জানিয়ে দিল ও গাঁয়ে চলে যাবে আজ সকালে। ওর বাবা নাকি খুব অসুস্থ।” ছেলেকে ডাহা মিথ্যে বলার জন্য নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল নন্দিতার কিন্তু বান্টির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ওকে এই রাস্তা নিতে হল।

        “কি আশ্চর্য! কালতো যাবার সময় আমাকে কিছুই বলেনি ও। শুধু বলল ওর দেশওয়ালি চাচা তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরতে বলেছে ওকে।” বান্টির চোখে জল এসে গেল, অভিমানে গলার আওয়াজ রুদ্ধ হয়ে গেল।

        “তার মানে খবরটা এখান থেকে যাবার পরই পেয়েছে ও। তুমি শুতে যাবার পরই রূপাকে ফোনটা করল গনপত, আই মিন চিন্টু।”

        বান্টির চোখ দিয়ে জলের ধারা নাবল দেখে অবাক হলনা নন্দিতা। চৌদ্দ বছর বয়সে স্কুলে সিনিয়ার ক্লাসের একটি ছেলের প্রেমে হাবুডুবু খাবার পর ও যখন নন্দিতাকে ছেড়ে অন্য একটি সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে ঘোরাফেরা শুরু করল তখন তিনদিন বিছানায় শুয়ে কেঁদেছিল নন্দিতা।

 “ঘরে চল বান্টি, ব্রেকফাস্টের সময় হয়ে গেছে, “নন্দিতা বলল হাতের আঙুল দিয়ে ছেলের চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে। কিন্তু খাবার টেবিলে বসে ছেলের করুণ মুখটা দেখে ওর নিজের চোখটাও আর্দ্র হয়ে উঠল যখন ওর হঠাৎই মনে পড়ে গেল বহুদিন আগে শোনা রবি ঠাকুরের সেই গানের কলি – ‘ বিদায় দাওগো খেলার সাথী . . .’

সমাপ্ত

_ _ _

লেখকের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

লেখক পরিচিতি

 

জন্ম এবং শিক্ষা কলকাতায়; কর্মজীবন দিল্লিতে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রালয়ে। গল্প লেখার শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় সাহিত্য চর্চা করে আসছেন গত পঞ্চাশ বছর ধরে। প্রথম ইংরেজি উপন্যাস ‘ Hem And Football’ ফরাসি, জার্মান এবং নরওয়েজিয়ান ভাষায় অনূদিত হয়। ইংরেজিতে দেশে ও বিদেশে ওঁর কিছু গল্প এবং তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি থেকেও কয়েকটি গল্প প্রচারিত হয়েছে। বাংলায় এ যাবৎ চারটি উপন্যাস এবং দু’টি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দেশ, আনন্দবাজার, সানন্দা, নব কল্লোল, সাপ্তাহিক বর্তমান, পরিচয়, কালি ও কলম(বাংলাদেশ) এবং দিল্লি ও কলকাতার অনেক সাহিত্য পত্রিকায় গল্প লেখেন নলিনাক্ষবাবু