ন্যাড়ার মাথায় বাজ পড়লো
বেল পড়েছে আগে,
কুকর্ম কার,না বুঝে সে
দুষছে আপনাকে ।
সবাইকে সে ভরসা করে
নেই যে মনে পাপ,
এটাই যেন,জীবনে তার
চরম অভিশাপ !
প্রথম থেকেই সাদাসিধে
প্যাঁচ নেই তার মনে,
সেই কারণে,লোকের কথা
বাধ্য হয়ে শোনে ।
ঠকবাজের এই দুনিয়াতে
নিতান্ত সে বোকা,
নিজের লোকও সুযোগ বুঝে
দিতেই থাকে ধোঁকা ।
ন্যাড়া ভাবে --- বেলটা কি আর
পড়বে বারে বারে
সেটাই কিন্তু ঘটতে থাকে
বুঝলো হাড়ে হাড়ে ।
পরের ওপর আস্থা রেখেই
রাখতো পদক্ষেপ,
তবু কোথা থেকে এমন
আসে অধিক্ষেপ ?
ভাগ্য ক'রে জুটলো হঠাৎ
ন্যাড়ার সমব্যথী,
সেই এখন,ছায়ার মতো
সারাক্ষণের সাথী ।
বলতে থাকে,ন্যাড়াকে সে
নিজের অভিজ্ঞতা,
মানুষ এখন,শুধুই প্রাণী
কোথায় মানবতা ?
বন্ধু তাকে বলে ---
"রাখিস,চোখ কানটা খুলে,
কারোর ওপর বিশ্বাস তুই
করবি না আর ভুলে"
"সবাই মুখে দয়ার সাগর
সতের সত্যবান,
সুযোগ পেলেই,আঘাত কেন
নিতেও পারে প্রাণ" ।
ক'দিন আগেও ন্যাড়া ছিল
একেবারেই অচল,
বন্ধু এসে করলো তাকে
রীতিমতো সচল ।
এখন সে যায় বেল তলাতে
ওপর পানে চেয়ে,
ন্যাড়ার স্বভাব পালটে গেছে
আঘাত খেয়ে খেয়ে ।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
কবি পরিচিতি -
কবির জন্ম মুর্শিদাবাদে। প্রাথমিক শিক্ষা সেখানে ও পরে পাটনায় । ১৯৬৯ সাল থেকে দিল্লিবাসী। বিজ্ঞানে স্নাতক, কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে অবসরপ্রাপ্ত । বর্তমানে "কলমের সাত রঙ" পত্রিকার নিয়মিত লেখক ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন।
ভাল বাসেন সঙ্গীত, সাহিত্য, বইপড়া, দর্শন, মনোবিজ্ঞান,
যোগব্যায়াম, আধ্যাত্মিকতা, প্রেত-তত্ত্ব ইত্যাদিতে চর্চা করতে। যুক্তিবাদী, মুক্ত-চিন্তাবিলাসী
ও কুসংস্কার বিরোধী ।