আঠারোশো
একত্রিশের পঁচিশে বৈশাখ
ঠাকুর
পরিবারে বাজলো মঙ্গল শাঁখ ।
রত্নগর্ভা
মাতা সরলা দেবীর কোলে
ছোট্ট
শিশু রবি ঠাকুর দোলে ।
মহর্ষি
দেবেন্দ্রনাথের চেতনা
পুত্রের
মনে জাগায় উদ্দীপনা ।
প্রথম থেকেই জানতো না তো কেউ
এ
শিশুই তুলবে বাঙলা ভাষায় ঢেউ ।
পাঁচ
- ছ বছর বয়স হলে পরে
লিখলো
সে " জল পড়ে পাতা নড়ে " ।
একের
পর এক লিখলো কত ছড়া___
বাংলা
সাহিত্যের খাতায় ভরা ।
দিনে
দিনে হলো বিশ্ব পরিচয়
কবিতায়
নোবেল পুরস্কার জয় ।
তাঁর
গল্প , নাটক , উপন্যাসে
বাঙালি
মজেছে সাহিত্য রসে ।
তাঁর
বিখ্যাত প্রবন্ধ রচনা
আজ -
ও হয় তার আলোচনা ।
তাঁর
সঙ্গীতের রসধারা
মোদের
করে পাগলপারা ।
তিনি
সাহিত্যের সকল ধারায়
কলম
ধরেছেন অবলীলায় ।
তাঁর
সৃষ্টি শান্তিনিকেতন
শিক্ষাক্ষেত্রে
হয়েছে চিরন্তন ।
আশি
বছর বয়স শেষে
কবির
কলম থামলো এসে ।
বাঙালি
হলো কবিগুরু হারা
বিশ্বকবি
হলেন বিশ্বছাড়া ।
আজ-ও
কবিগুরুর খ্যাতি অম্লান
বাঙালি
হৃদয়ে তাঁর চিরন্তন স্থান ।
কবির অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
কবি পরিচিতি –
শিক্ষকতা ও সংসার সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে সাহিত্য চর্চার সময়ে টান পড়েছিল এক সময়ে। মনের সুপ্ত বাসনা মনেই লুকিয়ে ছিল । সময় পেলেই খাতা, কলম নিয়ে বসে যান লিখতে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা অনুভূতিগুলো বেড়িয়ে আসে কবিতা হয়ে। কবিতাকে ভালবেসে ফেলেছেন।