মাঝরাতে হঠাৎ আমার মা’র পদস্খলন হল কলঘরে
পুরোনো বাড়ি, শ্যাওলা ধরা কলঘর, নতুন ঘটনা নয়
এক দলা প্ল্যাসটার
অব
প্যারিস তার পায়ের দখল নিল
ঘর হল হাসপাতাল, সাদা বিছানা, শিয়রে টেবিলে রাখা
ওষুধ, জলের গ্লাস আর প্রয়োজনীয়
কিছু জিনিসপত্র।
নার্স সেন্টারে জানাতে দিল না পাশের বাড়ির বুলি পিসি;
দেখাশোনার দায়িত্ব নিল, মায়ের কুণ্ঠাবোধ হয়
অনাত্মীয় পিসি বকুনি দেয়, মা শ্রদ্ধায় মাথা নত করে।
সকালে অফিস যাওয়ার আগে খানিকটা গুছিয়ে যাই
মা-ছেলের সংসার, আমি অফিস গেলে এই বাড়িটা
খাঁ খাঁ করে মাকে গিলতে আসত, ভয় পেয়ে ফোন করত
তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার অনুরোধ করতো, এই আসছি
বলে এড়িয়ে গেছি দিনের পর দিন। আজ
পারলাম না।
সকালে দেখে যাওয়া চঞ্চল দেহটা স্থির হয়ে গেছে।
মা’র আশঙ্কাই সত্যি হল, খাঁ খাঁ করা বাবার বাড়িটা
তার ইটপাথরের মধ্যে মায়ের আত্মাটা লুকিয়ে রাখল।
-----------------------------------------------------------------------------------------
কবি পরিচিতি -
জন্মঃ কলকাতার বাগবাজারে। মহারাজা কাসিমবাজার স্কুল ও বিদ্যাসাগর কলেজে পড়াশুনা। বিজ্ঞানে স্নাতক। স্কুল, কলেজ, অণু পত্রিকা ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখা। নাটক ও স্কাউটিং এর সাথে যুক্ত। বর্তমানে দিল্লী ও কলকাতার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেন। কলমের সাত রঙ পত্রিকার একজন সক্রিয় সদস্য।