দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে আবারও এসেছে
বাঙালি মননের সাড়া জাগানো পঁচিশে বৈশাখ ;
হে দার্শনিক কবি, তোমার লেখনীতে পেয়েছি
বিশ্ব মানবিকতার বাণী , প্রেমিক যুগলের
হাসি হুল্লোড় বিরহ বেদনার সম্ভার ।
জগতের আনন্দযঞ্জে
কাব্য সাহিত্য শিল্পের আঙিনায়
তোমার সৃষ্টির রসমাধুর্য পরিপূর্ণ কানায় কানায় ;
তার আস্বাদনে আমরা পরিতৃপ্ত ,
তার অপরিমেয় ব্যাপ্তি উপচে পড়ছে
সারা বিশ্বের নগরে প্রান্তরে।
কালান্তরের অন্ধকার পথ অতিক্রম করে
পেয়েছি তোমা হতে বিচ্ছুরিত আলোর সন্ধান ;
জেনেছি বিচিত্র গতি কিছু মানব ,
চরিত্র হননের পথিক যারা, অনুতাপের
অঙ্গারে
পরিশুদ্ধ হয়ে তারাও তোমার ছত্রছায়ায় এসে
মনে প্রাণে হয়েছে রঞ্জিত।
তোমার সৃষ্টি উজ্জীবিত করে দিশাহারাদের ,
তার উজ্জ্বল শিখা হয়ে থাকে আলোকবর্তিকা
দেশে দেশান্তরে স্বদেশে বিদেশে ;
হে শাশ্বত কালের কবি,
বিশ্বের দরবারে তোমার পরিচয়ে বাঙালির পরিচয় ,
তোমায় জানাই আমার প্রণতি ।
কবি পরিচিতি-
তপন চ্যাটার্জীর জন্ম কলকাতার উপকণ্ঠে কাঁচরাপাড়ায়। শিক্ষাগত যোগ্যতায় BE(Elect.),MBA এবং সর্বভারতীয় ইঞ্জিনীয়ারিং সারভিস্ পরীক্ষা দিয়ে CEA তে Asstt. Director পদে যোগ দিয়ে ২০০৯ সালে Chief Engineer পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এরপর কয়েক মাস GERC তে Consultant পদে কর্মরত থাকার পর আসাম ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনে (AERC) Member পদে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন।
চাকরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, ব্রিটেন ও সমগ্র পশ্চিম ইউরোপে বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করেছেন। বিভিন্ন টেকনিক্যাল ম্যাগাজিন ও সেমিনারে লেখা প্রকাশিত হয়েছে ও Guest Faculty তে ছিলেন।
সাহিত্যের জগতে তপন চ্যাটার্জী কবিতা ,গল্প ,ভ্রমণ কাহিনী এবং প্রবন্ধ লেখেন ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় এবং একটি কবিতার বই আছে।
একজন বাচিক শিল্পী হিসেবে তপন চ্যাটার্জীর বেশ কয়েকটি আবৃত্তি এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান YouTube এবং Facebook এ আছে ও সমাদৃত হয়েছে।
