দুরন্ত অশ্বারোহী চলেছে অপ্রতিহত ,
আক্রমণের রূঢ় বাস্তবতা হানে আঘাত,
ইন্দ্র পতনের আসন্ন ক্ষণে
রাজসভায় ভীত সন্ত্রস্ত সচকিত
সব আমীর ওমরাহ ও সভাসদ ।
শানিত তলোয়ার এখনো খাপে ঢাকা
কেবলমাত্র খবর এসেছে তিনি আসছেন ,
সে সংবাদে কম্পিত রাজাধিরাজ ,এসেছে
যে
দিন বদলের ডাক ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে
তা ফেরে উচ্ছ্বসিত জনতার প্রতি কণ্ঠে।
তার আগমন সংবাদে
উৎপীড়িত জনতা আজ উজ্জীবিত,
তাদের এক একটি স্ফুলিঙ্গের উদগীরণ হতে
শত সহস্র আগ্নেয়গিরির লোহিত ঝলকানির পথ
পেরিয়ে এগিয়ে আসছে নবজাগরণের যুগ।
তার পরাক্রমে হার মানে
সেদিনের পম্পেই নগরীর পাপাচারীতায় রুষ্ট,
ভিসুভিয়াসের নির্গত উষ্ণ লাভার রোষ।
শাসকের প্রতীক রাজদণ্ড ও রাজার ধ্বজা
আজ
ভুলুণ্ঠিত রাজপথে । সামনে দেখা যায় মুক্ত দিগন্ত।
উৎপীড়নের দিন শেষে মুখোশ খুলে
তাশের দেশের রাজা আজ নগ্ন ; চাটুকার
,
স্তাবক ও পারিষদ আজ আঁস্তাকুড়ে পরিত্যক্ত,
সেখানের সব বন্দীরা কারাগার হতে মুক্ত,
নব জীবনের আস্বাদনে উল্লাস তাদের চোখে মুখে।
কবি পরিচিতি-
তপন চ্যাটার্জীর জন্ম কলকাতার উপকণ্ঠে কাঁচরাপাড়ায়। শিক্ষাগত যোগ্যতায় BE(Elect.),MBA এবং সর্বভারতীয় ইঞ্জিনীয়ারিং সারভিস্ পরীক্ষা দিয়ে CEA তে Asstt. Director পদে যোগ দিয়ে ২০০৯ সালে Chief Engineer পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এরপর কয়েক মাস GERC তে Consultant পদে কর্মরত থাকার পর আসাম ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনে (AERC) Member পদে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন।
চাকরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, ব্রিটেন ও সমগ্র পশ্চিম ইউরোপে বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করেছেন। বিভিন্ন টেকনিক্যাল ম্যাগাজিন ও সেমিনারে লেখা প্রকাশিত হয়েছে ও Guest Faculty তে ছিলেন।
সাহিত্যের জগতে তপন চ্যাটার্জী কবিতা ,গল্প ,ভ্রমণ কাহিনী এবং প্রবন্ধ লেখেন ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় এবং একটি কবিতার বই আছে।
একজন বাচিক শিল্পী হিসেবে তপন চ্যাটার্জীর বেশ কয়েকটি আবৃত্তি এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান YouTube এবং Facebook এ আছে ও সমাদৃত হয়েছে।