Advt

Advt

Atma Darshan, Story, by Nityaranjan Debnath, Tatkhanik digital bengali online, bangla web, e magazine, আত্মদর্শন, গল্প

Atma Darshan, Story, by Nityaranjan Debnath, Tatkhanik digital bengali online, bangla web, e magazine, আত্মদর্শন, গল্প


সুবলকে নিয়ে মায়ের চিন্তার শেষ নেই। এমন ছন্নছাড়া যে কী করে হল ভেবে ভেবে রাতের ঘুম উধাও। কোথায় কি কথা বলতে হয় সেই সহবতটুকু শেখেনি। মুখের উপর টাস টাস কথা শুনিয়ে দেয়। ছোট-বড় মান্য গণ্য জ্ঞান করে না। দাদারা নোটিস দিয়ে দিয়েছে, "আগামী মাস থেকে তোর ব্যাবস্থা তুই করে নে, তোর দায়িত্ব আমরা নিতে পারবো না।" মায়ের হয়েছে জ্বালা, তিনি তো আর ছেলেকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে পারেন না। অন্য ছেলেদেরকেও আর বলার মুখ নেই।এক কথা কতবার বলবে?  এইতো দু'সপ্তাহও হয়নি। ছেলেদের ডেকে বলেছিল, "সবার ছোট ভাই একটু ক্ষমা ঘেন্না করে নে বাপ। কি করবি হাতের পাঁচটা আঙ্গুল তো সমান হয় না। আমি বুঝিয়ে বলে দেব আর যাতে মুখে মুখে চোপা না করে।" কে শোনে কার কথা। স্বভাব দোষ যাবে কোথায়?

এমনিতে যে বুদ্ধি কম তা বলা যাবে না। অংকে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাশ করেছে। টনটনে জ্ঞান। কম্পিটিটিভ পরীক্ষা দিয়ে একটা চাকরিও জোগাড় করেছিল। যদিও কেরানির চাকরি। হোক না, সরকারি চাকরি আজকাল কজন পায়। কিন্তু ওই যে, স্বভাব দোষে সেটাও টলমল। অফিস বসের মুখে মুখে যদি তর্ক করে সে চাকরি টেকে? অফিস দশটা পাঁচটা।সুবল ঠিক টাইমেই অফিস পৌঁছনোর চেষ্টা করে। এক-আধ দিন ট্রেন বাসের গন্ডগোলে সাড়ে দশটা পৌনে এগারোটা বেজে যায়। গিয়ে দেখে লেট মার্ক পড়ে গেছে। অ্যাটেনডেন্সে লাল কালির দাগ দেখেই সুবলের মাথা গরম। সোজা বসের ঘরে ঢুকে পড়ল," আমার অ্যাটেনডেন্সে লেট মার্ক কেন দিলেন?"

" কেন দিয়েছি বুঝতে পারছেন না? দেরিতে এলে লেট মার্ক তো দিতেই হবে।অফিসে একটা ডেকোরাম আছে, সেটা মেনে চলার চেষ্টা করুন।"

"আপনি যে প্রায়ই বেলা এগারোটার পর আসেন তার বেলা? আপনারও লেট মার্ক পড়া উচিৎ।"

আধিকারিক তো শুনেই থ ! এতটা দুঃসাহস ভাবতেই পারছে না। ছেলেটি যে এচড়ে পাকা সেই প্রথম টের পেল। মাত্রা জ্ঞানের অভাব। এক ধমকে তাকে চেম্বার থেকে বার করে দিল।

সুবল বলল," ধমকে বার করে দিতে পারেন। কথাটা কিন্তু অন্যায্য বলিনি।" বলেই বেরিয়ে এল।

বসের সুনজরে না থাকলে কি টিকে থাকা যায়? যায়, যদি অফিস স্টাফ তার পক্ষে থাকে। কিন্তু ঠোঁটকাটাদের সবাই এড়িয়ে চলে। বছর খানেক হল চাকরি করছে, এর মধ্যে কারো সঙ্গে সুবলের সদ্ভাব নেই। খুঁত ধরা স্বভাব হলে যা হয়। পাশেই বসে অতনু স্যানাল।নিপাট ভদ্রলোক। কারো সাতে-পাঁচে থাকে না। অহেতুক কথাও কম বলে। এক মনে কাজ করে। দুপুরে বাড়ি থেকে আনা টিফিন আয়েশ করে খায়।এক-একদিন এক-এক রকম খাবার।কোনও দিন হয়তো দই চিড়ে মিষ্টি ও ল্যাংড়া আম।আবার কোনও দিন ফুলকো ফুলকো লুচি সঙ্গে মুরগির ঠ্যাং। কৌটো খুললেই কষা মাংসের গন্ধে ম ম করে। বউ ভালোবেসে পরিপাটি করে যে টিফিন করে দেয় আইটেম দেখেই বোঝা যায়। একদিন সুবল দুম করে বলে বসল," আমরা সবাই কেরানি।একমাত্র আপনাকে দেখলেই মনে হয় আপনি অফিসের টপ বস।"

"কেন কেন?"

"আপনার টিফিনের বহর দেখে বলছি আরকি।"

শুনেই ভদ্রলোক গুম। এমন কথা বললে মনে লাগে কিনা? তারপর থেকেই কথা বন্ধ। ভদ্রোলেকের চল্লিশের কাছাকাছি বয়স। সাজ পোশাকে একটু সৌখিন।একেবারে টিপটপ  ফিটফাট থাকতেই ভালোবাসে।প্রতিদিনই ইস্ত্রি করা জামা প্যান্ট পরে ।  এক-আধ দিন কোট টাই পরেও আসে। তাতেও সুবলের গাত্রদাহ। ভদ্রলোক তো আগেই কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে। তারমধ্যেই সুবল ফোড়ন কাটল," মশাই, কেরানিদের কোট টাই পরা মানায় না।বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন।"

এসব কথা কী সহ্য করা যায়? পোশাক-আসাক সম্পূর্ণ নিজস্ব পছন্দ বা অভিরুচির ব্যাপার। তারউপর ঠাট্টা করে বলা একরকম কিন্তু কারো কথায় যদি হুল থাকে আঁতে লাগে কিনা? অফিসের অন্য স্টাফরাও সেদিন চুপ করে বসে ছিল না। সরাসরি এক যোগে আক্রমন করে সুবলকে। একেবারে নাস্তানুবাদ করে ছাড়ে। তাহলে দাঁড়াল কি? বস থেকে শুরু করে সকলেই সুবলের শত্রু। এই ছেলেকে ব্যাকায়দায় ফেলা কি এমন কঠিন কাজ?

একদিন সুবল অফিস এসে দেখে,  যেসব ফাইল, রেজিস্টার নিয়ে সে কাজ করে সেসব উধাও। তার দায়িত্বে  ছোট একটা আলমারি আছে। তাতেই সে ফাইল পত্র রেখে তালা দিয়ে যায়। কিন্তু গেল কোথায়? আলমারিতে তো নেই-ই সারা অফিস তন্ন তন্ন করে খুঁজেও হদিস পাওয়া গেল না। বস শোকজ করলেন। অফিসের জরুরি ফাইল পত্র হাপিস করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপর মহলে চিঠি করলেন। সুবল পড়ল বিপাকে। সন্তোষজনক উত্তর সে দিতে পারে নি। শেষমেষ কর্তৃপক্ষ চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেন।

সুবল এবার যায় কোথায়? ঘরে বাইরে তার শত্রু। শান্তি নেই কোথাও। সারাদিন সময় কাটানোই দুস্কর। বাড়িতে কেউ তাকে দেখতে পারে না। দু'বেলা হোটেলে খায়। চা খেতে গেলেও তাকে বাইরে খেতে হয়। মাও ইদানিং চ্যাটাং চ্যাটাং কথা শোনায়। বলে কিনা, দরকার ছিল,এটাই তোর উপযুক্ত শাস্তি।

রাত বারোটা নাগাদ গঙ্গার ধারে একটি সিমেন্টের বেঞ্চে গিয়ে বসল সুবল। তার বাড়ি থেকে গঙ্গা  কাছেই। সাত-আট মিনিটের হাঁটা পথ।ফুরফুরে হওয়া বইছে। মাস খানেক হল মাঝে মাঝে নিরিবিলিতে কিছুটা সময় কাটায়। মুক্ত বাতাস নিয়ে কিছুটা শান্ত হওয়ার চেষ্টা । সারাদিনই অস্থিরতায় কাটছে।বিক্ষিপ্ত মন। রাতেও ঘুম নেই। তাই হয়তো আত্মদর্শন বলা যায়, তার চলার পথে বা কাজ কর্মের  ভুলত্রুটিগুলো নিয়ে ভাবে।এতদিন জেনে এসেছে স্পষ্ট কথার কষ্ট নেই। যাহা সত্য, অপ্রিয় হলেও চেপে না রেখে বলে দাও। কিন্তু এই তার পরিণতি?

ইয়া বড়  চাঁদ উঠেছে। উজ্জ্বল আলোয় আকাশটা  যেন এক স্বপ্নময় জগতে ভাসছে।  আজ কী পূর্ণিমা?  গঙ্গার ছলছলাৎ ঢেউ পাড়ে আছড়ে পড়ছে। চন্দ্র কিরণে জলের উচ্ছাস যেন বেড়ে গেছে।সব মিলিয়ে যেন এক খুশির ঝিলিক। চারিদিকে এত আনন্দ অথচ তার ভেতরে এত অন্ধকার কেন?  কেন এমন হল? সে তো জ্ঞানত কোনও অন্যায় করেনি। অফিসের ব্যাপারটা তার কাছে স্পষ্ট। সকলে জোট বেঁধে  ফাঁসিয়েছে। না হলে কাজে কোনোদিন ফাঁকি দেয় না সে। তার কথায় কী এমন অসঙ্গতি ছিল? সকলে মিলে কেন এমন শাস্তি দিল? সত্যিই কী তার প্রাপ্য ছিল?

বাড়ির কথাগুলো নিয়েও ভাবছে। অসঙ্গতি দেখলে সে চুপ থাকতে পারে না এটাই তার দোষ।  ওরা চার ভাই।সুবল সবার ছোট।তিন বছর আগে বাবা গত হন। তারপর থেকেই সুবলের দুর্দশা শুরু। হয়তো কনিষ্ঠ সন্তান বলে বাবার একটা প্রশ্রয় ছিল।কেউ কিছু বলার সাহস পেত না।তারপর থেকেই টের পাচ্ছে সে ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে উঠছে। তার কথা কেউ ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না। রাগ হয় কিনা? সে কমতি কিসে?

"কি ব্যাপার? এত রাতে এখানে কি করছ বন্ধু?" সুবল চমকে উঠল। বেঞ্চিতে তার একেবারে পাশেই বসেছে। উজ্জ্বল মুখ।  বোধকরি তার বয়সীই হবে। কে সে? মাঝে মধ্যে সাধু সন্ন্যাসীদের বসে থাকতে দেখা যায় ঠিকই  কিন্তু  এতো সেই পর্যায়ে পড়ে না। মেলা জায়গা থাকতে তার পাশেই বা বসল কেন?

"ভাবছ তো বন্ধু? কেন এসে বসলাম?" আমি কিন্তু কোনও প্রতারক নই। অসৎ উদ্দেশ্যও নেই, তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পারো। আমাকে তোমার হিতাকাঙ্খী ভাবতে পার।"

সুবল ভাবছিল সরে গিয়ে অন্য বেঞ্চিতে বসবে। কথা শুনে মত বদলাল।বরং ভালোই লাগছে তার।

"আমি জানি মনে তোমার দুঃখের পাহাড় জমে আছে। আমাকে বলে হালকা হতে পার। উপশম করার যথাসাধ্য চেষ্টাও করতে পারি যদি তোমার আপত্তি না থাকে।"

"সুবল অবাক ! তার এত দুঃখ জানল কি করে? সত্যিই তো তার মনের কথা বলার মত হিতাকাঙ্খী বন্ধু  পৃথিবীতেই কেউ নেই। একে বোধহয় বিশ্বাস করা যায়। দেখাই যাক না কি বলে?"

বাতাসে হওয়ার দাপট একটু বেড়েছে। তবে বেশ আরামদায়ক। চাঁদকে যেন আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। ওকে কোন দুঃখের কথাটা দিয়ে শুরু করবে ভাবছে সুবল। ঘরে বাইরে তার দুঃখের কী শেষ আছে?

"যাই বলো বন্ধু অফিসের কাজটা কিন্তু তুমি ঠিক করোনি।"

"কোন কাজটা? আমি তো অন্যায় কাজ করি না?"

"মুশকিল হচ্ছে তুমি নিজের ভুলগুলো দেখতে পাও না। অপরের বিষয়ে অহেতুক কথা বলা তোমার স্বভাব। পোশাক আশাক, খাবার দাবার নিয়ে কথা বলার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে? কোথায় বলা আছে কেরানির চাকরি করলে ভাল ড্রেস, ভাল খাবার খাওয়া যাবে না? তুমি তো বলেই খালাস। ভদ্রলোক মনে কতটা দুঃখ পেয়েছেন ভেবে দেখেছ কী? সব চেয়ে বড় ভুল করেছ বসের অ্যাটেনডেন্স নিয়ে কথা বলা।"

" বাঃ তিনি আমার অ্যাটেনডেন্সে লাল কালি দিচ্ছেন অথচ তিনি যে মাঝেমধ্যে লেটে আসেন সে কথা বলব না? নিজে ঠিক না হয়ে অপরের ভুল ধরেন কি করে?"
"তিনি তোমার বস, তোমার ভুল দেখার অধিকার তাঁর আছে।বসের ভুল ধরবে তাঁর উপরওয়ালা। তুমি ধরার কে? কে তোমাকে অধিকার দিয়েছে?"

সুবল চুপ করে বসে রইল কিছুক্ষণ। কথাগুলোর যুক্তি আছে। এভাবে সে কখনো ভেবে দেখে নি।
"একটা কথা আছে জানতো? আপ ভাল তো জগৎ ভাল। নিজের আচরণ আগে ঠিক কর।কারো সমালোচনা বা ভুল ধরার আগে গভীর ভাবে ভাবো কথাটা বলা সঙ্গত কিনা, তাহলেই দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে। বাড়িতেও তুমি মনে আঘাত দিয়ে ফোড়ন কেটে চলেছ, কত দিন সহ্য করে মানুষ?"

"বাড়িতে কিন্তু আমি কোনও অন্যায় কথা বলিনি।এই শেষ বারে যেটা ঘটল,তোমাকে একটু বিস্তারিত না বললে বুঝবে না। আমার তিন বৌদি।বড় বৌদি অসুস্থ। এর মধ্যে সেজ বৌদি বলছে বাপের বাড়ি যাবে। তাঁর মায়ের নাকি শরীর খারাপ। তিন জনের মধ্যে দু'জনই যদি আউট হয়ে যায় সংসারটা চলে কি করে? তাই আমি বলেছি, বড় বৌদি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তোমার বাপের বাড়ি যাওয়া হবে না।ভুল বলেছি?"

"তুমি বলার কে? ওদের মধ্যে তোমাকে নাক গলাতে কে বলেছে? তুমি কি গার্জিয়ান? সেটা দাদারা বুঝবে,তোমার কাছে তো কেউ পরামর্শ চায় নি?  তোমাকে আগ বাড়িয়ে কে কথা বলতে বলেছে? তুমি কি সংসারের কোনও কর্তব্য করো? এই যে তুমি এক বছর ধরে চাকরি করছো, বাড়িতে কী একটা পয়সা দিয়েছ কখনো? "

"দাদারা সব বড় চাকরি করে।আমার  টাকায় ওরা তোয়াক্কা করে না। দরকারও নেই, তাই দিই না।"

"তোমার একটা ডিউটি নেই? একবার দেওয়ার কথা বলেছো কখনো? এদিকে দাদাদের হোটেলে খাবে, আর ফোড়ন কেটে যাবে,কে সহ্য করবে?"

সুবল একেবারে ফিউজ। সত্যিই তো সে সকলের ছোট ভাই।বড়দের ব্যাপারে তার কথা না বলাই উচিৎ।

"কি হল? চুপ করে রইলে কেন? কথাগুলো হৃদয়ঙ্গম করতে পারলে কি? নাকি মাথায় ঢুকে নি?"

"বুঝতে পেরেছি। কিন্তু এর সমাধান কি করে সম্ভব, ভাবছি।"

"এক মাত্র উপায় সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। প্রথমে তোমার অফিস বসের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইবে। বলবে, স্যার, আমি অন্যায় করে ফেলেছি, আর কোনও দিন এমন হবে না, আমাকে ক্ষমা করে দিন। তারপর অফিস স্টাফ, সকলেই তো তোমার থেকে বয়সে বড়, প্রত্যেকের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইবে। তাদেরও বলবে, এমন ব্যাবহার আর করবো না। তুমি তো সাসপেন্ড হয়ে আছো।কেস চলছে। দেখবে অফিস আর বিরোধিতা করবে না। চাকরি টা ফিরে পাবে। বাড়িতেও তাই করবে। মেজ বৌদির পায়ে ধরে ক্ষমা চাইবে।দেখবে মন নরম হয়ে যাবে।"

"বৌদির পায়ে ধরতে হবে?"

"কেন বৌদি তো তোমার গুরুজন, পায়ে ধরতে অসুবিধা কি?"

"না, তা নেই।"

রাত শেষ হয়ে এল। পূবদিকে সূর্যের লাল আভা দেখা দিয়েছে। সূর্য উঠতে আর বেশি দেরি নেই। পাখিদের কলকলানি শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ছেলেটি গেল কোথায়? হঠাৎ উধাও হয়ে গেল? না, আশেপাশে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। না বলে যাওয়া কী উচিত? তবে কী ! যাইহোক, সুবলের মনটা অনেকটা হালকা। স্বস্তি বোধ করছে। সমাধান রাস্তা বোধহয় পেয়ে গেল। 

লেখক পরিচিতি: 

জন্ম পৈত্রিক বাড়ি বর্ধমান জেলার কাটোয়া-র পানুহাট-এ। পড়াশুনা কাটোয়া কলেজ। বর্তমান নিবাস হুগলী জেলার চুঁচুড়ায়। পেশায় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ছিলেন।

তাঁর প্রথম গল্প---চেতনা। প্রকাশিত হয় ছোটদের পত্রিকা "শুকতারা"য়, ১৯৯৬ এপ্রিল সংখ্যায়। তারপর বড়দের পত্রিকা--দেশ, কালি ও কলম, শিলাদিত্য, শুভমসাময়িকী, তথ্যকেন্দ্র, উৎসব, কথাসাহিত্য, কলেজ স্ট্রিট,  দৈনিক স্টেটসম্যান, যুগশঙ্খ, একদিন,সুখবর, সংবাদ নজর, খবর  ৩৬৫ দিন এবং লিটল ম্যাগাজিন-এ নিয়মিত লেখেন।

তিনটি গল্প সংকলন ও একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। " শতানীক" (ষাণ্মাসিক) সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন। 

Tatkhanik digital bengali online e magazine

Choto Maa, Story, Galpo, by Nityaranjan Debnath, Tatkhanik digital, bengali online, bangla web, e magazine, ছোটমা, গল্প