Advt

Advt

Rishi Aurobinda - Ekti Dibya Jiban, Feature, 1st Part, by Krishna Mishra Bhattacharya, Tatkhanik digital bengali online, bangla web, e magazine, ঋষি অরবিন্দ

 

Rishi Aurobinda - Ekti Dibya Jiban, Feature, by Krishna Mishra Bhattacharya, Tatkhanik digital bengali online, bangla web, e magazine, ঋষি অরবিন্দ

কথাশুরু

--"অরবিন্দ রবীন্দ্রের লহো নমস্কার।
হে বন্ধু, হে দেশবন্ধু, স্বদেশ-আত্মার
বাণীমূর্তি তুমি।"


একজন কবি আরেকজন দেশভক্ত, বিপ্লবী
  ত‍্যাগী মানব আত্মাকে এভাবেই নমস্কার করেছেন।

আর এই অসামান্য নমস্কার থেকেই ভারত-আত্মার বাণী মূর্তি অরবিন্দ ঘোষ,বিপ্লবী অরবিন্দ, ঋষি অরবিন্দের দিব‍্য জীবন উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে--ভারতবর্ষের প্রেক্ষাপটে। একজন সম্পূর্ণ ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত,মানুষ হয়েও অরবিন্দ ছেড়ে দিয়েছিলেন আই সি এস  পদবী র লোভ,বন্দিনী দেশমাতৃকার হাতের শৃঙ্খল মোচন করার জন্য বিপ্লবের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে কারাবরণ করেছিলেন--আর এই কারাজীবনে কঠিন ,ভয়ংকর জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে আত্মসমীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে আবিষ্কার করেছিলেন নতুন আলোকে--
উপনিষদ এর বাণী--"আত্মানং বিদ্ধি" তাঁর জীবনে সত‍্য হয়ে উঠেছিল--আর নিজের আত্মাকে প্রকাশিত করেছিলেন এক জ‍্যোতির্ময় আলোকে--সে আলোর নাম
--"Life divine".

জন্ম,বাল‍্যজীবন -

অরবিন্দ ঘোষের জন্ম হয়েছিল ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই অগাষ্ট--বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কলকাতায়। তাঁর পৈতৃক ভিটে ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার কোন্নগরে। তাঁর বাবা কৃষ্ণধন ঘোষ ছিলেন ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন এর একজন পুরোধা। এডিনবরায় যখন তিনি চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তখন থেকেই কৃষ্ণধন নতুন নতুন ভাবনা চিন্তার সঙ্গে পরিচিত হোন। তিনি রংপুরের আ্যসিসটেন্ট সার্জন ছিলেন পরে খুলনায় সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেন। অরবিন্দের মা স্বর্ণলতা দেবী ছিলেন বিখ্যাত সমাজবিদ এবং ব্রাহ্মসমাজ এর নেতা শ্রীযুক্ত রাজনারায়ণ বসুর কন‍্যা। অরবিন্দ ঘোষের দুই বড় দাদা-বিনয়ভূষণ এবং মনমোহন--তাঁর ছোটবোন সরোজিনী ঘোষ এবং ছোট ভাই বারীন্দ্র কুমার--যিনি বারীন নামে বিপ্লবী মহলে পরিচিত।

ছোটবেলায় অরবিন্দ ইংরেজীয়ানার পরিবেশে মানুষ হতে থাকেন। তাঁর বাবা কৃষ্ণধন মনে করতেন যে বৃটিশ কালচারই শ্রেষ্ঠ--সুতরাং ছোটবেলাতেই অরবিন্দকে তাঁর দুই বড় দাদার সঙ্গে কৃষ্ণধন দার্জিলিং-এর লরেটো বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় দার্জিলিং ছিল ভারতের Angelo-Indian সংস্কৃতির পীঠস্থান। আর লরেটো স্কুলটি পরিচালিত হতো আইরিশ নানদের দ্বারা--সুতরাং অরবিন্দ এবং তাঁর দুই দাদা ক্রিষ্ট ধর্ম এবং ক্রিশ্চিয়ান শিক্ষা, ধ‍্যানধারণা দ্বারা সম্পূর্ণ ভাবে প্রভাবিত হতে লাগলেন। এভাবেই মোটামুটি একা একা নিজস্ব পরিমন্ডলে বালক অরবিন্দ বড় হতে লাগলেন। তাঁর মা-র সান্নিধ্য ও তিনি তেমন করে পান নি--কারণ স্বর্ণ লতা দেবী তাঁর প্রথম সন্তান এর জন্মের র থেকেই কিছুটা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন--কালক্রমে সেটা মানসিক অসুস্থতা তেই দাঁড়িয়ে যায়।

কৃষ্ণধন ঘোষ বৃটিশ কালচারকেই বড় বলে মানতেন সুতরাং তাঁর ইচ্ছে ছিল তাঁর ছেলেরা যেনো ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়। সেই উদ্দেশে তিনি তাঁর পুরো পরিবারসহ ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে চলে যান। অরবিন্দ সহ সকলের নতুন জীবন শুরু হয়।

-ইংল্যান্ডের জীবন--(১৮৭৯--১৮৯৩)

ইংলন্ডের ম‍্যানচেষ্টারে  Congregational church এর মিনিষ্টার রেভারেন্ড W H Drewett এর তত্তাবধানে অরবিন্দ এবং তাঁর বড় দুই দাদার পড়াশোনা শুরু হয়। তাঁদের কে ড্রুয়েট এবং তাঁর স্ত্রী ল‍্যাটিন ভাষাও শেখাতে আরম্ভ করলেন কারণ ইংল্যান্ডে সেই সময় কোনো ভালো স্কুলে ভর্তি হতে হলে ল‍্যাটিন জানা আবশ্যক ছিল। ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে অরবিন্দের দুই দাদা ম‍্যানচেষ্টার গ্রামার স্কুলে ভর্তি হলেন--অরবিন্দের বয়স কম থাকায় তিনি ড্রুয়েটের কাছে ইতিহাস, ল‍্যাটিন, ফরাসি ভাষা, ভূগোল এবং গণিত শিক্ষা চালিয়ে  যেতে লাগলেন। যদিও তাঁকে কোনো ধর্মীয় পাঠ নিতে হতো না--তবুও অবধারিত ভাবেই অরবিন্দ খ্রীষ্টধর্ম  ব‍্যাপারে এক্সপোজড হতে লাগলেন এবং তাঁর মাঝে মাঝেই এই ধর্মীয় অনুশাসন গুলোকে বেশ খারাপই লাগতে লাগলো। এদিকে কৃষ্ণধন ঘোষের ও বৃটিশ শাসকদের প্রতি যে মোহ ছিল তা ভেঙে যেতে লাগলো। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে ইংরেজী কালচার আর ঔপনিবেশিক বৃটিশ শাসন এক নয়। তিনি তাঁর ছেলে অরবিন্দকে একবার একটি চিঠিতে বৃটিশ কলোনিয়াল সরকার কে--"heartless" বলতেও দ্বিধা করেন নি।

এরি মধ্যে ড্রুয়েট অষ্ট্রেলিয়ায়  চলে গেলে অরবিন্দরা তিনভাই আবার বাসস্থান বদল করতে বাধ্য হলেন তাঁরা ড্রুয়েটের মার কাছে লন্ডনে চলে যান। সেখানে -সেবছর ই -১৮৮৪ সালে তিনি ও তাঁর দাদা মনমোহন সেন্ট পল স্কুলে ভর্তি হয়ে গেলেন। অরবিন্দ সেখানে গ্রিক ভাষা শিখতে শুরু করেন এবং শেষের তিন বছর তিনি ইংলিশ পোয়েট্রি,সাহিত্য এবং জার্মান ও ইটালিয়ান ভাষায় ও অল্প বিস্তর পাঠ নিতে শুরু করেন। তাঁর এই মেধা এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখে Peter Herbs মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তিনি লিখেছিলেন--" in the turn of the century, he knew  atleast twelve languages ; English, French, and Bengali to speak, read and write; Latin, Greek, and Sanskrit to read and write; Gujarati, Marathi and Hindi to speak and read; and Italian, German and Spanish to read."

একই সময় অরবিন্দ ড্রুয়েটের মায়ের প্রভাবে evangelical structure এর মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার দরুন তাঁর মধ্যে প্রচলিত সমস্ত ধর্মীয় আচার আচরণের প্রতি এক তীব্র অনীহা দেখা দেয় এবং তিনি নিজেকে একজন এথিষ্ট  বা নাস্তিক বলে ভাবতে শুরু করেন--পরবর্তী জীবনে তিনি নিজেকে একজন আ্যগনোসটিক বা অজ্ঞাবাদী হিসেবে ভাবতে আরম্ভ করেন--এবং এই ধারণাতেই তিনি অবিচল ছিলেন। অজ্ঞাবাদী মানে হলো যারা বিশ্বাস করেন যে--"no knowledge beyond  material phenomenon is possible!"

১৮৮৪--১৮৮৭--পর্যন্ত অরবিন্দদের তিনভাই এর ঠিকানা ছিল --49 st Stephen's Avenue, Shepherd 's Bush, London.

১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দ থেকে  কৃষ্ণধন ঘোষের একটু অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁরা তিনভাই সাউথ কেনসিংটন এর লিবারেল ক্লাব এ থাকতে শুরু করেন। এই ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন জেমস কটন যিনি ছিলেন কৃষ্ণধন এর বন্ধু হেনরি কটনের ভাই। ১৮৮৯ সালে মনমোহন সাহিত্য সাধনাকেই জীবন যাপনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিলেন এবং বিনয়ভূষণ আই সি এস প্রবেশিকা পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে না পারায় অরবিন্দের উপর বাবা কৃষ্ণধন এর আশা পূরণ-এর সম্ভাবনা আরো বেড়ে গেলো। সেই সময় এই আই সি এস অফিসার হবার জন্য যেমন কমপিটিটিভ পরীক্ষা পাশ করতে হতো তেমনই দুবছর ইংরেজী বিশ্ববিদ্যালয়ে -"under probation "পড়তে হতো। সেই সময় কৃষ্ণধন-এর অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য অরবিন্দ স্কলারশিপ এর চেষ্টা করতে লাগলেন এবং তিনি কেমব্রিজের কিংস কলেজে স্কলারশিপ সহ পড়ার সুযোগ ও পেলেন--অস্কার ব্রাইনিং তাঁর স্কলারশিপ রেকোমেন্ড করেছিলেন। তিনি আই সি এস এর লিখিত পরীক্ষায়  ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ নম্বর স্থান অর্জন করে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন। কিন্তু অরবিন্দের আই সি এস পদের প্রতি বিন্দুমাত্র উৎসাহ ছিল না--সুতরাং তিনি হর্স রাইডিং এর প্র্যাকটিক‍্যাল পরীক্ষায় ইচ্ছে করে দেরিতে হাজির হলেন যাতে তিনি ডিসকোয়ালিফাইড হতে পারেন।

এই সময় বরোদার মহারাজা সাভাজিরাও গায়কোয়াড়,ইংল্যান্ড এ এসেছিলেন। কটন সাহেব অরবিন্দের জন্য মহারাজার কাছে স্টেট সার্ভিসের একটি আসনের ব‍্যবস্থা করেন এবং অরবিন্দ ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে ইংল্যান্ড থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

এদিকে কৃষ্ণধন তাঁর ছেলেকে দেখবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন—বোম্বাই (বর্তমান মুম্বাই) বন্দর থেকে তাঁর এজেন্ট তাঁকে ভুল খবর পাঠান -যে জাহাজে করে অরবিন্দ দেশে ফিরছেন সেই জাহাজ টি পর্তুগাল উপকূলে ডুবে গেছে এবং কোনো যাত্রী প্রাণে বাঁচেন নি। কৃষ্ণধন এই খবর পাওয়া মাত্র হার্ট আ্যটাকে মারা যান---অরবিন্দ -১৮৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরলেন--কিন্তু বাবার সঙ্গে দেখা হলো না---

বরোদা ,কলকাতা--বিপ্লবী জীবন (১৮৯৩--১৯১০)

বরোদায় অরবিন্দ তাঁর কর্মজীবন শুরু করলেন। ১৮৯৩ সালে তিনি স্টেট সার্ভিসে প্রথমে সার্ভে এবং সেটেলমেন্ট বিভাগে,তারপর রেভিনিউ বিভাগ এবং সেক্রেটারিয়েটে কাজ করেন। ১৮৯৭ সালে তিনি বরোদা কলেজে (বর্তমানে মহারাজা সাভাজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়,বরোদা) পার্ট টাইম ফরাসি অধ‍্যাপক এবং পরে তিনি এই কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল এর পদে যোগ দেন। এই সময় অরবিন্দ নিজে সংস্কৃত এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।

বরোদায় থাকাকালীন তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। সেই সময় তিনি ইন্দুপ্রকাশ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। বরোদা কলেজ বোর্ডের প্রবক্তা হিসেবে ও তিনি বক্তব্য রাখতেন। যদিও তাঁর চাকরির জন্য তিনি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত হতে পারতেন না কিন্তু গোপনে গোপনে তিনি মধ‍্যপ্রদেশ এবং বাংলার বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন। তিনি এই সময় লোকমান‍্য তিলক এবং সিস্টার নিবেদিতার সঙ্গে ব‍্যাক্তিগত যোগাযোগ গড়ে তুললেন। তখন তিনি তাঁর পৈতৃক বাড়ি, ভাই বারীন এবং বোন সরোজিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য বাংলায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের অব‌্যবহিত পরেই তিনি পাকাপাকি ভাবে বরোদা থেকে কলকাতায় চলে আসেন। এরমধ্যে ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দে ভূপাল চন্দ্র বসুর কন্যা ১৪ বছরের মৃণালিনী দেবী কে বিয়ে  করেন,তখন অরবিন্দ ২৮ বছরের তরতাজা যুবক। তাঁদের বিবাহিত জীবন ছিল মাত্র ১৭ বছরের। ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা অতিমারীতে মৃণালিনীর মৃত্যু হয়।

১৯০৬ সালে অরবিন্দ কলকাতার ন‍্যাশনাল কলেজ এর প্রথম প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ছাত্র দের মধ‍্যে জাতীয় সংহতি, জাতীয়তাবোধ এর শিক্ষা দিতে শুরু করেন--তাঁর এই রাজনৈতিক ভাবধারার ফলে তাঁকে বাধ্য হয়ে এই পোষ্ট থেকে ১৯০৭ সালে পদত্যাগ করতে হয়। এই ন‍্যাশনাল কলেজই পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়।

অরবিন্দ তাঁর ছাত্র জীবনে ফরাসী বিপ্লব,আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম দ্বারা প্রভাবিত হোন এবং বৃটিশ কলোনিয়াল শাসন এর বিরুদ্ধে বৈপ্লবিক চিন্তা ভাবনার প্রকাশ করতে থাকেন--বিভিন্ন পত্র,পত্রিকার মাধ্যমে—বন্দেমাতরম-এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তিনি ও তাঁর ছোটভাই বারীন মিলে যতীন মুখার্জি বা বাঘা যতীন,সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন এবং অনুশীলন সমিতি র প্রতিষ্টায় সহযোগিতা করেন।

১৯০৬ সালে অরবিন্দ দাদাভাই নৌরজির সভাপতিত্বে কংগ্রেস কমিটির বৈঠকে একজন কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেন এবং---"স্বরাজ,স্বদেশ, বয়কট এবং জাতীয় শিক্ষা"--এই চারদফা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপরেখা অঙ্কন করেন। ১৯০৭ সালে সুরাটের কংগ্রেস অধিবেশনে নরমপন্থী এবং চরমপন্থী--এই দুই দলে জাতীয় কংগ্রেস বিভক্ত হয়ে যায়। অরবিন্দ বালগঙ্গাধর তিলকের চরমপন্থী মতামত কেই প্রাধান্য দেন।

 

ক্রমশ …………………

২য় পর্ব পড়ুন আগামীকাল

লেখিকার পরিচিতি –

জন্ম-কলকাতা য় । আসামের বরাক উপত্যকায় বড় হয়ে ওঠা ।

প্রকাশিত গ্রন্থ

১--সাপ শিশির খায় (গল্প গ্রন্থ)
২--দেবী দহন--(কবিতা গ্রন্থ)

ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত

প্রকাশিত অডিও ভিডিও সিডি--দিল্লি হাটার্স তিন কবি  

Rishi Aurobinda - Ekti Dibya Jiban, Feature, by Krishna Mishra Bhattacharya, Tatkhanik digital bengali online, bangla web, e magazine, ঋষি অরবিন্দ