১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট। দেশভাগের মাধ্যমে অবশেষে বহু আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে ভারত। ২০২২ সালের ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। প্ল্যাটিনাম জুবিলি কিংবা অমৃত মহোৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণে মনের মধ্যে কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনার জন্ম নিচ্ছে।
অসংখ্য মানুষের সংগ্রাম আন্দোলন, আত্মাহুতির মাধ্যমে অর্জিত
স্বাধীনতার ‘স্বপ্নসৌধ’ কোথায় হারালো? এর উত্তর কে দেবেন? স্বাধীনতা পেতে গিয়ে ‘ভিটেছাড়া’
–দের আর্তি, হাহাকার, কি সব ব্যর্থ হয়ে গেল?
‘আজ বাংলা যা ভাবে, গোটা ভারত আগামীকাল তা ভাবে’। মহাত্মা গোখলের ‘সেই বাংলা’ সেই বাঙালি কোথায় হারালো?
স্বাধীনতার পর আমাদের মাতৃভাষা যেখানে তথাকথিত রাজভাষা হিন্দির
সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিত, সেই বাংলা ভাষার আজ এ-হেন দৈন্য দশা কেন? এর উত্তর কে
দেবে?
বাঙালি তথা ভারত তথা গোটা বিশ্বের গর্ব নেতাজী সুভাষ চন্দ্র
বসুর ‘অর্ন্তধ্যান রহস্য’ স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও উন্মোচিত হলো না কেন?
অনেক ‘কেন’-র উত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা। পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনাও
দিন-দিন ক্ষীন থেকে ক্ষীনতর হচ্ছে।
এই আবহেই আমরা স্বাধীনতার ৭৫-তম বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি।
“উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই,
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই”।
কবিগুরুর বাণীতে আস্থা রেখেই পরিশেষ যবনিকা টানছি।
লেখক পরিচিতি –
ড.বাসুদেব রায়ের জন্ম ১৯৬২ সালে। কবিতার মাধ্যমে সাহিত্যের জগতে আত্মপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশিত বই মানব' (কাব্যগ্রন্থ), দ্বিতীয় বই রক্তের বাঁধন (উপন্যাস)। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় পদচারণা করলেও প্রবন্ধ সাহিত্যের দিকে তার ঝোঁক বেশি। তদুপরি গবেষণামূলক প্রবন্ধ তথা বই লিখতে তিনি অধিকতর উৎসাহী। গবেষণামূলক বইয়ের পাশাপাশি সাধু-মহাপুরুষদের জীবনী-গ্রন্থ, একাঙ্কিকা ইত্যাদি সম্পাদনাও করেছেন তিনি।
ড.বাসুদেব রায়ের বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। হার উল্লেখযোগ্য গবেষণা গুলোর মধ্যে রয়েছে মনসামঙ্গল কাব্যে দেবদেবীর স্বরূপ', চণ্ডীমঙ্গল ও অন্নদামঙ্গল কাব্যে দেবদেবীর স্বরূপ, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে সমাজ-চিত্র ইত্যাদি। তাঁর যৌথ রচনা ও উপেক্ষণীয় নয়।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বাসুদেব রায় নিরলস ভাবে লিখে চলেছেন। এছাড়াও নতুন করে তিনি একক ও যৌথভাবে বেশ কয়েকটি গবেষণামূলক কাজে হাত দিয়েছেন। নিয়মিত বিভিন্ন e magazine-এ লেখেন।