বাংলা
সাহিত্যাঙ্গনে এক বিশেষ ঐতিহাসিক সময়ে প্রমথ চৌধুরীর আবির্ভাব । দুই শতকের সম্মিলন
ঘটেছে তাঁর জীবন ও সাহিত্যে । ফলে একদিকে পুরনো দিনের বিলীয়মান ছায়া , অন্যদিকে নতুন
সাহিত্যবোধ – ভাষার আবাহন তাঁর লেখনীতে প্রতিবিম্বিত । প্রমথনাথ চৌধুরী ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের
৭ আগস্ট যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন । ' সুবজপত্র ' (১৯১৪) প্রকাশিত হবার পূর্বেই তিনি
নামের ‘ নাথ ' অংশ বর্জন করেন । প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে
। পিতা দুর্গাদাস চৌধুরী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন । তাঁর পাঁচ পুত্রের মধ্যে চারজন
ব্যারিস্টার এবং অন্যজন ( সুহৃদ চৌধুরী ) ডাক্তার হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন । প্রমথ
চৌধুরীর রাশিগত - নাম ছিল ভূপেন্দ্রনাথ ও কুলপদবি মৈত্র । ' সবুজপত্রে ’ প্রকাশিত অনেক
লেখার রচয়িতার নাম ভূপেন্দ্র মৈত্র দেখা যায় । তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে ১৮৮৪
খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করেন । সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ
থেকে এফ.এ., প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান
অধিকার করে বি.এ. পাশ করেন । এই কলেজ থেকেই তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ. পাশ করেন প্রথম
শ্রেণিতে প্রথম স্থান দখল করে।
১৮৯৩
খ্রিস্টাব্দের ১৭ অক্টোবর আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যাত্রা করেন । অবশ্য
এর পূর্বেই অর্থাৎ ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ( ১৮৪২-১৯২৩ ) কন্যা
ইন্দিরাদেবীর ( ১৮৭৩-১৯৬০ ) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । বালিগঞ্জের ১ নং ব্রাইট
স্ট্রিটে অবস্থিত ' কমলালয় ' নামের বাড়িতে প্রমথ চৌধুরী বসবাস করতেন। 'কমলালয়ে'র
এ বাড়িতেই সবুজপত্র গোষ্ঠীর লেখকদের সাহিত্যের আসর বসতো । প্রমথ চৌধুরীর বুদ্ধি ,
মার্জিত গদ্যরীতি , সুকর্ষিত বাচনভঙ্গির অভিনবত্ব , চিন্তা - চারণার মৌলিকত্ব বাংলা
সাহিত্যে তাঁর একটি বিশেষ স্থান নির্দেশ করে দিয়েছে । কথা - সাহিত্য ও উভয় ক্ষেত্রেই
তাঁর বৈশিষ্ট্য স্বীকৃত হয়েছে । বিচিত্র বিষয়াশ্রিত প্রবন্ধ – প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক
প্রভাব প্রধানত তাঁর প্রবন্ধগুলির ওপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু গদ্য রচনার সামগ্রিক মূল্যবিচারের
পক্ষে তাঁর প্রবন্ধ ও ছোটগল্প – এই দুটি মিলিয়েই তাঁর গদ্যের সমগ্র রূপ । কারণ প্রমথ
চৌধুরীই সর্বপ্রথম গল্প লেখক , যিনি প্রবন্ধ ও গল্পের ব্যবধান অনেকখানি ঘুচিয়ে দিয়েছেন
। তাঁর প্রবন্ধ ও ছোটগল্প তাই পরস্পরের পরিপূরক এবং সবটা নিয়েই প্রমথ চৌধুরীর গদ্য
। সাহিত্য ক্ষেত্রে প্রমথ চৌধুরীর প্রধান খ্যাতি মননশীল প্রবন্ধ লেখক হিসেবে । তবে
তিনি উচ্চমানের গল্প ও কবিতা রচনা করেছেন । বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম বিদ্রূপাত্মক
প্রবন্ধ রচনা করেন । বুদ্ধিদীপ্ত তির্যকভঙ্গি তাঁর গদ্য - পদ্য সব রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য
। শাণিত যুক্তি ও আলঙ্কারিক ভাষা প্রয়োগে তিনি দক্ষ ছিলেন । তিনি ইংরেজি ও ফরাসি সাহিত্যে
সুপণ্ডিত ছিলেন । তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ তেল - নুন – লক্ড়ি (১৯০৬ ) , সনেট পঞ্ছাশৎ
(১৯১৩ ) , চার - ইয়ারি কথা ( ১৯১৬ ) , বীরবলের হালখাতা (১৯১৭), The Story of
Bengali Literature (১৯১৭ ) , পদ - চারণ ( ১৯১৯ ) , রায়তের কথা ( ১৯২৬ ) , নীললোহিত
( ১৯৩২ ) ও আত্মকথা ( ১৯৪৬ )।
প্রমথ
চৌধুরীর প্রবন্ধের বিষয় - বৈচিত্র্য অনন্য সাধারণ । অতি তুচ্ছ সাধারণ বিষয় থেকে উচ্চতর
দর্শন পর্যন্ত যে কোন ক্ষেত্রেই তিনি স্বচ্ছন্দ - বিচরণ করেছেন । তার অধিকাংশ প্রবন্ধেই
সাহিত্যিক ধর্ম পরিপূর্ণ । কিন্তু সবগুলি প্রবন্ধ যে একজাতীয়, একথা বলা যায় না ।
ব্যক্তিগত প্রবন্ধের আস্বাদন তাঁর অধিকাংশ প্রবন্ধেই স্বল্পাধিক পরিমাণে বিদ্যমান।
তবে ব্যক্তিগত প্রবন্ধের দিক থেকে ‘ বীরবলের হালখাতা ’ - কেই শ্রেষ্ঠ সঙ্কলন বলা যায়
। এই সঙ্কলনটির নাতিদীর্ঘ রচনাগুলি বীরবলী রচনারীতিতে ও প্রমথীয় মানস - প্রকর্যে অপূর্ব
হয়ে উঠেছে । সামান্য একটি বিষয় বা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি যে অতি সুক্ষ্ম ও স্বল্প পরিসর
কথার জাল বুনেছেন , তা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে ।
প্রমথ
চৌধুরীর গল্পগুলির বিষয়বস্তু অসাধারণ । তিনি ছোটগল্পের প্রচলিত রীতি - নীতিকে অগ্রাহ্য
করেছেন । ছোটগল্পের নাটকীয়তা এখানে আছে , কিন্তু তার কাহিনী অংশের দ্রুতসঞ্চারী প্রবহমানতা
পদে পদে বাধা পেয়েছে । মূল গল্পের চেয়ে তার সুদীর্ঘ ভূমিকার দিকেই গল্পকারের প্রধান
আকর্ষণ । তাঁর ছোটগল্পগুলি প্রবন্ধ ও ছোটগল্পের এক বিচিত্র বর্ণ - সংকর । গল্প ও প্রবন্ধের
প্রচলিত ব্যবধান ভেঙে গল্প থেকে প্রবন্ধের সীমায় বিচরণ করা অথবা প্রবন্ধ থেকে গল্পের
সীমায় ফিরে আসা তাঁর পক্ষে অত্যন্ত স্বাভাবিক । গল্পের মধ্যে আর্ট , জীবন , সমাজ
, তৎকালীন , রাজনীতি , নরনারীর সম্পর্ক প্রভৃতি নানা বিষয়ে তিনি যে সমস্ত সরস মন্তব্য
করেছেন , তার মূল্য কম নয় । অনেক সময় তিনি তাঁর নিজের রচনারই বৈশিষ্ট্য আলোচনা করতে
বসেছেন । ‘ঘোষালের হেঁয়ালী ' গল্পের সখী - রানীর মুখ দিয়ে চৌধুরী মহাশয় তাঁর গল্পের
বৈশিষ্ট্যের কথাই যেন সরসভাবে বলেছেন ।
প্রমথ
চৌধুরী-র ‘সনেট - পঞ্চাশৎ’ ও ‘ পদচারণ ’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
, প্রিয়নাথ সেন এমন কি রবীন্দ্রনাথের পর্যন্ত দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । তাঁর কবিতার একটি
বিশেষ ধরণের আস্বাদন আছে – সে আস্বাদনী একমাত্র তাঁর গদ্য রচনার সহৃদয় পাঠকেরাই উপলব্ধি
করতে পারবেন । তার কারণ তাঁর গদ্য ও কবিতার মধ্যে একটি নিগূঢ় আত্মিক সম্পর্ক আছে ।
কবিতা রচনার প্রচলিত ধারা থেকে তিনি নিজেকে সযত্নে দূরে রেখেছেন ।
‘সনেট
- পঞ্চাশৎ ’ ( ১৯১৩ ) প্রমথ চৌধুরীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ । পঞ্চাশটি সনেটের বিচিত্র সংকলনটি
নিয়ে যখন তিনি সাহিত্যের জগতে প্রবেশ করলেন , তখনও ‘ সবুজপত্রে’-র সূচনা হয়নি । প্রমথ
চৌধুরী সনেট রচনার প্রচলিত রীতি ও নীতি পরিত্যাগ করে নতুন পথ ধরেছেন । তাঁর শেষ কাব্যগ্রন্থ
‘পদ - চারণ ' । এতে বিচিত্র ধরণের ছন্দের পরীক্ষা তিনি করেছেন । পয়ার ও ত্রিপদী ছাড়া
সনেট , তেরজা রিমা , এয়োলেট প্রভৃতি নানা দেশি - বিদেশি ছন্দের অনুসরণ করেছেন । এ
গ্রন্থের অনেকগুলি কবিতাই সনেট । তিনি প্রায় একশটি কবিতা লিখেছেন । এর মধ্যে প্রায়
আশিটিই সনেট । কবিতার ক্ষেত্রে সৃষ্টির চেয়ে আঙ্গিক পরীক্ষার দিকেই প্রধানত তিনি নজর
দিয়েছেন ।
প্রমথ
চৌধুরীর ভাষা বিষয়ে অভিনিবেশ ছিল অসামান্য । যে সময়ে ভাষাচর্চা আধুনিক শাস্ত্রসম্মত
পদ্ধতির আওতাভুক্ত হয়নি , সে সময়ে তিনি ভাষা নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা লিখেছেন এবং
তিনি একা লেখেননি , তাঁর অনুসারী ‘ সবুজপত্র ' গোষ্ঠীর কয়েকজন লেখকও ভাষা বিষয়ে উৎসাহী
ছিলেন । সে সময়ের উঠতি ভাষাতাত্ত্বিক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ও এঁদের একজন । এঁরা
শুধু বাংলা ভাষা নয় , সমকালীন বিশ্বের ভাষা - পরিস্থিতি সম্পর্কেও কমবেশি ওয়াকিবহাল
ছিলেন । সন্দেহ নেই , প্রমথ চৌধুরী ভাষার ব্যাপারে একজন সচেতন ব্যক্তি এবং তিনি নিজেও
যে সংস্কৃত , গ্রীক , ল্যাটিন ইত্যাদি ক্লাসিক ভাষার এবং ইংরেজি , ফরাসি ও জার্মান
ইত্যাদি আধুনিক ইউরোপীয় ভাষার ঐতিহাসিক বিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন তা তাঁর ভাষা
বিষয়ক লেখাগুলো পড়লে বোঝা যায় । অবশ্য একথা ঠিক যে , প্রমথ চৌধুরীর সব ভাষা বিষয়ক
রচনা বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে এবং সেগুলোর প্রায় সবটাই বাংলা সাহিত্যের লেখ্য ভাষা
হিসেবে চলিত রীতির প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে লেখা ।
১৩২১
বঙ্গাব্দের বৈশাখে ‘সবুজপত্র'র আত্মপ্রকাশ । প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের
ভাদ্র পর্যন্ত ' সবুজপত্রে ' প্রকাশিত হয় । প্রকৃতপক্ষে ‘সবুজপত্র'-ই বিংশ শতাব্দীর
সর্বপ্রথম মাসিক পত্র । আধুনিক চিন্তাধারার আধুনিক জিজ্ঞাসার বাহন হিসেবে এই পত্রিকাটির
একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে । বিংশ শতাব্দীর চিন্তা - চেতনাকে প্রথম এই পত্রিকাটিই
স্পষ্ট কণ্ঠে উচ্চারণ করেছে ।
সবুজপত্রের
মাধ্যমে বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তন প্রমথ চৌধুরীর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি । একে
কেন্দ্র করে তখন একটি শক্তিশালী লেখকগোষ্ঠী গড়ে ওঠে । স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও এর অন্তর্ভুক্ত
ছিলেন । প্রমথ চৌধুরী ' বীরবল ' ছদ্মনামে পত্রিকায় ব্যঙ্গ - রসাত্মক প্রবন্ধ , নানা
গল্প ও পাঁচটি সনেট প্রকাশ করেন । তাঁর এ ছদ্মনাম থেকে তখন বাংলা সাহিত্যে বীরবলী ধারা
প্রবর্তিত হয় । তাঁর সম্পাদিত অন্যান্য পত্রিকা হলো , ' অলকা ’ ( ১৩৪৪-৪৬ ) , ‘ রূপ
ও রীতি ' ( ১৩৪৭-৪৯) , ' বিশ্বভারতী ' ( ১৩৪৯-৫০ ) এবং রবীন্দ্রনাথের সহকারী হিসাবে
তিনি প্রায় বছরখানেক ‘ ভাণ্ডার ’ ( ১৩১৩ ) পত্রিকার সম্পাদনা কর্মে যুক্ত ছিলেন ।
নব্যতন্ত্রী
সাহিত্যের অগ্রপথিক , সাহিত্যের ক্ষেত্রে নতুন রূপ ও রীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী গতানুগতিক
সাহিত্যের ধারাকে পরিহার করে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন । সেই সাথে
চিন্তার স্বাতন্ত্র্যে, ব্যক্তিত্বের বলিষ্ঠতায় তিনি অনাগতকালের সীমান্তে অবিস্মরণীয়
চিহ্ন রেখে গেছেন । তাই সঙ্গত কারণেই তিনি সাহিত্যগুরু পদে বরণীয় । ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের
২রা সেপ্টেম্বর ৭৮ বছর বয়সে শান্তিনিকেতনে ইহলীলা সংবরণ করেন বাণীর সেবক প্রমথ চৌধুরী
।
প্রমথ
চৌধুরীর মৃত্যুতে সমকালীন পত্র - পত্রিকা শোকজ্ঞাপন ও মন্তব্য প্রকাশ করে । নারায়ণ
চৌধুরী ‘সমকালীন সাহিত্যে' প্রমথ চৌধুরীর মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেছেন:
“এই
বহুমান্য সাহিত্যগুরুর তিরোধানে বাংলা সাহিত্যের একটি সুস্পষ্ট যুগ অবসিত হল।”
‘
প্রবাসী ’ পত্রিকায় শৈলেন্দ্ৰকৃষ্ণ লাহা ‘ প্রমথ চৌধুরী ' শিরোনামের কবিতা লিখে তাঁর
প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন :
সম্রাটের পাশে ওই স্বর্ণাসন যার,
নব প্রতিভার তাঁর উদ্ভাসিত দিক,
নূতন পথের দৃপ্ত সাহসী পথিক,
তোমার নিৰ্দ্দেশ গুরু, করেছি স্বীকার,
দেখেছি প্রদীপ্ত প্রভাব মধ্যাহ্নে তোমার,
দ্বিধাহীন, অকুণ্ঠিত, প্রকাশে নির্ভীক,
ব্যক্ত করিয়াছ যাহা বুঝিয়াছ ঠিক,
সুতীক্ষ্ণ তীরের মত সে কথার ধার ।
স্নেহে সুকোমল তুমি তেজে সমুজ্জ্বল,
সমানই যে তব করে অসি ও লেখনী,
কখনো বা কবি তুমি , কভু বীরবল,
রচনা কুসুম কভু, কখনো অশনি।
তুমি এক, অদ্বিতীয় সাহিত্যের সুরি,
তোমারে প্রণাম করি, প্রমথ চৌধুরী ।
সহায়ক
গ্রন্থ:
১।
রথীন্দ্রনাথ রায় , বাংলা সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরী , কোলকাতা : জিজ্ঞাসা , ফেব্রুয়ারি
১৯৫৮ , দ্বিতীয় মুদ্রণ , আশ্বিন ১৩৭৬ ।
২।
অশোক কুমার সরকার, সবুজপত্র ও বাংলা সাহিত্য , জলপাইগুড়ি : অনসূয়া সরকার কর্তৃক প্রকাশিত
, জানুয়ারি ১৯৯৪ ।
৩।
মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান , প্রমথ চৌধুরী : বাংলা ভাষা ও গদ্যচিন্তা, ঢাকা : বাংলা
একাডেমি , প্রথম প্রকাশ , ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ ।
লেখক পরিচিতি –
রঘুনাথ ভট্টাচার্য-এর জন্ম বাংলাদেশের ঢাকায় । ধামরাই কলেজ , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন । বাংলায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচ ,ডি । বিভাগীয় প্রধান , বাংলা বিভাগ , নবযুগ কলেজ , ধামরাই , ঢাকা ।
প্রকাশিত গ্রন্থ - ( ১ ) বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্য ( ১৯২০-১৯৩০ ) । ( ২ ) সবুজপত্র গোষ্ঠীর সাহিত্য ভাবনা। (৩ ) প্রবন্ধ সংগ্রহ । ( ৪ ) ঈশ্বর ভাবনার বিবর্তন ও অন্যান্য প্রবন্ধ । ( ৫ ) বাংলার বৈষ্ণব দর্শন : সাহিত্যে রাধা ও কৃষ্ণের ক্রমবিবর্তন । এছাড়াও যৌথভাবে একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ।