হয়েছিলাম বারমুখো উতলা,
চারিদিকে বিষণ্ণ ধূসর জনপদে
নেই এক গণ্ডুষ তৃষ্ণার বারি,
দৃষ্টির গোচরে আছে শুধু খরার প্রকোপ,
তার উদ্যত শানিত কৃপাণের আঘাতে
হয়েছিল ছিন্ন ভিন্ন দেহ মন।
এল বহু প্রতীক্ষিত মেঘমন্দ্র বর্ষা,
অন্তর ও বাহিরের বিদ্যুতের ঝলক আর
মেঘের গুরুগুরু ধ্বনির আবাহনে
পরিপূর্ণ হয় আমাদের উচাটন মন,
আদ্রতায় সিক্ত সবুজ বনানী আজ
নব কিশলয় সম্ভারে হয়েছে সমৃদ্ধ,
উত্তাল তরঙ্গে ডিঙ্গি নৌকায় উজান পথে
দাঁড় বেয়ে চলেছে তরুণ তরুণী,
প্রকৃতির উছল দানে প্রেমিক যুগল
আবারো গাইছে জীবনমুখী গান ।
পথে প্রান্তরে আজ প্রাণের কল্লোল
রুক্ষ শুষ্ক দেহমনে নেমেছে বর্ষার
নির্ঝর্
এর ছোঁয়া লেগে আমরা হয়েছি রোমাঞ্চিত,
জেনেছি এত গান আছে আকাশে
এত প্রাণ আছে তারায় তারায়,
শেষের পরে আছে নতুন যুগের সূচনা,
মানুষের জীবনে প্রেম ভালবাসা
শাশ্বত কাল প্রবহমান,
আমরা উন্মুখ হয়ে থাকি সেই পথ চেয়ে।
আমরা জেনেছি
জীবনের স্বাদ আছে এইখানে,
বর্ষা বর্ষা বর্ষা, জোগাও মনে ভরসা ;
আমরা স্নাত হই, দীক্ষিত হই
সিঞ্চিত জীবনের পরশে পুলকিত হই,
নব দিগন্তের দ্বার খুলে যায়
তোমার ঝর্ণা ধারায় ।
কবি পরিচিতি-
তপন চ্যাটার্জীর জন্ম কলকাতার উপকণ্ঠে কাঁচরাপাড়ায়। শিক্ষাগত যোগ্যতায় BE(Elect.),MBA এবং সর্বভারতীয় ইঞ্জিনীয়ারিং সারভিস্ পরীক্ষা দিয়ে CEA তে Asstt. Director পদে যোগ দিয়ে ২০০৯ সালে Chief Engineer পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এরপর কয়েক মাস GERC তে Consultant পদে কর্মরত থাকার পর আসাম ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনে (AERC) Member পদে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন।
চাকরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, ব্রিটেন ও সমগ্র পশ্চিম ইউরোপে বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করেছেন। বিভিন্ন টেকনিক্যাল ম্যাগাজিন ও সেমিনারে লেখা প্রকাশিত হয়েছে ও Guest Faculty তে ছিলেন।
সাহিত্যের জগতে তপন চ্যাটার্জী কবিতা ,গল্প ,ভ্রমণ কাহিনী এবং প্রবন্ধ লেখেন ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় এবং একটি কবিতার বই আছে।
একজন বাচিক শিল্পী হিসেবে তপন চ্যাটার্জীর বেশ কয়েকটি আবৃত্তি এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান YouTube এবং Facebook এ আছে ও সমাদৃত হয়েছে।