মা বলল ,
চাল আনতে হবে । ডালও ফুরিয়েছে । আড়াইশো গ্রামের মত মুসুর ডাল
নিয়ে আসিস সঃ তেল-এ আজকের দিনটা চলে যাবে। কাল আনলেও চলবে। সকাল তখন সাড়ে সাতটা। শেখর
বাজারের ব্যাগ নিয়েই বের হল। আটটা থেকে একটা টিউশানি। কোনরকমে বাজারটা রেখে ছুটতে
হবে ছাত্র পড়াতে। এদিকে পকেটে পড়ে আছে মাত্র আটচল্লিশ টাকা। আজকের দিনটা হয়ত
তালেগোলে হয়ে যাবে। কিন্তু কাল? এখনও মাস শেষ হতে দশদিন
বাকি। সেই ধার ছাড়া গতি নেই। কিন্তু এভাবে কতদিন? এই ক'বছরেই জীবনের প্রতি কেমন বীতশ্রদ্ধ। মাসের অর্ধেক দিন যেতে না যেতেই
পকেট ফাঁকা। ধার হয়ত সে পেয়ে যাবে। চাইলেই পায়। কারণ সে এ এলাকার পুরসভার
কাউন্সিলার। কাউন্সিলার হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম । কাজ করে সে । যেখানে যা সমস্যা ,
পুরসভা থেকে আদায় করে কাজ করে দেয় । কখনো কখনো তার নিজের কোটার
অতিরিক্ত যুক্তি দিয়ে পাশ করিয়ে আনে । দেশের কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছে ,
তা যদি যথাযথ না করতে পারে , কাউন্সিলার
হয়ে লাভ কী ? দায়িত্বটুকু করে বলেই না পাড়াতে আলাদা
একটা সম্মান । তার ইচ্ছে আজীবন সে দেশের , দশের কাজ করে
যাবে । কলেজে পড়া শেষ করেই তার জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছিল । কিন্তু মানুষ
যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে , সবটা মেলে কি ? ইদানীং মনটা বড় দোদুল্যমান । দেশের কাজ করতে গিয়ে নিজের সংসারকে
ফাঁকি দিচ্ছে । যে তার ঘরের দায়িত্বটুকু পালন করতে পারে না, সে কী করে দেশের কাজ করবে? তারপরেও একটা বড়
সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে । মনের মধ্যে দ্বন্দ্বযুদ্ধ । কিছুতেই সায় দিতে পারছে না
। সর্বদা সত্য কথা বলা বারণ । অর্থাৎ সাদাকে সাদা , কালোকে
কালো বলা যাবে না । বিরোধী পক্ষ একটা ভালো কাজ করেছে । তবু সমর্থন নয় । খুঁত
খুঁজে নিন্দা করতে হবে । না হলে তার দ্বারা নাকি রাজনীতি হবে না । এক্ষেত্রেও সে
অযোগ্য । তাই নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভাবনাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে । বাজারে
অমিতের সঙ্গে দেখা । অমিত ওর ক্লাসমেট ছিল । স্কুল - কলেজে একসঙ্গে পড়াশুনা করেছে
। শেখর স্কুলে ফার্স্ট হতো , অমিত সেকেন্ড । ক্লাস ফাইভ
থেকে টুয়েলভ অবধি এর কোন ব্যতিক্রম হয়নি । অমিত প্রায়ই বলত , অমার একবার ইচ্ছে ছিল প্রথম হওয়ার , কিন্তু
তোর জন্য পারলাম না । জোর প্রতিযোগিতা চলত । তবে বন্ধুত্ব অটুট ছিল এবং এখনও আছে ।
সেই অমিত এখন ব্যাংকের বড় অফিসার । জৌলুস বা চাকচিক্য অনেক বেড়েছে । বাড়িঘরের
চেহারাও বদলেছে । অমিত বলল , আয় শেখর , একটা চা খাই। তোর সঙ্গে অনেকদিন আড্ডা দেওয়া হয় না । আয় একটু বসি ।
শেখর বলল ,নারে , আজকে হবে না ।
বাজার সেরেই আমাকে একটা টিউশানিতে যেতে হবে । অমিত ধমকে বলল ,ছাড়তো তোর টিউশানি । তোর মত এমন ডাকাবুকো কাউন্সিলারকে যদি টিউশানি
করতে হয় , তবে রাজনীতি ছেড়ে দে । শেখর নীরব । তার কোন
বক্তব্য নেই । কারণ ওর কোন যুক্তি কেউ কানে তুলবে না । ডাকাবুকো কথাটা অনেকেই বলে
। কাল সে পুরসভায় যে প্রস্তাব পেশ করবে ,তা চেয়ারম্যানের মঞ্জুর না করে উপায় নেই। কাজপাগল ছেলে । তাছাড়া
অযৌক্তিক প্রস্তাব নয় ,কী করে নেগলেক্ট করবে ? কাজ করে তৃপ্তি । এটাই তার কাছে বড় পুরস্কার । ইচ্ছে থাকলেও অমিতের
সঙ্গে মাত্র দু মিনিট কথা বলে ফিরে আসতে বাধ্য হল। ভাবনাগুলো মাথায় চক্কর মারছে ।
কিছুদিন আগে পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথদা একই কথা বলেছিলেন। সোমনাথদা বলেছিলেন ,
তোর টিউশানি করার দরকারটা কী ?
– টিউশানি করেও তো সারা মাস চলে
না । আপনারা যা অ্যানারিয়াম দেন , তা দিয়ে মেরেকেটে
সাতদিন। তারপর বাকি দিনগুলো না খেয়ে মরতে হবে যে ।
— দূর বোকা । তুই কাজের জন্য এত
এত টাকা স্যাংশান করিয়ে নিচ্ছিস , তারপরেও তোকে টিউশানি
করতে হবে ? তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না । শেখর হাঁ করে
তাকিয়ে ছিল । কী বলছেন তিনি ? সোমনাথদা মুচকি হেসে বললেন
,বুঝলি না ? তোকে কী জলভাত করে
বোঝাতে হবে? ওরে , আমরা জনগণের
কাজ করি বলে কি আমাদের পেটের কথা ভাবতে হবে না ? ভুখা
থেকে কি দেশের কাজ হয় ? হয় কি ? মাথায় কী ঢুকল ? যা , এবার কাজে যা আর টিউশানির দরকার নেই ।
সেইদিনই শেখরের মস্তিষ্কে
পোকাটা ঢুকে গিয়েছে । বিদঘুটে পোকা । সবসময় কটর কটর করে কামড়ায় । তাহলে তার
আদর্শ ! বাবা বলতেন , জীবনে সৎ পথে
চলবি । অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপস করবি না । অন্যায়কে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা
করবি । দেখবি সচ্ছল না থাকলেও মনের দিক থেকে শান্তি পাবি । ন্যায়ের পথে চলে
মানসিক যে তৃপ্তি , এর থেকে আনন্দ কোথাও পাবি না । আর
প্রলোভনে পা দিয়েছ মানেই তুমি শেষ । আদর্শ ,ন্যায় -
নীতি সব উধাও । যা কিনা মৃত্যুরই সামিল । এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার তুমি
হারিয়েছ । বাবা ছিলেন ট্রেড ইউনিয়নের প্রথম সারির নেতা ।
শেখরের কাছে আদর্শ । বাবাকে দেখেই তার জীবনের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছিল । আজ বাবা
নেই । এক আন্দোলন করতে গিয়েই শহীদ হন। বাবা থাকলে সংসারের কথা ভাবতে হত না।
সম্পূর্ণভাবে দেশের কাজেই মনোনিবেশ করতে পারতো । সোমনাথদা বলেছিলেন, বিদেশে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সমস্ত প্রতিনিধিদের সরকারি কর্মচারীদের
মত বেতন দেওয়া হয় । তাদেরও তো ঘর - সংসার আছে , নাকি ?
নাহলে তাদের চলবে কী করে? পেট তো সবারই
আছে । আর আমাদের দেশে ? তাও মন্ত্রী , সাংসদ , বিধায়কদের যা দেয় , অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । কিন্তু আমাদের ? পঞ্চায়েত
পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের নামমাত্র অ্যানারিয়াম । যা কিনা একটা ঝাড়ুদারের বেতনেরও
অর্ধেকের অর্ধেক । ওরা কী খালি পেটে কাজ করবে ? এসবই
শেখরকে দিনরাত ভাবায় । না , শেখরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।
পিছুটান থাকলে দেশের কাজ হয় না । চাকরির বয়সটাও গেছে । সরকারি চাকরি আর হওয়ার
নয়। যা হোক একটা জোটাতে হবে। সঙ্গে টিউশানি তো আছেই । প্রয়োজনে আরো টিউশানি
বাড়াবে । বাড়ি গিয়েই রেজিগনেশন লেটার লিখে ফেলবে ।
( দুই )
রাতে বাড়ি ঢুকতেই মা
বললেন , আয় বোস । একটা ভালো খবর আছে
। শেখর অবাক । সে ভেবে পায় না তাদের সংসারে ভালো খবর আর কী থাকতে পারে ? সংসার বলতে তিনটে মাত্র প্রাণী । মা ,বোন এবং
শেখর । তাতেই সর্বদা নুন আনতে পান্তা ফুরোয় । এহেন
অবস্থায় সুখবরটা কী ? কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না । মায়ের
দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল । মা বললেন , তোর বোনের বিয়ের
একটা ভালো প্রস্তাব এসেছে। পাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসার । ছেলেটিকে তুইও
চিনিস । আদিত্য । সৌম্যদিত্য রায়ের ছেলে। তিনি এসে প্রস্তাবটা দিয়ে গেলেন ।
তেমন কোন দাবিদাওয়া নেই । যদি রাজি থাকি , তাহলে শীঘ্রই
জানাতে বলে গেলেন । ফোন নাম্বারও দিয়ে গেছেন । আদিত্য – শেখর
চেনে । ওরা একই স্কুল - কলেজে পড়েছে । তবে আদিত্য শেখরের চেয়ে এক ক্লাস নীচে
পড়ত । পড়াশুনায় ভালো ছিল । খবর বলব না ? মা বললেন ,
মেঘ না চাইতেই জল । বাড়ি বয়ে এসে এমন প্রস্তাব দিয়েছে।
শেখর বলল ,
কিন্তু মা , এখন তো টাকাপয়সা কিছু নেই
। কী করে কী হবে ? আমার তো মাথায় ঢুকছে না। মা বললেন ,
সে কথা বললে তো হবে না বাবা । তোর বোনের বয়সও কম হলো না । গত
মাসে চব্বিশ পেরিয়ে পঁচিশে পা দিল । এক্ষুণি বিয়ে দিতে না পারলে কিন্তু শরীর
ভেঙে যাবে । তখন কিন্তু নানা সমস্যায় পড়বে । তুই যেভাবেই হোক , টাকাটা যোগাড় করে বিয়ের ব্যবস্থা কর । এ প্রস্তাবে অমত করিস না বাবা
। বরং তুই সোমনাথবাবুকে বল , তোকে দু লাখ টাকা ধার দিতে ।
— দু লাখ । অত টাকা আমি দেব কী
করে ? সারা জীবনেও শোধ করতে পারবো না ।
মা বললেন ,
সে হবে হবে । যার কেউ নেই , তার
উপরওয়ালা আছে । ঠিক একভাবে না একভাবে ব্যবস্থা হয়ে যাবে । একটাই মাত্র উপায় ।
যে কোন প্রকারে একটা চাকরি জোটাতে হবে। তাহলেই আস্তে আস্তে শোধ করা সম্ভব । রাতেই
পদত্যাগপত্র লিখে ফেলল । কাউন্সিলার হয়ে ধার শোধ করা দূরাশা । জীবন সম্বন্ধে
মনোভাব একেক মানুষের একেক রকম । কেউ কেউ মনে করে আমার সংসারটা সচ্ছ্বলভাবে চলে
গেলেই হলো । তাতে রোজগারটা যে পথেই আসুক , সেটা গৌণ ।
আবার কেউ কেউ ঠিক উল্টো । সৎ পথে না হলে তার ধার দিয়েই সে যাবে না । তাতে সংসার
না চলুক , আধপেটা খেয়ে থাকবে , তো
ভি আচ্ছা । শেখর গত রাতে দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি । জীবনে চলার পথের সূক্ষ্ম
দিকগুলো নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া করেছে । তার কী করা উচিত ? খুব কষ্টও পেয়েছে । তবু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত— পদত্যাগ
। রেজিগনেশান লেটারটা চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে নিজের চেম্বারে গিয়ে সবে
বসেছে । শরীর , মন হাল্কা । চূড়ান্ত ডিসিশান নেওয়ার আগে
পর্যন্ত মন যে কতদিকে ঘোরাফেরা করছে , কহতব্য নয়।
দোদুল্যমান অবস্থায় কিছু হওয়ার নয় । এখন অনেকটা নিশ্চিন্ত । চেয়ারে বসতে বসতেই
সোমনাথদার তলব । মন শক্ত করে নিল । কী বলবে , স্থির করাই
আছে । সোমনাথদা বললেন, হঠাৎ কী হলো তোর ? মাথায় পোকা ঢুকেছে নাকি ?
– না সোমনাথদা । দু নৌকায় পা
দিয়ে আর পারছি না । বোনের বিয়ে ঠিক হতে চলেছে । অনেক টাকার দরকার ।
– বোনের বিয়ে খুব ভালো কথা ।
তার জন্য রেজিগনেশন কেন ?
—অত টাকা কোথায় পাবো সোমনাথদা ?
ভাবছি টাকাটা কারো কাছে ধার করব । তারপর একটা কাজ জুটিয়ে নিয়ে
আস্তে আস্তে শোধ করব । কাউন্সিলার হয়ে তো কিছুতেই সম্ভব নয় ।
- তুই কী জানিস ,
তোকে নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে ? কামিং ইলেকশানে আমার এই চেয়ারটা তোর জন্য বরাদ্দ হবে ? তোর এই ক্লিন ইমেজটা আমরা কাজে লাগাতে চাই। তাছাড়া তুই পার্টির
একনম্বর কাজের ছেলে , কাজ না করে থাকতে পারবি ?
— এছাড়া আমার কোনো রাস্তা নেই
সোমনাথদা ।
– ওসব ভূত মাথা থেকে তাড়া ।
শোন , মন দিয়ে শোন , বোনের
বিয়ে ঠিক করে ফেল । যত টাকা লাগে , আমি ব্যবস্থা করে দেব
। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে । পরবর্তী ইলেকশানে তোকে চেয়ারম্যান করা হবে।
আমি বিধানসভায় যাব । পার্টির ডিসিশন । যা , পাগলামি করিস
না । রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘুণাক্ষরেও মাথায় আনবি না । বলেই পদত্যাগপত্রটা কুচি
কুচি করে ছিঁড়ে ফেললেন ।
*** পনের বছর পরের ঘটনা
। শেখর এখন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী । যথেষ্ট নামডাকও হয়েছে । কাজের লোক বলে
খ্যাতি শুধু নয় , ভালো বক্তা এবং পরিণত
রাজনীতিবিদও । বাড়িঘরের চেহারাও বদলেছে । প্রাসাদোগম অট্টালিকা । কিঞ্চিত ব্যাংক
ব্যালেন্সও । পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পরে পরেই বিয়েটা সেরে ফেলে । বর্তমানে
বারো বছরের একটি কন্যা এবং দশ বছরের এক পুত্র কনভেন্টে পড়াশুনা করছে । বছর তিনেক
আগে দলবদল করে । অর্থাৎ আগের পার্টিতে আর নেই । মন্ত্রী হওয়ার টোপ দেওয়াতেই ঝুপ
করে লুফে নেয় । অবশ্যই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয় । কারণ আগের দলের রমরমা আর নেই ।
অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে । কেউ কেউ হয়ত অন্যরকম মন্তব্য করে থাকতে পারে
। শেখরের তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই। সে নাকি ভালো আছে । হয়ত সুখেও আছে ।
লেখক পরিচিতি:
জন্ম পৈত্রিক বাড়ি বর্ধমান জেলার কাটোয়া-র পানুহাট-এ। পড়াশুনা কাটোয়া কলেজ। বর্তমান নিবাস হুগলী জেলার চুঁচুড়ায়। পেশায় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ছিলেন।
তাঁর প্রথম গল্প---চেতনা। প্রকাশিত হয় ছোটদের পত্রিকা "শুকতারা"য়, ১৯৯৬ এপ্রিল সংখ্যায়। তারপর বড়দের পত্রিকা--দেশ, কালি ও কলম, শিলাদিত্য, শুভমসাময়িকী, তথ্যকেন্দ্র, উৎসব, কথাসাহিত্য, কলেজ স্ট্রিট, দৈনিক স্টেটসম্যান, যুগশঙ্খ, একদিন,সুখবর, সংবাদ নজর, খবর ৩৬৫ দিন এবং লিটল ম্যাগাজিন-এ নিয়মিত লেখেন।
তিনটি গল্প সংকলন ও একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। " শতানীক" (ষাণ্মাসিক) সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন।
Tatkhanik digital bengali online e magazine