প্রকৃতির সময়ানুবর্তীতা
ড.তুষার রায়
কঠিন নিয়ম
শৃঙ্খলায় বাঁধা আমাদের এই পৃথিবী। দিন-রাত যেমন একটি নির্দিষ্ট নিয়মে চলে-সূর্যোদয়
সূর্যাস্ত হয় নিয়মে ঘণ্টা-মিনিট-সেকেন্ড এ বাঁধা সময়ে। ঠিক
তেমনিই নিয়ম মাফিক ভাবে চলে ঋতুর শোভাযাত্রা।
নিচের ছবিটি আমেরিকার ‘ফল-কালার’এর।
গত কয়েক বছর থেকে আমি প্রায় একই দিনে আমার বাড়ির
বারান্দা থেকে তুলি ‘কৃষ্ণচূড়া’ আর ‘রাধাচূড়ার’সাজ।
দেখুন (ওপরের ছবিগুলিতে) কোন অসমঞ্জস্য দেখা যায় না-কোথাও। মনে হয় যেন একই দিনে বিভিন্ন সময়ে ছবিগুলি তোলা। কিন্তু এগুলি বিভিন্ন বছরের একই সময়ে একই স্থান থেকে তোলা ছবি।
বিজ্ঞানের কথা আমরা সবাই জানি-পৃথিবী প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে ঘুরতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে এসে যায় আর পৃথিবীর অক্ষ রেখা সাড়ে ২৩ ডিগ্রি হেলে থাকার ফলে পৃথিবীতে ঋতুর পরিবর্তন হতে থাকে। (মনে আছে,”সাড়ে ২৩ এর খেলা?” না থাকলে আবার পড়ে নিনঃ
আমি যখন এই
ছবিগুলি তুলি,
বিশ্বাস করুন আমার মনের চোখে ঘূর্ণমান পৃথিবীটা দেখতে পাই। নিজের আনন্দের সঙ্গী করার জন্যই
এই লেখা আর ছবিগুলি নিবেদন করলাম।
লেখক পরিচিতি –
ডঃ তুষার রায় স্কুলে থাকতেই শুরু হয়েছিল গল্প আর মহাকাশের উপর প্রবন্ধ। ওই সময়েই “শুকতারা”তে “অসীমের অন্বেষণে” প্রকাশিত হয়েছিল। সীমাহীন বলেই বুঝি মহাকাশের আকর্ষণ ছিল অসীম। জ্যোতিঃশাস্ত্রের ছোটখাটো বই পড়ে কম দামী বাইনোকুলার চোখে লাগিয়ে চলতে লাগল নক্ষত্রদের সংগে নীরব বার্তালাপ। ইচ্ছা ছিল জ্যোতিঃশাস্ত্র নিয়ে পড়াশুনা করা। কিন্তু “Need to have and Nice to have” এর কলহে সেটা হতে পারেনি। কিন্তু নেশা আর পেশায় দ্বন্দ্ব কখনও হয়নি। তাই এখন এই পরিণত বয়সেও মহাকাশের আর বিজ্ঞানের অনন্ত রহস্য নতুন করে জেনে ও জানিয়ে সহজ সরল ভাষায় পরিবেষণ করে আনন্দ পান।