চতুর্থ পর্ব পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
রবীন্দ্রনাথের
চিন্তাধারায় মৃত প্রণয়িনী সম্বন্ধে একটা ক্রমবিবর্তন আছে । ‘স্মরণ
' কবিতাগুচ্ছে দেখতে পাই তাঁর আশার মধ্যেও ম্লানিমা আছে ।
কবি বিশ্বাস করতে চেষ্টা করছেন যে বিশ্বের রূপের মধ্যে তাঁর প্রণয়িনীর পরশম অমর
হয়ে রয়েছে এবং তাঁর মনে ক্ষীণ আশার সঞ্চার হয়েছে যে , অনন্তলোকে
চিরসন্ধ্যাকাশে তাঁর কল্যাণী তাঁর জন্য শয্যা রচনা করে রেখেছে । কিন্তু তাঁর
বিশ্বাস ভীরু - নম্র । এই সংকোচ - তন্ত্র অবস্থায় অপূর্ব রমণীয়তা আছে । কিন্তু
কবির আস্থা প্রবণতা লাভ করেনি । বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাই বিশ্বাস ক্রমশ গভীর ও
দৃঢ় হয়ে উঠেছে । বলাকা কাব্যগ্রন্থ রচনা করার সময় কবি পরিবর্তনবাদের প্রেরণায়
কবি বহুদিন পূর্বের মতো প্রণয়িনীর কথা বিস্মৃত হবেন , অন্তত
তার প্রভাবের স্থায়িত্ব অস্বীকার করবেন । কিন্তু কবি জীবনের চঞ্চল গতির সঙ্গে
প্রেমের চিরস্থায়ী প্রেরণার অপূর্ব সামঞ্জস্য সাধন করেছেন । রবীন্দ্রনাথের
প্রেমের কবিতার মধ্যে ছবি ' বোধ হয় সর্বশ্রেষ্ঠ । এর মধ্যে
কবির অনুভূতি ও কল্পনা অপরিসীম গভীরতা ও বিস্তৃতি লাভ করেছে । কবি উপলব্ধি করেছেন
যে , চিরচঞ্চল জীবনস্রোতে যদি কিছু সত্য ও সুন্দর থাকে তবে তার মূল্য রয়েছে একটি অচল স্মৃতিতে । সেই উৎস
যদি শুকিয়ে যেত, তবে জীবনের সমস্ত মাধুর্যও লুপ্ত হয়ে যেত
। বলাকা কাব্যের ৬ সংখ্যক কবিতায় কবি বলেছেনঃ
মরি মরি , সে আনন্দ থেমে
যেত যদি
এই নদী
হারাত তরঙ্গবেগ ,
এই মেঘ
মুছিয়া ফেলিত তার সোনার লিখন ।
পূরবী'-র
( ১৯২৫ ) কয়েকটি কবিতা রচিত হয়েছে এই মৃত প্রিয়ার উদ্দেশ্যে । এই কবিতা ক'টি ভাবে ও ভাষায় অনুপম । এদের মধ্যে কবি তাঁর প্রণয়িনীর কাছে নিকটতর
হয়েছেন । সে যে শুধু তাঁর সমস্ত জীবনে পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে তাই নয় ; একদিন বিশেষ করে তাদের মিলন হবে , কবি বারবার তার
কথা বলেছেন ।
পূরবী'-র
বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেসব কবিতাতে যেখানে কবি সেই একান্ত ব্যক্তিগত নিবিড় মিলনের জন্য
প্রস্তুত হচ্ছেন । একদিন এই প্রণয়িনী অলক্ষিতে এসে আবার অলক্ষিতেই অন্তর্হিতা
হয়েছেন । সেই অভিসারিকার আহ্বানের জন্য কবি বসে আছেন—
বাণীহীন প্রতীক্ষায় । কিন্তু যেখানে সেই লীলাসঙ্গিনী চলে গেছে :
সেখানে কি পুষ্পবনে গীতহীনা রজনীর তারা
নব জন্ম লভি
এই নীরবের বক্ষে নব ছন্দে ছুটাবে ফোয়ারা
প্রভাতী ভৈরবী
( পূরবী : আহ্বান )
কবির ভরসা আছে , যে
লীলাসঙ্গিনী কাজ ভোলাবার জন্য বারে বারে কাজের কক্ষকোণে
ফিরছে, সে তাকে নিবিড়তম অভিসারে আহ্বান করবেই করবে । তাকে
ভুলেও ভুলতে পারবে না,কারণ কবির জীবনের অন্তরতম স্থানে সে
তার আসন রেখেছে ।
রবীন্দ্রনাথ আরো
দুটি কবিতা লিখেছেন মৃত প্রিয়াকে লক্ষ্য করে । তবে তা তার নিজের জীবনের কথা নয় , সম্রাট
কবি শাহজাহানের শোক নিয়ে রচিত । কবি প্রথমত চঞ্চল জীবনের পরিবর্তনের কথা লিখেছেন ,তারপরই তাঁর মনে হয়েছে তাজমহলের কথা- যে সহস্র বিস্মৃতি ও চঞ্চলতার মধ্যে
নিজের অপরিবর্তনের বাণী ঘোষণা করেছে :
ভুলি নাই , ভুলি নাই ,
ভুলি নাই প্রিয়া ।
(বলাকা : ৭ সংখ্যক কবিতা )
কবি আরো বলেছেন
যে , সম্রাটের বিরহ ভাজমহলে আকার লাভ করে
বিশ্বের বিরহে রূপান্তরিত হয়েছে । কিন্তু মানবাত্মা বাঁধা পড়বে পাষাণ গৃহের
মধ্যে , এ কথা কবি - বিশেষ করে বলাকা'র
কবি সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করতে পারেননি । তাই তিনি বলেছেন যে , সম্রাটের চিত্ত তাঁর কীর্তি হতে আরো বিরাট । 'সমাধি
মন্দির ',‘এক ঠাঁই ' স্থির হয়ে থাকতে
পারে , কিন্তু সম্রাটের আত্মাকে কেউ বেঁধে রাখতে পারেনি । ‘শাহজাহান 'কবিতায় কবি বলেছেন –
আজি তার রথ
চলিয়াছে রাত্রির আহ্বানে
নক্ষত্রের গানে
প্রভাতের সিংহদ্বার পানে ।
তাই
স্মৃতিভারে আমি পড়ে আছি ,
ভারমুক্ত সে এখানে নাই ।
(বলাকা ৭ সংখ্যক কবিতা)
তাজমহলকে কবি
দেখেছেন জীবন - মৃত্যুর নিত্যস্রোতের পটভূমিকায় ; তাকে
তুলনা করেছেন কালিদাসের মেঘদূতের সঙ্গে । তাজমহল অপেক্ষা শাহজাহান বড় হয়ে
প্রতিভাত হয়েছেন । এ কবিতার চিত্র সৌন্দর্য ও ছন্দোলালিত্য স্মরণীয় , কিন্তু একে বৈশিষ্ট্যদান করেছে ভাবের অভিনবত্ব ।
মহুয়া
রবীন্দ্রনাথের অপরূপ সৃষ্টি । এতে উৎকৃষ্ট প্রেমের কবিতা অসংখ্য । এখানে
কবিপ্রতিভার আর একটি সুরের কথা উল্লেখ করা যায় । তাঁর প্রেমের কবিতার একটা প্রধান
লক্ষণ তার কমনীয়তা , তার স্নিগ্ধ নম্রতা । কবির কাব্যে
বীররসের অভাব আছে এই অনুযোগ অনেকদিন ধরে করা হয়েছে । কিন্তু মহুয়া'র অনেকগুলো কবিতায় যে প্রেমের পরিচয় পাই , তা
বীরের প্রেম ,তা শৌর্যের দ্বারা মহিমান্বিত । দগ্ধ হবার
পূর্বে পঞ্চশর আসত কুসুম রথে মকর কেতু উড়িয়ে, মহুয়া'-র কবি যখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করলেন , তখন তাকে তিনি
এই বলে আবাহন করলেন :
ভস্ম - অপমানশয্যা ছাড়ো পুষ্পধনু ,
রুদ্ধবহ্নি হতে লহো জ্বলদৰ্চি তনু ।
... হে অতনু , বীরের
তনুতে লহো তনু ।
( মহুয়া : উজ্জীবন )
যে যৌবনকে কবি
উদ্বোধিত করেছেন , সে এল ভাঙনের মহারথে । যে বসন্তকে
তিনি আবাহন করলেন , সেও এল যুদ্ধের বাণী ঘোষণা করে । এই
নির্দয় যৌবনের প্রতীক যে রমণী , সে 'লজ্জিতা
' নয় , সে ‘সবলা
',তার বাণীতে নতুন তেজ :
ক্লান্তধৈর্য প্রত্যাশা পূরণের লাগি
দৈবাগত দিনে । শুধু শূন্যে চেয়ে রব ? কেন
নিজে নাহি লব চিনে
সার্থকের পথ ।
দুর্জয় আশ্বাসে দুর্গমের দুর্গ হতে সাধনার ধন
কেন নাহি করি আহরণ
প্ৰাণ কবি পণ ।
( মহুয়াঃ সবলা )
এই যে বীর্যবান
প্রেম , এর বরণেও বৈশিষ্ট্য আছে । চিত্রা'-র নায়ক স্বর্গ হতে সানন্দে বিদায় নিয়েছিল ও শোকাতুরা পৃথিবীতে দীনতম
ঘরে প্রেয়সীকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে এ আশ্বাস দিয়েছিল মহুয়া'-র নায়িকা সবলা ; তার আশা উচ্চতর । সে দময়ন্তীকে
অনুকরণ করে দেব হতে মানুষকে পৃথক করত না ; সে বরণ করবে তাকেই,যে ফেলেনি ছায়া ছায়ায় মাঝারে '(মহুয়া বরণ ) । অবশ্য
এই নতুন প্রেরণায় কবির প্রতিভা তার পূর্বশ্রী হারায়নি ; বরং
এই নব অনুভূতিতে বীর্যের সঙ্গে নম্রতার ,উন্মাদনার সঙ্গে
সাধনার সম্মিলন ঘটেছে । এই যে প্রেম ,এ তপস্যারই অঙ্গ। এতে
কঠোর ও কোমলের সংমিশ্রণ ঘটেছে ।
দীর্ঘকাল
রবীন্দ্রনাথ কবিতার সাধনা করেছেন । তাঁর রচিত কবিতার সংখ্যা অগণিত ; তাদের
ভাব এবং ভাষা গৌরবের ও বৈচিত্র্যের সীমা নেই । শুধু প্রেমকে উপলক্ষ করেই তিনি
বহুভাবে , বহু ভঙ্গিতে অসংখ্য কবিতা রচনা করেছেন । 'প্রণয়ের সাধনবেগ ’ ও ‘প্রসাধনকলা
,' তার আশা , আকাঙ্ক্ষা , লজ্জা , তৃপ্তি ও তৃষ্ণা কোনো বিষয়কেই তিনি বাদ
দেননি । কিন্তু সন্ধ্যাসঙ্গীত হতে মহুয়া পর্যন্ত যত প্রেমকাব্য তিনি রচনা করেছেন
তার সবগুলোর মধ্যে একটি প্রধান সুর আছে , তা হচ্ছে , সামান্যের মধ্যে অসামান্যের কল্পনা , মানবীর মধ্যে
মানসীর আবিষ্কার । তাঁর মানসসুন্দরীকে তিনি দেখেছেন শৈশবের খেলার সঙ্গিনীর মধ্যে ,
যৌবনে সে বধূবেশে অন্তরে প্রবেশ করেছে এবং কবি তার নগ্নবক্ষে বক্ষ
দিয়ে তার অন্তররহস্য শুনে নিতে চাইছেন , স্বপ্নলোকের মানসীকে তিনি রূপ দিতে চেয়েছেন মর্ত্যভূমির রমণীর মূর্তিতে ।
এ তো গেল ‘মানসী’র কথা । সামান্য নর -
নারীর দৈনন্দিন জীবনের যে তুচ্ছ প্রেম তার মধ্যেও কবি অসামান্যতার গৌরব এনেছেন ,
এই প্রেমেরও সেই ঐশ্বর্য আছে যার কথা শুনতে পাই দুষ্মন্ত ও শকুন্তলা
, নল ও দময়ন্তী , ফাল্গুনী ও সুভদ্রার
প্রণয়কাহিনীতে । ‘ সহস্রের মাঝে একজন তুচ্ছ মানব প্রণয়ের
ঐশ্বর্যে ঐশ্বর্যবান হয়ে তার প্রণয়িনীর প্রেমকে তেমনি সযতনে রক্ষা করেছেন ।
চিত্রা কাব্যের ' প্রেমের অভিষেক ' কবিতায়
কবি বলেছেন :
- রেখেছে যেমন সুধাকর
দেবতার গুপ্ত সুধা যুগযুগান্তর
আপনারে সুধাপাত্র করি , বিধাতার
পুণ্য অগ্নি জ্বালায়ে রেখেছে অনিবার
সবিতা যেমন সযতনে , কমলার
চরণকিরণে যথা পরিয়াছে হার
সুনির্মল গগনের অনন্ত ললাট ।
রবীন্দ্রনাথের
প্রেম বিষয়ক কবিতার প্রধান সুর সামান্যের মধ্যে অসামান্যের পরিকল্পনা , মানবীর
মধ্যে মানসীর আবিষ্কার । তাঁর মানসসুন্দরীকে তিনি দেখেছেন শৈশবের খেলার সঙ্গিনীর
মধ্যে , যৌবনে সে বধূবেশে অন্তরে প্রবেশ করেছে । কল্পলোকের
মানসীকে তিনি রূপ দিতে চেয়েছেন মর্ত্যভূমির রমণীর মূর্তিতে । রক্তমাংসের নিবিড়তা
ও কল্পলোকের বিরাট বিস্তৃতি তাঁর কবিতায় লক্ষ করা যায় ।
কবির প্রেমবিষয়ক
কাব্যে বৈচিত্র্য ও গভীরতার সমাবেশ লক্ষ করা যায় । কল্পনা কাব্যের 'লজ্জিতা
' ('যামিনি না যেতে জাগালে না কেন '),'সংকোচ’ ( 'যদি বারণ কর ,তবে),
'মার্জনা ' ('ওগো প্রিয়তম , আমি তোমারে যে ভালবেসেছি ) , সোনার তরী কাব্যের 'লজ্জা ' ('আমার হৃদয় প্রাণ ') প্রভৃতি প্রেমের কবিতা আলোচনা করলে দেখা যায় , এসব
কাব্যে কবি খুব ক্ষুদ্র একটি ভাবকে উপজীব্য করেছেন এবং তার অভিব্যক্তি অতি
পুঙ্খানুপুঙ্খ হয়ে উঠেছে যা বৈষ্ণব কবিদের পদে অনুপস্থিত । বৈষ্ণব কবিগণ মানবিক
প্রেমকে প্রচ্ছন্ন রেখে সেখানে আধ্যাত্মিক চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন
। বৈষ্ণব পদাবলিতে বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে কবিদের তেমন সংযোগ ছিল না । কিন্তু
রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতায় আধ্যাত্মিক চেতনাকে ছাপিয়ে সেখানে মানবীয় প্রেমের
বিস্তৃতি ঘটেছে । এই বিস্তৃতি ও ব্যাপকতা রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতার মূল
বৈশিষ্ট্য । বৈষ্ণব পদাবলির শব্দ , ছন্দ ও ভাষার মাধুর্য
রবীন্দ্রনাথকে মুগ্ধ করেছিল বলেই তাঁর কাব্যে বিশেষত প্রেমের কবিতায় কবির ভাব
অপরূপ লাবণ্যে মূর্ত হয়েছে ।
তথ্যনির্দেশ –
১। ড . অজিতকুমার
বেরা , শতাব্দীর সাধনা : বৈষ্ণব ভক্তিধর্ম ও শ্রীরামকৃষ্ণ
ভাবপরিমণ্ডল , পুস্তক বিপণি , কোলকাতা ,
প্রথম প্রকাশ - ২০০৯ , পৃষ্ঠা ২২৮ ।
২ । রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর , জীবনস্মৃতি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ,
ঢাকা , প্রকাশকাল : ২০১১ , পৃ . ৬২ ।
৩ । বিস্তারিত
আলোচনার জন্য দেখুন , ড . জলি সেনগুপ্ত , রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রথম পর্যায় , সাহিত্যলোক ,
কোলকাতা , দ্বিতীয় সংস্করণ : ১৯৮৯ , পৃ . ৪
৪ । প্রাগুক্ত ,
পৃ . ৪-৬ ।
৫।প্রাগুক্ত ,
পৃ . ২২ ।
৬।প্রাগুক্ত ,
পৃ . ২২ , ২৫ ।
৭।প্রাগুক্ত ,
পৃ . ৫৬-৫৭ ।
৮।রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর , ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী , বিশ্বভারতী
গ্রন্থন বিভাগ , কোলকাতা , পাঠান্তর -
সংবলিত সংস্করণ : ১৩৭৬ , পৃ . ৬০ ।
৯। প্রাগুক্ত , পৃ
. সূচনা ।
১০ । শ্রী
সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত , রবীন্দ্রনাথ , এ
. মুখার্জী এ্যান্ড কোং প্রাইভেট লিমিটেড , কোলকাতা ,
তৃতীয় সংস্করণ , ১৪০৪ , পৃ . ৩৬ ।
১১। প্রাগুক্ত , পৃ
. ৩৮ ।
১২। প্রাগুক্ত , পৃ
. 80 ।
১৩। রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর , ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী , প্রাগুক্ত , পৃ . ৭২ ( ১৯ সংখ্যক কবিতা) ।
গ্রন্থপঞ্জি
১ । অধ্যাপক শ্রী
খগেন্দ্র নাথ মিত্র ও অন্যান্য সম্পাদিত , বৈষ্ণব
পদাবলী ( চয়ন ) , কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত ,
পঞ্চম সংস্করণ , ১৯৫৬ ।
২ । ড . সুবোধ
চৌধুরী , সাহিত্যিকা , জয়দুর্গা
লাইব্রেরী , কোলকাতা , দ্বিতীয়
সংস্করণ , ২০০৪ ।
৩ । নীলরতন সেন , বৈষ্ণব
পদাবলী পরিচয় : নবপর্যায় , সাহিত্যলোক , কোলকাতা , পুনর্মুদ্রণ , ২০০০
।
৪ । রবীন্দ্র -
রচনাবলী ( ১ ম , ২ য় , ৩ য় ,
৪ র্থ , ৬ ষ্ঠ , ৭ ম ও ৮
ম খণ্ড ) , বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ , কোলকাতা , পুনর্মুদ্রণ , ১৪১৫
।
৫ । শ্রী
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় , বাংলা সাহিত্যের
সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত , মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড ,
কোলকাতা , সংশোধিত চতুর্থ সংস্করণ , ১৩৮৪ ৷
৬ । শ্রী
হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত , কবি জয়দেব ও
শ্রী গীতগোবিন্দ , দে'জ পাবলিশিং ,
কোলকাতা , ষষ্ঠ সংস্করণ , ১৪১৯ ।
৭ ।
সত্যেন্দ্রনাথ রায় সম্পাদিত , রবীন্দ্রনাথের
চিন্তাজগৎ । সাহিত্যচিন্তা , রবীন্দ্ররচনা সংকলন গ্রন্থালয়
প্রাইভেট লিমিটেড , কোলকাতা , দ্বিতীয়
প্রকাশ , ১৯৯৬ ।