ভ্রমণ কাহিনী
বাঁদিকে দেওয়াল ধরে ধরে লাঠি ঠুকে ঠুকে নুড়ি বিছান পথে চলতে শুরু করলাম । এক পা,এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছি । সেই পরম পাওয়ার দিকে । পায়ের তলায় নুড়িগুলো নরম নরম ঠেকছে । আগে এখান থেকেই শুরু হত বরফ – পায়ের তলায় বরফ , দুপাশে বরফ মাথার উপরেও বরফ। এখন কোথাও বরফ নেই । হিমবাহ গঙ্গোত্রী থেকে পিছু হটতে হটতে ১৯ কিলোমিটার পিছিয়েছে । গাড়োয়াল হিমালয়ের বৃহত্তম হিমবাহ ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ২ থেকে ৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গঙ্গোত্রী গ্লেসিয়ার । শেষ হয়েছে গোমুখে এসে । বরফের বিরাট চত্বর , এখন বরফ গলে গেছে , দৃশ্যমান নয় , হাজার খানেক ফুট নীচুতে নামতে হবে । ওঠার চেয়ে নামায় বিপদ বেশী। ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ছে পাথুরে মাটি । হাতের লাঠিটা ঠুকেঠুকে চলতে হবে । সামনেই ফ্লেসিয়ার পয়েন্ট গোমুখ । আশে পাশে কিছু সহযাত্রী আছেন , অতি উৎসাহী কেউ কেউ সেই গুহামুখের কাছে এগিয়ে যেতে চাইছিল । কোথাও আর কোন শব্দ নেই শুধু গমগমে জলের আওয়াজ । চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি চেয়ে আছি ভয় মেশানো বিস্ময়ে । স্পষ্ট - শুনলাম বুকের ভেতর থেকে কে যেন বলে উঠল –
– ' নদী , তুমি কোথা হইতে আসিতেছ ? '
– মহাদেবের জটা হইতে । ”
সামনে
শিরেই রয়েছে ত্রিশূলও নন্দাদেবী । ডানদিকে সোজা বন্দরপুঁছ ।
ত্রিলোকপাবনী
সুরনদী এখানে অপরূপ শোভা ধারণ করেছেন । কতযুগধরে পর্বতের সঙ্গে চলেছে এই অনন্ত
সংঘর্ষ । কঠিন শীলাখন্ড উৎপাটিত করে অক্লান্তভাবে
পর্বতগাত্রভেদ করে তিনি চলেছেন উচ্ছ্বাসময় অবিরাম গতিতে । চলেছেন কত রমণীয় পত্তন
, কত সমৃদ্ধনগরী
,কত গ্রাম, উপবন ও জনপদকে পবিত্রকরে সমুদ্রে উপনীত হবার জন্য । পর্বতগাত্র প্রতিধ্বনিত হচ্ছে , নিবিড় বনানী হচ্ছে অনুনাদিত হরগুণগানরতা গঙ্গার আবৃত্তি
করতে লাগলাম আনন্দলহরীতে । আপনা হতেই হাতদুটো বুকের কাছে জড়ো হয়ে গেল ।
আস্তেআস্তে আবৃত্তি করতে লাগলাম-
‘দেবী সুরেশ্বরী ভগবতী গঙ্গে
ত্রিভুবনতারিনী
তরল তরঙ্গে ,
শঙ্করমৌলিনিবাসিনী
বিমলে
মম
মতিরাস্তাং তব পদ কমলে । '
গোমুখ
দেখে ফিরছি— দিনের আলো কমে আসছে , ম্যানেজার বলেছিলেন ‘ লালবাবার আশ্রমে রাত কাটান যায় , কিন্তু সে চেষ্টা না করে ফিরে আসাই
ভাল । আমি কিন্তু মাসীমা আপনার জন্য চিন্তায় থাকব । আমার নিজেরও সেটাই ইচ্ছা ।
সবাই ঘরমুখো সুতরাং গতিও দ্রুত থেকে দ্রুততর । এক জায়গায় এসে দেখি বর্ধমানের সেই
দুই শিক্ষিকা বাহন ছেড়ে হাত ধরাধরি করে গল্প করতে করতে হেঁটে চলেছে । হাত নেড়ে
ওদের পাশ কাটিয়ে চলে এলাম । সেই নরমুন্ডের মত প্রান্তর পার হচ্ছি , হঠাৎ নজর গেল সেই অসুস্থ মহিলা
একটা পাথরের উপর বসে আছেন সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে । ভঙ্গিটা দেখে ভয়ে বুক শুকিয়ে
গেল । ইন্দর সিংকে পাঠালাম দৌড়ে গিয়ে ওনাকে উঠে আসতে সাহায্য করতে । ওর সহিসকে
ওর কাছ ছাড়া করা উচিৎ হয়নি । আমিও গেলাম । দুজনে মিলে তুলে ধরার চেষ্টা করতে
লাগলাম – কিন্তু
ভদ্রমহিলা একেবারে শরীর ছেড়ে দিয়েছেন । কোনরকমে বললেন ' আমার সহিসকে আপনি পাঠয়ে দিন আমি
ঘোড়ার পিঠে বসলে চলে যেতে পারব । এক পা ও আর আমি হাঁটতে পারব না । আমার মাথায়
আকাশ ভেঙে পড়ল । বলেছিলাম বটে আসার সময়ে যে পথে কিন্তু কোন সাহায্য করতে পারব না
। কিন্তু বিবেক ? তাকে বিসর্জন দিই কি করে
এখন ! মাথা ঠান্ডা করে ওকে বোঝালাম ' এখানে ত ঘোড়া আসতে পারবে না । আপনি আমাদের সংগে একটু
সহযোগিতা করুন আমি আর ইন্দরসিং দুজনে ধরে এই যায়গাটা পার করে দেব । মনে শক্তি
আনুন । ঘোড়া এখানে আসবে না । অন্ধকার হয়ে আসছে । আপনি উঠুন । অনেক কষ্টে দুজনে তো
ওকে ঠেলে তুলে দাঁড় করলাম – দু'এক পা গিয়ে আবার বসে পড়ল । এমন সময়ে পিছন থেকে এক ভদ্রলোক
এলেন । সব শুনে উনি একদিক ধরে টেনে আরও একটু আনলেন । কিন্তু ভদ্রমহিলা একেবারে
শক্তিহীন হয়ে পড়েছে । আমিই বা কি করতে পারি ? এই বড় বড় বোল্ডার পার হতে আমারই প্রাণ যায় যে । ভদ্রলোক
হতাশ হয়ে চলে গেলেন । শুধু আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমার কেউ হয় কিনা । উনি পরামর্শ
দিলেন ' ও যেমন
বসে আছে থাক – আপনি এগিয়ে গিয়ে একাধিক সহিসকে পাঠান ওকে তুলে নিয়ে যেতে
হবে , নয় এখানে
বিসর্জন দিয়ে যেতে হবে । ' বলেই হনহন করে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিষ্ক্রান্ত
হলেন বলা চলে । আর অল্পই বোল্ডার পথ বাকী আছে । আমি ইন্দর সিংকে বললাম তুম আগে বাড়ো। দো-চার আদমি লেআও - বকশিস
মিলেগি গাড়োয়ালী ইন্দরসিং যা বলল তাতে বোঝায় ওরা গরীব বটে , দুটো পয়সার জন্য কাজ করে কিন্তু
সহমর্মিতা বর্জিত নয় । নেহি নেহি , উবাত ছোড়িয়ে, আপ ইহা বৈঠ
রহো,ম্যায় আউঙ্গা তুরন্ত "
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্দরসিং ছাড়াও আরও দুজন সহিস চলে এল । ওরা অবস্থা বুঝে
দৃকপাত না করে ভদ্রমহিলাকে তুলে নিয়ে চলল । ঘোড়ার পিঠে বসিয়ে দিয়ে বলল , ' অভি ঠিক হ্যায়।“
যাইয়ে আইস্তা আইস্তা ওদের বকসিস দিতে গেলাম । ওরা কপালে হাত ঠেকিয়ে বলল ,'মাপ কিজিয়ে মাঈ , ইয়ে হমারা ধরম ভি হ্যায় । কি আর
বলবো । ইন্দর সিংকে বললাম তাড়াতাড়ি চল । আর ভদ্রমহিলাকে বললাম
, আস্তে
আস্তে আসুন । আমি এগিয়ে যাচ্ছি বলে ছুট লাগালাম উদ্দেশ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
পৌছে ম্যানেজারকে খবর দেওয়া । কিন্তু পথ যে এখনও অনেক বাকী । মা গঙ্গাকে ডাকতে
লাগলাম । প্রায় রাত ৮ টার সময়ে ষ্ট্যান্ডে পৌছলাম দেখি ম্যানেজার
আছে । আমার দুশ্চিন্তাময় মুখ দেখে ম্যানেজার দৌড়ে কাছে এসে বললে– “কিছু হয়েছে মাসীমা ? ” আমি নেমে সব বললাম
ম্যানেজারকে । ও বলল ' জনতাম এরকমই একটা কান্ড ঘটাবে । যতক্ষণে আসে আসুক আমি এই
অন্ধকারে গিয়ে কি করব এখানেই অপেক্ষা করছি আপনি হোটেলে ফিরে যান । হোটেলে সবাই
আমাকে দেখে হৈ হৈ করে উঠল – বউমারা প্রণাম করল ঠেকাতে পারলাম না । হাতে পেলাম চকলেট
লজেন্স , আমসত্বের
টুকরা , হরিতকির
টুকরা আর অফুরান ভালবাসা অন্যদের কথা জিজ্ঞেস করাতে বললাম ওরা আসছে পিছনে পিছনে ।
নিজের ঘরে ঢুকে গেলাম । স্নান করতে চলে গেলাম । বেরিয়ে এসে দেখি ঘরে সবাই
দাঁড়িয়ে ডাক্তার এসেছেন । ভদ্রমহিলাকে কত প্রশ্ন করলেন আপনি গেলেন কেন , আপনাকে যিনি এভাবে উদ্ধার করেছেন
তিনি কই । আমি এগিয়ে এলাম, বল্লাম সব , বললাম বিবেক বিসর্জন দিতে পারিনি তাই অতদূরে ওই
নির্জনে ওনাকে কি করে ঘরে নিয়ে যাব তা ভেবে অধীর হয়েছিলাম । তবে যা করেছে তা ওই
স্থানীয় দুজন মানুষ ওকে নিয়ে ঘোড়ায় চাপিয়ে না দিলে আমি কি করতাম জানিনা '। ভদ্রমহিলা কিন্তু একটি কথাও
বললেন না । ডাক্তার বললেন 'সব দরজা জানালা আজ খোলা রাখুন পর্দা সরিয়ে দিন । ভগবানকে
ডাকুন । আমার কিছু করার নেই । উনি চলে গেলেন । আমি চুপচাপ নিজের বিছানার উপর একটি
খবরের কাগজ পেতে নীরবে বসে রইলাম । সবাই চুপচাপ চলে গেলেন ঘরে । মিনতি আর মেঘলা
আমার কাছে বসে রইল । বলল ,'এই জন্যে মাসীমা আমাদের আনন্দে তেমন করে সাড়া দিতে পারেন
নি – চুপচাপ
ঘরে ঢুকে স্নানে চলে গেলেন । সত্যি এখন আজ রাতে যে কি হবে । হে মা গঙ্গা তুমি
এনাকে বাঁচিয়ে রাখ । রাতে খাবার পর আবার একবার সবাই এলেন । পর্দাটানা দেখে আবার
পর্দাগুলি সরিয়ে দিতে যেতেই ছোট বোনটি কোকিয়ে উঠল – জানলা দরজা একে খোলা থাকবে তাতে
পর্দাও যদি সরান হয় তবে আমার যে ঠান্ডায় আবার কাল রাতের মত অবস্থা হবে । পর্দা
থাক ওতে যা অক্সিজেন আসার আসবে । আমি চুপ । ওরাও সবাই চলে গেলেন থমথমে মুখে । গভীর
রাতে আমি বারে বারে উঠে দেখতে লাগলাম
ভদ্রমহিলার প্রাণ আছে কিনা। ঈশ্বরের
অশেষ কৃপা । সকাল হল ভদ্রমহিলা চোখ খুলে তাকালেন বললেন – “ খুব খিদে পেয়েছে । ' হরলিকস এল। ম্যনেজার এল । এতক্ষণে
আমার প্রাণে স্বস্তি ফিরে এল । সারারাত বসে একমনে জপ করেছি । শরীর ক্লান্তিতে
ভেঙ্গে আসছে । চা, জল খাবার খেয়ে স্নান সেরে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে ।
বর্ধমানের ওই দুই মহিলার কোন বিকারই নেই । ওরা ওদের মতই সকালে বেরিয়ে
গেছে । তবে আমার ঘরসঙ্গী এই দুই বোনের সঙ্গে কেউ কথা বলেনি । একা একাই গঙ্গোত্রী
ঘুরব বলে বেড়িয়েছি । দেবাশিষ বলল – এখানেও গোমুখ আছে চলুন আপনাকে দেখাই । গেলাম ওর সঙ্গে।
বিশাল একটা গর্তের মধ্যে থেকে ভাগীরণী হুড়মুড় করে লাফিয়ে পড়ছে নীচের একটা
বিরাট প্রস্তরখন্ডের উপর , তারপর সগর্জনে বয়ে চলেছে নীচের দিকে আমাদের হোটেলের অনেক
নীচে দিয়ে – যার হুঙ্কারে কানঝালাপালা । গোমুখ দেখে ওকে হোটেল ফিরে যেতে
বলে আমি এগিয়ে গেলাম বাজারের রাস্তা ধরে । রাস্তার বাঁদিকের দোকানীদের জিজ্ঞাসা
করে জেনে নিলাম ভাগীরথীর মন্দিরের অবস্থান । পূজার উপকরণ কিনে নিয়ে পূজা দিলাম ।
ছোট মন্দির । হাতেলাঠিটা মন্দিরের পাশেই রেখেছিলাম দেখি নেই । এখানে হাতে দন্ড
ছাড়া সমতলবাসীরা হাঁটতে পারবেন না । খুঁজে খুঁজে লাঠিটা পেলাম ।
জল নেবো
বলে ধারে বসে গঙ্গার জলে পাত্রটা ডুবিয়েছি , ওরে বাবা কি প্রচন্ড স্রোত ! মনে হচ্ছিল যেন হাতধরে টেনে
জলে নামিয়ে নেবে । কোনরকমে জল মাথায় দিলাম , খেলামও । সাহস করে স্রোতের জলে হাত ডুবিয়ে বসে থাকলাম ।
বারে বারে চোখের সামনে ভেসে উঠছে গতকালের দেখা গোমুখের দৃশ্য ! জীবনে বোধহয় কখনও
ভুলব না – কি দেখেছি ! আমার মত ভাবালুতা যাদের নেই তাদের কাছে আমার
কথাগুলো হয়ত বেশি বেশিই মনে হতে পারে ।
১৫/১৬ টি
দোকান নিয়ে গঙ্গোত্রীর বাজার । তবে সেদিন ছিল দশহরার দিন অর্থাৎ গঙ্গাপূজার দিন
তাই দুধারে ছোট ছোট দোকান বসেছে একটু চকচকে ঝকঝকে জিনিষ নিয়ে । হাতে বোনা উলের
মোটা মোজা কিনলাম ১ জোড়া মাত্র ২০ টাকায় । এ জিনিস সমতলে পাওয়া যাবে না । একটু
ঘুরে আবার গিয়ে বসলাম গঙ্গার ঘাটে । কেউ কেউ সিঁড়িতে বসে ঘটিতে করে জল তুলে
স্নান করছেন । আমি শুধু তাকিয়ে আছি বিপুল জলরাশির
দিকে । প্রয়াগে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করেছি সেখানে গঙ্গার স্রোতের তীব্রতাও আমার জানা
ছিল কিন্তু এখানকার স্রোতের টান না দেখলে বোঝাই যাবে না পাহাড়ে
গঙ্গার কী রূপ !
ঘরে ফিরে
এলাম । নিজের ঘরে নয় । অন্যদের সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করে – দুপুরের খাওয়া সেরে সবাই বিশ্রাম
নিতে ঘরে ঢুকল । আমি বেড়িয়ে এলাম গোমুখের সামনে রেলিং ঘেরা জায়গায় দেওয়ালে
ঠেস দিয়ে বসে রইলাম শূন্যমনে । গায়ে জলের ছিটে এসে পড়ছে । কখন বিকেল হয়ে গেছে
প্রায় সন্ধের মুখে হোটেলে ফিরে চলে গেলাম কিচেনে । বললাম সবার নিশ্চয়ই
চা খাওয়া হয়ে গেছে ,আমাকে এক
কাপ চা খাওয়াবে । ওরা খুব খুশী মনে বসতে দিল , চা খাওয়ালো , কত অনুযোগ করল । বলল সবাইকে স্নানের জন্য গরমজল দিতে হবে , পরে যাকে দেব তার মুখ ভার , আবার খাবার দিতে দেরি হলে রাগ , চা ভাল হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি । আর
মাসীমা আপনিই একমাত্র আমাদের সাথে কথা বলেন , রান্নার প্রশংসা করেন , সব সময়ে আপনার হাসিমুখ দেখি,আবার
দেখেন কালকে সাহস করে কেউই গেলনা ‘ গোমুখ ’ দেখতে , একলা আপনি গেলেন আবার পথে কত কান্ড করে ওই
মহিলাকে উদ্ধার করলেন । সবাই ওদের ‘বয়কট’ করেছে কিন্তু আপনি ত পারলেন না ওকে ফেলে আসতে । ” ওদের থামিয়ে দিয়ে বললাম – চা দেবে ত দাও নইলে চললাম – তোমাদের বকবকানি শুনব না । চা
খেয়ে তবেই ছাড়া পেলাম - - রান্না ঘর থেকে ।
লেখিকার পরিচিতি –
যুথিকা চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৪২-এ । মালদায় বেড়ে ওঠেন। সেখানে তার পড়াশোনা শুরু হয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও বাংলায় স্নাতকোত্তর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে। ১৯৬২-তে মালদহ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পবিত্র কর্মযজ্ঞে প্রবেশ করে পরবর্তীতে ১৯৭১ থেকে ২০০২ পর্যন্ত সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার গুরুদায়িত্ব পালন করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, লেখালেখিতেও তার সহজাত অধিকার। তিনি সেতার বাদন ও বই পড়তে ভালোবাসেন। বর্তমান ভ্রমণকাহিনীটি তার অন্যান্য পরিচয়কে সমুন্নত করে তুলেছে।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বই একটি।