দিল্লির ৩৪-পল্লী
কালী বাড়ির দুর্গা পুজাঃ ২০২১
প্রতিমা
– মন্ডপ- প্রদূষণ
দীনেশচন্দ্র দাস
৩৪-পল্লী কালী বাড়ি সমিতির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৮সালে কালী পূজা দিয়ে কিন্তু উদ্দেশ্য কালী বাড়ি নির্মাণ করা এবং হলোও তাই ৷ এই সমিতি ৩৩ বছর পুরানো, ২০২১-এর দুর্গাপূজার ৩২তম বর্ষ ৷ বিশেষত্ব-দোতালায় মন্দির ,নীচে বিরাট হল, রাস্তা থেকে তার প্রায় শেষ প্রান্তে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ, তার বাঁ দিকে মাঝামাঝিতে দেবীদুর্গার মন্ডপ ৷মধ্যম আকারের মাটির মূর্তিরই পূজা হয়েছে ২০১৯ অব্দি ৷ কয়েক বছর ধরে প্রতিমা-বিসর্জন-প্রদূষণ নিয়ে জোড়ালো আলোচনা চলছে যথাযথ সমাধান বার করার জন্য৷ প্রতিমার ক্ষেত্রে ৩৪-পল্লী কালী বাড়ি সমিতি একটা সমাধান পেয়ে যায়৷২০২০ সালে কলকাতা থেকে ফাইবার গ্লাসের মূর্তি গড়িয়ে আনল অনসাইট স্টোরেজ কেবিনেট সহ ৷ পূজা হল সামনে রেখে একফুট উচু মাটির মূর্তির ৷ এ বছরে ২০২১-তে ও তাই হচ্ছে ৷
আজ মাটির মূর্তিটিকে বিসর্জন দেওয়া হবে গেটের বাঁ দিকে পাম্পঘরের পাশে একটি স্থায়ী চৌবাচ্চা-তে। এই চৌবাচ্চাটি এ কারণেই বানানো হয়েছে কারণ এবছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে যমুনায় বিসর্জনের পারমিশন পাওয়া যায়নি।
লেখক পরিচিতি -
স্কুল-কলেজ পেরিয়ে উচ্চশিক্ষা পান আই টি খরগপুর, নেডারল্যান্ডস্ ও জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইউ এস এ -তে । কর্মক্ষেত্র উত্তর প্রদেশ-এর তরাই অঞ্চলের গ্রাম, ভারত সরকার-এর অধীনে অরুণাচল-এ, (শিলং-এ থেকে), উটি (তামিলনাড়ু), দেরাদুন-এ (উত্তরাখণ্ড) , কৃষি এবং পরিবেশ মন্ত্রালয়, দিল্লি-তে।
দিল্লির ৩৪ পল্লীর কালীবাড়ির সাথে যুক্ত আছেন বিগত ৩০ বছর ধরে। ১৯৪৮ সাল থেকেই লেখেন কিন্তু প্রথম প্রকাশন ২০১৫-তে। কবিতা , গল্প, ভ্রমণ কাহিনী ও প্রবন্ধ ছাপতে থাকে দিল্লির পত্র-পত্রিকাগুলোতে। কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। প্রথম বই ' অনুভূতি বহুরূপে'। অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে দিল্লিথেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ' কলমের সাথ রঙ' পত্রিকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং উচ্চপদে আছেন।
** দীনেশচন্দ্র দাসের অন্যান্য লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন