Advt

Advt

Debi Durga - Bangalir Manas Kanya (Probondho / Feature) by Dr. Raghunath Bhattacharya, Bangladesh, Tatkhanik Bangla/Bengali emagazine Online Reading Free

Debi Durga - Bangalir Manas Kanya (Probondho / Feature) by Dr. Raghunath Bhattacharya, Bangladesh, Tatkhanik Bangla/Bengali emagazine Online Reading Free

দেবী দুর্গার আরাধনা বাঙালির জীবনে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।বাঙালির সমাজজীবনকে, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জীবনকে দেবী দশভুজ দিয়ে বিস্তার ও রক্ষা করে চলেছেন। সাধারণভাবে দেবী দুর্গার যে কাহিনী আমরা পাই তাতে একাধারে তিনি মহিষাসুরমর্দিনী অপরদিকে হিমালয়দুহিতা শঙ্করপ্রিয়া পার্বতী।মহাশক্তির মহাপ্রকাশকে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী বিভিন্নভাবে বিবৃত করেছে । তাই কখনও দেবী হয়েছেন দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা কখনও চামুণ্ডমুণ্ডমালিনি দেবী কালিকা। কখনও বা জগৎপালয়িত্রী দেবী জগদ্ধাত্রী,কখনও বা অন্নদাত্রী অন্নপূর্ণা ।

ভারতবর্ষের হিন্দুদের মধ্যে দুর্গাপূজা সবচেয়ে বৃহৎ পূজা।এই দেবীকে বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নামে বন্দনা করা হয়েছে।তিনি কাশ্মীরে ও দাক্ষিণাত্যে অম্বা ও অম্বিকা নামে গুজরাটে হিঙ্গুলা ও রুদ্রাণী নামে, কান্যকুব্জে কল্যাণী নামে,মিথিলায় উমা নামে এবং কুমারিকায় কন্যাকুমারী নামে পূজিত হয়ে থাকেন ।

বৈদিকযুগে কোনো পূজা অনুষ্ঠানের রীতি প্রচলিত ছিল না।তখন দেবতা ছিলেন মন্ত্রাত্মক। ঋগবেদের ঋগ্ বা মন্ত্রগুলি ইন্দ্র,অগ্নি,যম,বরুণ,সূর্য,বিষ্ণু প্রভৃতি দেবগণের স্তবস্তুতিতে পূর্ণ। দেবারাধনার রূপ ছিল যাগযজ্ঞাদির অনুষ্ঠান।মহাশক্তি দুর্গা - চণ্ডী - কালী প্রভৃতির আবির্ভাব যেমন ঋগ্‌বেদের পরে বৈদিকযুগের শেষে তেমনি মহাশক্তির বিচিত্র বিকাশ পূর্ণতা পেয়েছে তন্ত্রের মধ্যে।তবে দেবী দুর্গার প্রথম উল্লেখ আমরা পাই তৈত্তিরীয় আরণ্যকের অন্তর্গত যাজ্ঞিকা উপনিষদে।

দুর্গোৎসব বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।শরতের রোদ ফুটলেই আমাদের মন প্রস্ফুটিত হয়।কোথা থেকে যেন এক আনন্দমারুত প্রবাহিত হয়ে আমাদের হৃদয়কে বিদ্যুৎ বিকম্পিত করতে থাকে।বাংলাদেশে প্রতিমায় দুর্গাপূজার প্রচলন প্রায় হাজার বছরেরও অধিক প্রাচীন।সাধারণ মানুষের বিশ্বাস,প্রতিমায় দুর্গাপূজা নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দ্বারাই আরম্ভ হয়। তবে এ বিশ্বাসটি প্রশ্নবিদ্ধ।খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতকের বিখ্যাত বৈষ্ণব কবি বিদ্যাপতি তাঁর 'দুর্গাভক্তি তরঙ্গিণী 'গ্রন্থে ১৪৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃন্ময়ী দেবীর পূজা পদ্ধতির বর্ণনা করেছেন। বাংলার প্রাচীনতম স্মৃতি নিবন্ধকার ভবদেব ভট্ট তাঁর গ্রন্থে জীবন,বালক ও শ্রীকরের বহু বাক্য উদ্ধার করেছেন। জীবন ও বালক বাংলার সেন রাজাদেরও পূর্ববর্তী ছিলেন এবং ভবদেব ভট্ট ছিলেন একাদশ শতকের রাজা হরিবর্ম দেবের প্রধানমন্ত্রী। তাই উপযুক্ত প্রমাণসমূহ হতে নিঃসন্দেহে প্রতীত হয় যে, প্রতিমায় দুর্গাপূজা বাংলাদেশে দশম বা একাদশ শতাব্দীতেও প্রচলিত ছিল। আবার অনেক গবেষকের মতে,রাজশাহীর তাহিরপুরের রাজা কংসনারায়ণ ১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রতিমায় দুর্গাপূজা করেন।

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নিয়ন্তা যে মহাশক্তি-যে মহাশক্তির প্রকাশ জড়ে,জীবে সর্বত্র পরিদৃশ্যমান,সেই মহাশক্তিকে ভারতীয় মনীযাগণ ভিন্ন ভিন্ন রূপে কল্পনা করেছেন যা ব্যাপৃত হয়েছে। সেই মহাশক্তির আরাধনায় ভারতবর্ষ ব্যতীত পৃথিবীর অনেক দেশেই এই শক্তিময়ী মাতৃবন্দনা সে দেশের প্রাচীন লোককথায় বিরল নয়। সুদূর ব্যাবিলনে আমরা এরকমই 'ওয়ার্ল্ড মাদারের' ধারণা পাই, যিনি একসাথে সৃষ্টি ও ধ্বংসের দেবী।ভূমধ্যসাগরের ক্রীট দ্বীপে এক সময়ে এক সিংহবাহিনী পার্বতী দেবীর পূজা প্রচলিত ছিল।এছাড়া গ্রিসের রহী দেবী,এশিয়া মাইনরের সিবিলি, ইজিপ্টের ইস্থার , আররিস সবই মাতৃদেবী হিসেবে পরিচিত ।

ভারতবর্ষে দুর্গাপূজার সূচনা হয়েছিল শরৎ ঋতুতে শ্রীরামচন্দ্রের অকাল বোধনের মাধ্যমে। কালপরিক্রমায় অকাল বোধনের এই সূচনাই যুগ যুগ ধরে আমাদের মাঝে বিকশিত হয়েছে। কিন্তু শরৎকাল দুর্গা পূজার পক্ষে ‘অকাল' বলে কৃত্তিবাসী রামায়ণে লেখা হয়েছে।তবে এই রচনার অনেক আগেই শরতে দেবীর বাৎসরিক পূজার কথা মার্কণ্ডেয় পুরাণে উল্লিখিত হয়েছিল।যে বসন্তকে কৃত্তিবাস পূজার 'শুদ্ধিসময় ' বলেছেন সেই সময় পরিজনসহ বাসন্তী দুর্গা দেবীর পূজা হয়।এই পূজার সময় দেবীর আর এক রূপ অন্নপূর্ণারও আরাধনা করা হয়। ক্ষেতের ফসল ঘরে তোলার শেষ মরশুম এবং একজাতীয় ধান বোনার সময় বসন্তের সঙ্গে দেবীর অন্নপূর্ণা রূপের যোগ অন্য কোনো রূপের চেয়ে অনেক বেশি নিবিড়।বোধ হয় এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই বসন্ত কালেও মহিষমর্দিনীর পূজার প্রচলন হয়।প্রাচীনকালে মেধসমুনির আশ্রমে রাজা সুরথ এবং সমাধি বৈশ্য জগদম্বার যে মৃন্ময়ী মূর্তি পূজার প্রচলন করেন, আজও  তার ধারাবাহিকতা বহমান ।

দেবী দুর্গার স্বরূপ নিয়ে পণ্ডিতদের যত মতই থাকুক না কেন,বাঙালিদের কাছে তিনি কেবল মাতা নন,আত্মজাও বটে।এক্ষেত্রে বাঙালির অনন্যতা লক্ষণীয়।প্রাচীন ভারতের এই মাতৃত্ববোধ ক্রমে ক্রমে আপন কন্যাসম অপত্য স্নেহ - ভালোবাসায় পর্যবসিত হয়েছে। দেবী দুর্গা চারদিনের জন্য পিত্রালয়ে এলে মানুষের মনে যে আনন্দের সৃষ্টি হয় তা অতুলনীয়। শরতে দুর্গাপূজার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ভক্তের নানা ধরনের কামনা সিদ্ধির আশা,দেবীর সার্থক পূজা ভক্তকে দেবে বিষয় ও ঐশ্বর্য।পৃথিবীকে করবে শস্যশালিনী।তাই ভক্তের মনের একান্ত নিবেদন যে,বছরে অন্তত একবার তার কন্যারূপে দেবী বাপের বাড়িতে আসবে। একই আকাঙ্ক্ষা থেকে উমার মাতা মেনকাও এক সময় গিরিরাজের কাছে প্রার্থনা করেছেন, কন্যাকে যেন তাড়াতাড়ি ঘরে নিয়ে আসেন । কবির কথায় –

 

'যাও যাও গিরি আনিতে গৌরী

উমা আমার বড় কেঁদেছে'–

 

ভিখারী স্বামীর ঘরে রাজকন্যার দুঃখের জীবন! তাই দশভুজা দুর্গা পার্বতী রূপে ঘরের মেয়ে হয়ে পুত্রকন্যাসহ পিত্রালয়ে আগমন করেন।পার্বতীর এই আগমনের মধ্যে নিহিত রয়েছে প্রতিটি বাঙালির অপত্য স্নেহ বাৎসল্য ।

শরতের শিউলি ঝরা পথ বেয়ে আকাশে স্তর মেঘের সিঁড়ি ভেদ করে কাশফুলের গায়ে আনন্দের ঢেউ তুলে শঙ্করপ্রিয়া পার্বতী এসেছেন পিত্রালয়ে।পণ্ডিতেরা বলেন, ইনিই সেই বেদের মহিমাময়ী শক্তি যিনি অম্ভৃণ ঋষির কন্যা বাকের মুখ দিয়ে ব্যক্ত করেছিলেন নিজের অপার মহিমা।ইনিই সেই আদিশক্তি যিনি চণ্ডীর মধ্যে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন,-'একৈ বাহং জগৎতত্র দ্বিতীয়া কা মমা পরা’।এ জগতে আমি ছাড়া দ্বিতীয়া নারী কে আছে? আর সমস্ত নারী আমারই বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র।এই মহাশক্তিই আমাদের আদরের কন্যার রূপ পরিগ্রহ করে বাপের বাড়ি আসেন ।

দেবী দুর্গা পরিবার সমন্বিতা হয়ে দুই বাংলায়ই বেশি পূজিতা হন।বাংলার লোককথা ও লোককাহিনীতে দেবী তাঁর সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে আসেন।চার দিনের আনন্দ উৎসব শেষে দেবী ফিরে যান কৈলাসে।দেবীমূর্তির ডানদিকে রয়েছেন লক্ষ্মী আর গণেশ,বামদিকে রয়েছেন সরস্বতী আর কার্তিক।উপরে রয়েছেন নির্লিপ্ত মহাদেব।দেবীর এই পরিবারকে দাঁড় করানো হয় একই চালচিত্রের মধ্যে।গবেষকদের মতে এই একই চালচিত্রে দেবী পরিবারের সমন্বিত করা আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের বহিঃপ্রকাশ।বর্তমানে আমরা আত্মকেন্দ্রিক। আমাদের বন্দিত দেবী দুর্গার মূর্তি কল্পনায় এই আত্মকেন্দ্রিকতার ছাপ পড়েছে।আজ  আমরা লক্ষ্মী,সরস্বতী,কার্তিক,গণেশকে পৃথক পৃথক করে বন্দনা করি। আজ তার  চালচিত্রের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি না। কারণ আমরা ভুলে গিয়েছি পারিবারিক বন্ধনের মন্ত্র ও প্রয়োজনীয়তার কথা (উদ্বোধন কথা প্রসঙ্গে ৪১৮ পৃষ্ঠা ৯৬ তম বর্ষ ৯ ম সংখ্যা)।

বাংলার দুর্গাপূজায় লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে দেবীর কন্যারূপে বর্ণনা করা হলেও পুরাণে কিন্তু লক্ষ্মী ও সরস্বতী দেবী দুর্গারই দুই পৃথক রূপ।সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,এই চারজন দেবদেবী সমাজের মূল চারটি চালিকাশক্তির প্রতীক।লক্ষ্মী সম্পদের প্রতীক,সরস্বতী জ্ঞানের প্রতীক,কার্তিক শৌর্যের প্রতীক এবং গণেশ শ্রমের প্রতীক।ব্রাহ্মণ, বৈশ্য,ক্ষত্রিয়,শূদ্র এই চারটি বিভাজন গুণাত্মক কিন্তু এই বিভাজন থাকলেও প্রতিটি প্রতিটির পরিপূরক। কোনোটি স্বতন্ত্রভাবে সমাজে টিকে থাকতে পারে না।এই চারটি সম্পূর্ণ সমন্বয়ই সমাজের আদর্শ অবস্থা। দেবী দুর্গার মধ্যে এই সবকটি গুণ সমন্বিতভাবে ধরা পড়েছে। এ ভাবেই পরিবার সমন্বিত দুর্গার ভাবনায় যেন সুস্থ সমাজ গঠন,সুস্থ জাতি গঠন,সুস্থ রাষ্ট্র গঠনের ইঙ্গিত আমরা পাই। (উদ্বোধন , ঐ , পৃষ্ঠা ৪১৯)

দেবী পরিবার ও দেব-মূর্তির বিভিন্ন ব্যাখ্যা পণ্ডিতগণ বিভিন্নভাবে করেছেন।দুর্গা আমাদের জীবনে দুর্গতি হরণ করেন।আমাদের জীবনে দুর্গতির জন্য আমরাই দায়ী।প্রতিটি ব্যক্তিজীবনে চলে সুর ও অসুরের খেলা।দেবীরূপী দেবসত্ত্বা তাই আমাদেরই মহিযরূপী অসুরাত্মাকে হত্যা করে হয়ে ওঠেন দানবজয়ী।ব্যক্তিজীবনে উন্নতির মাধ্যমে আমাদের দেবীপূজা সার্থক হয়ে ওঠে।দুর্গাপূজার ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো তার সংহতি। এই পূজা মহামিলন উৎসবের সৃষ্টি করে ।

ঐক্যেই শক্তি বিচ্ছিন্নভাবে আমরা ক্ষুদ্র,দুর্বল।কিন্তু যদি আমরা অনুভব করি যে আমরা একা নই, সবাই মিলে একটা বিরাট সমাজ,তবে আর আমাদের মনে হবে না যে আমরা ক্ষমতাহীন,অসহায় বিরাট শক্তি,বিপুল আত্মবিশ্বাস জাগ্রত হবে তখন আমাদের মনে। তখনই লাভ করব আমরা আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় অভিযান শুরু করার প্রেরণা।অখিল দেবগণের তেজ পুঞ্জ একীভূত হয়েই তো রূপ নিয়েছেন মহিষমর্দিনী দুর্গা ।

দুর্গার সঙ্গে যেসব দেবদেবীকে দেখা যায় তাঁরা প্রত্যেকেই এক এক স্বাধীন ধর্মবিশ্বাসের কেন্দ্রীয় দেব বা দেবী।বিভিন্ন কারণে এবং নানা বিশ্বাসের উদ্ভব ও বিবর্তনে এঁরা শিব - দুর্গার পরিবারভুক্ত হয়েছিলেন প্রাচীনকালেই। কিন্তু মহাদেবীর মহিষমর্দিনী মূর্তির সঙ্গে পরিজনদের সাধারণত মধ্যযুগের শেষভাগের আগে দেখা যায় না।অবশ্য নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত কিছু ভাস্কর্যে দেবীকে সাধারণভাবে (অর্থাৎ মহিষমর্দিনীরূপে নয়) কার্তিক ও গণেশ বা লক্ষ্মী ও সরস্বতীর সঙ্গে দেখানো হয়েছে।ষোড়শ শতাব্দীতে মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর লেখা কবিকঙ্কণ চণ্ডীতে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে দশভুজা চণ্ডীকার (অর্থাৎ দুর্গার) মহিষাসুরমর্দিনী রূপ বর্ণিত হয়েছে।বাঙালির চিন্তা ও স্বভাবের গুণে মাতৃদেবী,অসুর ও অশুভনাশিনী মঙ্গলময়ী দুর্গা হয়ে উঠেছেন এক পরিচিতা পরিবারকর্ত্রী ও পরিবার কন্যা। যাঁকে বছরে অন্তত একবার দেখতে যেকোনো বাবা-মাই পাগল।বাঙালির ঘরোয়া চিরন্তন চিন্তার ছাপ পড়েছে সপরিবার দুর্গা কল্পনায়।এখানে দুর্গা,উমা বা ঘরের মেয়ে যাকে ঘিরে রচনা হয়েছে বাৎসল্য রস সিঞ্চিত নানা আগমনী গান। সেই ধারণা থেকেই দেবী দুর্গা মানসকন্যা রূপে প্রত্যেক বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন।

** ড. রঘুনাথ ভট্টাচার্য-র অন্যান্য লেখা পড়তেএখানে ক্লিক করুন।


লেখক পরিচিতি

রঘুনাথ ভট্টাচার্য-এর জন্ম বাংলাদেশের ঢাকায় । ধামরাই কলেজ , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন । বাংলায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচ ,ডি । বিভাগীয় প্রধান , বাংলা বিভাগ , নবযুগ কলেজ , ধামরাই , ঢাকা ।

প্রকাশিত গ্রন্থ - ( ১ ) বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্য ( ১৯২০-১৯৩০ ) । ( ২ ) সবুজপত্র গোষ্ঠীর সাহিত্য ভাবনা। ( ৩ ) প্রবন্ধ সংগ্রহ । ( ৪ ) ঈশ্বর ভাবনার বিবর্তন ও অন্যান্য প্রবন্ধ । ( ৫ ) বাংলার বৈষ্ণব দর্শন : সাহিত্যে রাধা ও কৃষ্ণের ক্রমবিবর্তন । এছাড়াও যৌথভাবে একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ।