শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ( ১৮৩৬-১৮৮৬ ) উনিশ শতকের সর্বজন স্বীকৃত এক মহামানব। তিনি অবতার পুরুষও বটে। অবশ্য আমরা বলছি না , সকলেই তাঁকে অবতার বলে গ্রহণ করুন । শ্রীরামকৃষ্ণও সেই কথার ওপর জোর দেননি । যুগাবতার, যুগদেবতা , যুগপুরুষ , মহামানব , মহাপুরুষ , সাধক পুরুষ , সমন্বয়ের দূত ইত্যাদি যত অভিধা-ই আমরা শ্রীরামকৃষ্ণ সম্পর্কে প্রয়োগ করি না কেন , তার উদ্দেশ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( ১৮৬১-১৯৪১ ) -এর নিবেদিত শ্রদ্ধাবাণীটি কিন্তু সর্বজন সম্মত –
ধেয়ানে তোমার মিলিত হয়েছে
তারা ।
তোমার জীবনে অসীমের লীলাপথে
।
নূতন তীর্থ রূপ নিল এ জগতে।”
স্বামী বিবেকানন্দ ( ১৮৬৩-১৯০২ ) তাঁর গুরুদেব শ্রীরামকৃষ্ণ সম্পর্কে বলেছেন “তার জীবন না বুঝলে বেদ-বেদান্ত,অবতার প্রভৃতি বোঝা যায় না । কেননা , তিনি ছিলেন,ব্যাখ্যাস্বরূপ। "স্বামীজী তার ইষ্টদেবতাকে এক মহাসমম্বয়াচার্য রূপে বুঝেছেন এবং বুঝিয়েছেন।বাস্তবিকই তাই। কেননা , বিভিন্ন ধর্মমত , পথের সাধনা শেষে শ্রীরামকৃষ্ণ-র একটি মাত্র বাণী উচ্চারণের মাধ্যমে সমগ্র জগৎকে স্তম্ভিত আলোড়িত এবং উপকৃত করে গেছেন। সেই মহাবাণীটি হচ্ছে— “যত মত তত পথ” ধর্মজগতের ইতিহাসে এ এক আশ্চর্যবাণী,এ এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। ইহাই রামকৃষ্ণদর্শনের ভিত্তিস্বরূপ।
পুরাণে
সমুদ্রমন্থন করে 'অমৃত' তোলার কাহিনি আছে। শ্রীরামকৃষ্ণ জীবনব্যাপী সাধনার সমুদ্রপন্থন
করে যে 'অমৃত' তিনি তুলেছেন, তা তিনি পুণ্যবান - পাপী, ভালো - মন্দ নির্বিশেষে সকলের
হাতে তথা মুখে তুলে দিয়েছেন ।আর তিনি নিজে সকলের পাপতাপের কালকূট তথা গরল গলধঃকরণ
করে হয়েছেন নীলকণ্ঠ।শ্রীরামকৃষ্ণের ভাষায়— “ভাত রেঁধেছি , তোরা বাড়া ভাতে বসে যা।”
“শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত” সেই মৃত্যুঞ্জয়ী সুধা তথা অমৃতের ভাণ্ড । যাঁরা দেবপ্রকৃতির
মানুষ তারা তো এই অমৃত পান করে অমর হবেনই , এমনকি যাঁরা অসুর প্রকৃতির,তারাও যদি শ্রদ্ধাভরে
এই অমৃত পান করেন , তাহলে তারাও অমর হয়ে যাবেন।শ্রীরামকৃষ্ণের উদার দানের এটাই অভূতপূর্ব
মহিমা !
দিন
- ক্ষণ - তিথি - স্থান - পাত্রমিত্রের খুঁটিনাটি বর্ণনা সম্বলিত শ্রীরামকৃষ্ণ
অবতার জীবনের তরতাজা, জীবন্ত দলিল হচ্ছে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত ' নামক অমূল্য গ্রন্থখানা।
এ এমন গ্রস্থ, এমন সব কথা আছে এতে যা একবার পড়ে শেষ হয় না । আয়ত্ত করা তো দূরের
কথা । অন্য গ্রন্থ বা বই একবার পড়লে হয়তো দ্বিতীয়বার পড়ার আগ্রহ থাকে না,কিন্তু
কথামৃত বারবার। এটি নিত্যনতুন,নিত্যপাঠ্য।এমনই এর মহিমা। কথামৃতে যেমন উপনিষদ আছে,
গীতা আছে,রামায়ণ-মহাভারত আছে,ভাগবত আছে — তেমনি চৈতন্যচরিতামৃত,বাইবেল এবং ইসলাম,বিষয়ক
সুফিদের তত্ত্বকথাও আছে। বলা যায় — ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত' সর্বশাস্ত্রের সার।
মহেন্দ্রনাথ
গুপ্ত ( ১৮৫৪-১৯৩২ ) তথা ‘শ্রীম'— কথিত গ্রন্থ 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’। পাঁচ ভাগের
শ্রীশ্রী কথামৃতের মধ্যে শ্রীম ' নিজেকে প্রচ্ছন্ন রেখে শ্রীরামকৃষ্ণকে সম্পূর্ণরূপে
প্রকাশ করেছেন। গ্রন্থকার বহু কাল্পনিক নামের আশ্রয় নিয়েছেন নিজেকে লুকোবার জন্যে।যেমন
— মণি ,মোহিনীমোহন,একটি ভক্ত,মাস্টার,শ্রীম, ইংলিশম্যান ইত্যাদি লেখক মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের
ব্যক্তিত্বের অভিব্যক্তি কোথাও নেই বললেই চলে। দু'এক স্থানে দু'একটি নিভৃত চিন্তার
মাত্র পরিচয় পাওয়া যায় তাহাও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবের ওপর ভিত্তি করে তাঁরই মহিমা
প্রকাশের প্রয়াসমাত্র । সেগুলো সেবকের নির্মল হৃদয়কাশে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ছবি ছাড়া
আর কিছু নয়।এ প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন,প্লেটো সক্রেটিসের যে জীবনী লিখেছেন
সেটিহচ্ছে Plato
all over,সব জায়গাতে প্লেটোই
ফুটে উঠেছেন।সক্রেটিসের চেয়ে সেখানে প্লেটো প্রাধান্যই ঘোবিত হয়েছে।পক্ষান্তরে কথামৃতকার
শ্ৰীম নিজেকে একেবারে সম্পূর্ণরূপে আড়ালে রেখে দিয়েছেন ।
কথামৃতের
সময়কাল ১৮৮২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮৮৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ,এই সময়কালের
দিন-ক্ষণ-তিথি-স্থান-পাত্রমিত্র ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরণ ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত'গ্রন্থে
সন্নিবেশিত হয়েছে । শ্ৰীম তথা মাস্টার মশাই যেদিন যা শুনেছেন লিপিবদ্ধ করেছেন । কথামৃতে
বিধৃত শ্রীরামকৃষ্ণের মুখের কথাকে অবিকল লেখার অক্ষরে বসিয়ে দেওয়ার দুরূহ কাজটি শ্ৰীম
সুনিপুণভাবে করেছেন তা বলাই বাহুল্য ।
তত্ত্বের
দিক দিয়ে ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং তার সহধর্মিণী শ্রীশ্রীমা সারদাদেবী এক অখণ্ড চৈতন্যস্বরূপ।“ঠাকুর ও আমাকে
অভেদ দেখবে।” — স্বয়ং সারদা মায়ের উক্তি।ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের দেহরক্ষার (১৮৮৬) কয়েক
বছর পরে শ্রীমা সারদা (১৮৫৪-১৯১৯) মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (শ্রীম )-কে ‘কথামৃত' শোনাবার
নির্দেশ দিয়েছিলেন। শ্রীমের কাছ থেকে কথামৃত শুনে শ্রীমা খুবই সন্তুষ্ট হলেন।তাকে
তিনি আশীর্বাদ করে বললেন— “তোমার মুখে ওই সকল শুনিয়া আমার বোধ হইল, তিনিই ওই সমস্ত
কথা বলিতেছেন। ”অতঃপর শ্রীমা শ্ৰীমকে এই গ্রন্থ প্রকাশ করার আদেশ দিলেন।
মহেন্দ্রনাথ
গুপ্ত ( শ্রীম ) ১৮৯৭ সালে ইংরেজিতে উক্ত গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশ করেন "Gospel of Sri
Ramkrishna' ( According to M. , a son of the Lord and and disciple ) — এই শিরোনামে । পরবর্তীতে উহা "শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত শ্ৰীম
কথিত নাম ধারণ করে বাংলা ভাষায় 'তত্ত্বমঞ্জুরী','বঙ্গদর্শন','উদ্বোধন','হিন্দু পত্রিকা
ইত্যাদি মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। এক সময় এগুলো একত্রীভূত করে স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ
কর্তৃক উদ্বোধন প্রেস থেকে ১৯০২ সালে শ্রীম-কথিত ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত'-র প্রথম
ভাগ প্রকাশিত হয় । এরপর পর্যায়ক্রমে ১৯০৪ সালে দ্বিতীয় ভাগ, ১৯০৮ সালে তৃতীয় ভাগ,
১৯১০ সালে চতুর্থ ভাগ এবং ১৯৩১সালে পঞ্চম ভাগ প্রকাশিত হয় শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত
গ্রন্থটির । স্মর্তব্য , কথামৃতের পঞ্চম ভাগ মুদ্রণ সমাপ্তকালে (১৯৩২) শ্ৰীম তথা মহেন্দ্রনাথ
গুপ্ত-র দেহাবসান ঘটে ।
‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ
কথামৃত'-এর বিষয়বস্তু হল ভগবান এবং ভগবান লাভের উপায়। কী করে আমাদের ভববন্ধন মোচন
হবে , কীভাবে আমরা এই সংসার - ব্যাধি থেকে মুক্ত হব, এই যে জন্মজন্মান্তর ধরে আমরা
অন্ধকারে ঘুরছি,এই অন্ধকারের কীকরে নিবৃত্তি হবে ইত্যাদি আমরা কথামৃত থেকে জানতে পারি।
আমাদের যত সংশয় সেগুলো কী করে দুর হবে, আমাদের সংসারে সমস্ত কাজকর্মের ভেতরেও কী করে
আমরা ভগবতমুখী হয়ে অপার শান্তির অধিকারী হব ইত্যাদি কথামৃতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের
উপদেশের মধ্যে আমরা পাই।আমরা ব্যক্তিগতভাবে জ্ঞানপ্রাণ, ভক্তিপ্রবণ কিংবা কর্মপ্রবণ
যা-ই হই না কেন, কথামৃত থেকে আমরা সকলেই পথনির্দেশ পেতে পারি। পাশাপাশি পেতে পারি অপূর্ব
প্রেরণা ।
“শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ
কথামৃত” ধর্মীয় শাস্ত্র হিসেবে তো বটেই, কথাসাহিত্যের দিক দিয়েও এটি অসাধারণ সৃষ্টি।
অপূর্ব বাকশিল্পী শ্রীরামকৃষ্ণদেব কথামৃতে শাস্ত্রের তথাকথিত গুরুগম্ভীর ভাব ও ভাষাকে
সর্বসাধারণের উপযোগী করে পরিবেশন করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে উঠে এসেছে আমাদের চিরপরিচিত
লৌকিক জীবন এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন গল্প, প্রবাদ - প্রবচন , শ্লোক , খেলাধূলার
প্রসঙ্গ ইত্যাদি। শ্রীম - কথিত ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’ প্রথম যখন প্রকাশিত হয়েছিল
তখন হয়তো মুষ্টিমেয় কিছু লোককে এটি প্রভাবিত করেছে । কিন্তু কালপরিক্রমায় কথামৃত
আজ সমগ্র বিশ্বের মানবকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করছে। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পৃথিবীর বিভিন্ন
ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ এই কথামৃতের রস আস্বাদন করতে পারছেন,পাশাপাশি
তাদের মধ্যে আধ্যাত্মিক পিপাসা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
১৯৮২
সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’-র গ্রন্থস্বত্ব বা কপিরাইট শেষ হয।১লা
জানুয়ারি ১৯৮৩ দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায়’য় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ
ছিল এরূপ— “ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিনটি এবার কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়ায় এক নতুন ইতিহাস
রচনা করল।এই সকালে কমপক্ষে পাঁচটি প্রকাশন সংস্থা একইসঙ্গে প্রকাশ করেছেন ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ
কথামৃত :শ্রীম কথিত '। দু - চার দিনের মধ্যেই একই বই নিয়ে বাজারে নেমেছেন
আরও অনেক প্রকাশক । গ্রন্থটির অসাধারণ জনপ্রিয়তা-র থেকেই উপলব্ধি করা যায় ।
পরিশেষে বলা যায় , শ্ৰীম কথিত ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’
হচ্ছে শ্রীরামকৃষ্ণ - ভাবসমুদ্র । শ্রীরামকৃষ্ণের সেই ভাবরূপ কথামৃতের সাগরে ডুবলে
কেউ মরে না , মরে বেঁচে যায়। মাস্টার মশাই শ্ৰীম ( মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত ) আত্মহত্যা
করবেন বলে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়েছিলেন । কিন্তু ‘শ্রীরামকৃষ্ণের কথামৃত’ আস্বাদন করে
তিনি অমর হয়ে গেলেন। শ্রীরামকৃষ্ণের তার কথামৃতের লিপিকার মর্যাদায় অভিষিক্ত
করলেন মাস্টার মশাই শ্ৰীমকে । ধন্য মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত, সার্থক তাঁর মানবজীবন।
শ্রীম নিজে এই অমৃতফল আস্বাদন করেছেন এবং আমাদেরকও তার ভাগ দিয়েছেন । সেজন্যে
আমরাও ধন্য । যতদিন বিশ্বের বুকে শ্রীরামকৃষ্ণের নাম থাকবে, ততদিন ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ
কথামৃত ' - ও থাকবে । আর থাকবে কথামৃতের লিপিকার মাস্টার মশাই শ্রীম-র নামও । শ্রীম-র
মতো আমরাও যদি কথামৃত প্রাণভরে আস্বাদন করতে পারি , তাহলে আমরাও মৃত্যুকে অতিক্রম
করতে সক্ষম হব — তা নিৰ্দ্ধিধায় বলা যায় । জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ । জয়তু ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ
কথামৃত’।
সহায়ক গ্রন্থ :
১ ) শ্ৰীম - কথিত , “ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত ’ ( অখণ্ড ) ভাগ )
২
) স্বামী ভূতেশানন্দ রচিত , “ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রসঙ্গ ( প্রথম ভাগ ও
পঞ্চম ভাগ)
৩
) মণি বাগচী সংকলিত , ‘ কথামৃতসার’।
৪
) অভয়া দাশগুপ্ত সংকলিত , “ নিজ মুখে শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন ও উপলব্ধি” ।
৫
) উদ্বোধন ’ পত্রিকার ১১৬ তম বর্ষের কতিপয় সংখ্যা ইত্যাদি ।
লেখক পরিচিতি –
ড.বাসুদেব রায়ের
জন্ম ১৯৬২ সালে। কবিতার মাধ্যমে সাহিত্যের জগতে আত্মপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশিত বই
মানব' (কাব্যগ্রন্থ), দ্বিতীয় বই রক্তের বাঁধন (উপন্যাস)। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় পদচারণা করলেও
প্রবন্ধ সাহিত্যের দিকে তার ঝোঁক বেশি। তদুপরি গবেষণামূলক প্রবন্ধ তথা বই লিখতে
তিনি অধিকতর উৎসাহী। গবেষণামূলক বইয়ের পাশাপাশি সাধু-মহাপুরুষদের জীবনী-গ্রন্থ, একাঙ্কিকা ইত্যাদি সম্পাদনাও
করেছেন তিনি।
ড.বাসুদেব রায়ের
বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। হার উল্লেখযোগ্য গবেষণা গুলোর মধ্যে রয়েছে
মনসামঙ্গল কাব্যে দেবদেবীর স্বরূপ', চণ্ডীমঙ্গল ও অন্নদামঙ্গল কাব্যে দেবদেবীর স্বরূপ, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে
সমাজ-চিত্র ইত্যাদি। তাঁর যৌথ রচনা ও উপেক্ষণীয় নয়।
বিভিন্ন
পত্র-পত্রিকায় বাসুদেব রায় নিরলস ভাবে লিখে চলেছেন। এছাড়াও নতুন করে তিনি একক ও যৌথভাবে বেশ কয়েকটি গবেষণামূলক কাজে হাত দিয়েছেন।