নররূপী বান
কুমার আশীষ রায়
এলো রে দানব, পালারে মানব
শীঘ্র এ দেশ ছেড়ে,
এরা বলবান, নামে "তালিবান"
নিতে আসে প্রাণ তেড়ে।
ছেয়ে গেল তারা নররূপী "বানে"
আফগানিদের স্থানে,
কারে মারবে, কারে ছাড়বে --
ভগবান-ই শুধু জানে ।
সকলের হাতে মারণ-অস্ত্র
কর্ম কেবল মারা,
এদের কঠোর নিয়ম-শর্ত
মানলেই পাবে ছাড়া।
কথা বেশী তারা বলে না কন্ঠে
কথা কয় মারণাস্ত্র,
রপ্ত করেছে আজন্ম ঘেঁটে
প'ড়ে "জল্লাদীশাস্ত্র" ।
নারী বিদ্বেষী ব'লে পরিচিত
দিতে বাধে স্বাধীনতা,
যতই হোক সে আপনার জন --
কন্যা, ভগিনী মাতা ।
আজ এ দশার পিছনে "নাকি"
শকুনির খেলা পাশা,
ক্রিয়মান তার পরিণাম আজও
এমন-ই সর্বনাশা ।
পুরাতনী সেই গান্ধার দেশ
আজকের এই স্থান,
শোকে গান্ধারী-প্রদত্ত এই
অভিশাপ, অপমান।
"গান্ধারে কেউ রবে নাকো সুখে",
কন কৌরব-মাতা
"আসবে না কেউ বাঁচাতে সেখানে,
পাবে না পরিত্রাতা"।
অভিশাপে পাশা খেলছে নিয়তি,
আজ সেথা "হৃতরাষ্ট্র"
ধর্মের কল নড়েছে বাতাসে,
বলেছেন নীতি শাস্ত্র ।
যদি বাঁচে কেউ নদীর বানে,
এ "বানে" বাঁচে না কেউ
স্বাভাবিক নয় এদের চাহিদা,
এরা শয়তানী ঢেউ ।
ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত,
পাঠায়েছ বারে বারে,
এ-কেমন দূত পাঠালে এবার
রত নর-সংহারে ।
কবি পরিচিতি :-
জন্ম মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ । সেখানে কিছুটা পড়াশোনা, পরে পাটনা ও শেষে দিল্লী থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক । কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে অবসরপ্রাপ্ত । সাহিত্য, সঙ্গীত, বই-পড়া, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, যোগ-ব্যায়াম, আধ্যাত্মিকতা ও প্রেত-তত্ত্ব ইত্যাদিতে চর্চা । মুক্ত-চিন্তাবিলাসী ও কুসংস্কার বিরোধী । বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি।