কবি কামিনী রায়
ড. বাসুদেব রায়
ইংরেজি Lyric Poetry থেকে গীতিকবিতা কথাটি এসেছে । ইংরাজি Lyric শব্দটির মূলে রয়েছে ‘ লায়ার ' নামক একটি বীণাজাতীয় বাদ্যযন্ত্র । এই যন্ত্র সহযোগে যে গান গাওয়া হত তাকেই বলা হয় লিরিক বা গীতিকবিতা ।
কবির সুতীব্র ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে
গীতিকবিতার জন্ম হয় । সেজন্যে গীতিকবিতা একান্তভাবে কবিজীবনের সঙ্গে জড়িত । অথাৎ
কবির 'Intense personal emotions'- ই গীতিকবিতার প্রাণ । কবির
ব্যক্তিগত অনুভূতি , কল্পনা , সৌন্দর্য ও সঙ্গীতের পাখায় ভর
করে একটি নিটোল রসমূর্তি ধারণ করে , সেই সঙ্গীতময় বাক্মুর্তির নাম
গীতিকবিতা ।
বাংলা সাহিত্য সৃষ্টির উষালগ্ন থেকে এতে গীতিসুরের
অনুরণন পরিলক্ষিত হয় , কিন্তু প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে কবিদের কাছে
কানু ছাড়া গীত ছিল না । অর্থাৎ দেবদেবীর কথা ছাড়া তারা নিজের কথা বলতে পারতেন না
। আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার সূচনা উনিশ শতকের মধ্যভাগে বিহারীলাল চক্রবর্তী (
১৮৩৫-১৮৯৪ ) -র হাতেই ঘটেছিল । অবশ্য বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগের সূচনা হওয়ার পর
ঈশ্বর গুপ্ত ( ১৮১২-১৮৫৯ ) -র দু '-চারটি কবিতায় গীতিকবিতার অল্পস্বল্প লক্ষণ দেখা যায় । তবে
,মাইকেল মধুসূদন দত্ত (
১৮২৪-১৬৭৩ ) -র ‘ব্রজাঙ্গনা
কাব্য ' এবং বিশেষ
করে “আত্মবিলাপ ’ ও ‘বঙ্গভূমির প্রতি ‘কবিতা দুটিতে
যথার্থ আধুনিক গীতিকবিতার কিছু লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় ।
গীতিপ্রাণতা বাঙালির স্বভাবসিদ্ধ বিষয় । ফলে বাংলা
সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ,মধ্যযুগে নানা ধর্মসম্প্রদায়ের মধ্যেই সাধন ভজন গানের মধ্য
দিয়ে তা চলে আসছিল । আধুনিক যুগে বিশেষ করে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে তাতে
মানবিক আবেগের ধারা যুক্ত হয়ে এক অভূতপূর্ব মুক্তির নির্বাধ আনন্দ লাভ করল ।
বিহারীলাল চক্রবর্তীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সে যুগে বেশ কয়েকজন কবি বাংলা
সাহিত্যের গীতিকবিতায় অবদান রাখেন । এঁদের মধ্যে সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার (
১৮৩৮-১৮৭৮ ) , দেবেন্দ্রনাথ
সেন ( ১৮৫৮-১৯২০ ) , অক্ষয়কুমার
বড়াল (১৮৬০-১৯১৯ ) , স্বর্ণকুমারী দেবী ( ১৮৫৫-১৯৩২ ) , গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী (
১৮৫৮-১৯২৪ ) , মানকুমারী
বসু ( ১৮৬৩-১৯৪৩ ) , দ্বিজেন্দ্রলাল
রায় ( ১৮৬৩-১৯১৩ ) প্রমুখের পাশাপাশি অবশ্যই কামিনী রায় ( ১৮৬৪-১৯৩৩ ) -এর নাম
উল্লেখ করা যায় ।
বিহারীলাল প্রবর্তিত গীতিকবিতার ধারা'র অন্যতম গীতিকবির নাম কামিনী রায় । কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( ১৮৬১-১৯৪১ ) -এর সময়কালে তথা রবীন্দ্রযুগে কাব্যসাধন করলেও
তার স্বকীয়তা ছিল উল্লেখযোগ্য । ঘরোয়া পরিবেশকে কাব্যে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে তার
কৃতিত্ব ছিল সর্বাধিক । বলাই বাহুল্য , গীতিকবিতার ক্ষেত্রে মহিলা কবিদের মধ্যে কামিনী রায়
শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন । বিহারীলাল বা অক্ষয়কুমারের মতো ভাবতন্ময় না হয়েও
বিষয়নিষ্ঠা এবং পরিমিত ও সংযত কাব্যভাষা প্রয়োগে তাঁর কৃতিত্ব অবিস্মরণীয় । তাঁর
কাব্যে নারী হৃদয়ের প্রকাশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ঘটেছে ।
কবি কামিনী রায়ের জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল (
বাখরগঞ্জ ) জেলার বাসণ্ডা গ্রামে ১৮৬৪
সালের ১২ অক্টোবর । তাঁর পিতা ছিলেন সে - যুগের খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও আইনজীবী
চণ্ডীচরণ সেন ( ১৮৪৫-১৯০৬ ) । ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত চণ্ডীচরণ পরবর্তীকালে মুনসেফ ও
সাব - জজ হন । ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা হিসেবে তিনি বাংলা সাহিত্যে খ্যাত । উপন্যাস
ছাড়াও তিনি কাব্যগ্রন্থ, অনুবাদ সাহিত্য ইত্যাদি রচনা করেন । এ - হেন খ্যাতিমান পিতার
কন্যা কামিনী সেন (পরবর্তীতে কামিনী রায় ) ১৮৮০ সালে কলকাতার বেথুন স্কুল তথা
কলেজ থেকে এনট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন । ১৮৮৬ সালে ওই স্কুলের
কলেজ বিভাগ থেকে ভারতে প্রথম মহিলা হিসাবে সংস্কৃতে অনার্স সহ বি.এ. পাশ করেন ।
তারপর ‘ইলবার্ট বিল ' আন্দোলন তথা সুরেন্দ্রনাথের
কারাবরণের সময় কামিনী বেথুন স্কুল তথা কলেজে ছাত্রছাত্রীদের নেত্রীস্থানীয় হয়ে
ওঠেন ।
স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা তথা রবীন্দ্রনাথের ভাগ্নী স্বনামধন্যা
সরলা দেবী চৌধুরাণী (১৮৭২-১৯৪৫ ) তাঁর অমূল্য স্মৃতিকথা জীবনের ঝরাপাতা '-য় বেথুন স্কুলের স্মৃতিচারণায়
কবি কামিনী রায় সম্পর্কে বলেছেন এভাবেঃ “… .এদিকে স্কুলে উপর ক্লাসের
কতকগুলি মেয়েদের নেতৃত্ব - প্রভাবে আমার জাতীয়তার ভাৰ উত্তরোত্তর বর্ধিত হতে
লাগল । তাদের মধ্যে অন্যতম নেত্রী ছিলেন – কামিনী দিদি ও অবলা দিদি -কবি কামিনী রায়
ও লেডি অবলা বসু । "
চণ্ডীচরণ সেনের কন্যা কামিনীর কলেজী শিক্ষার পর
প্রথমে বেথুন স্কুলে ,পরে কলেজ - বিভাগে অধ্যাপনা করতে থাকেন । অবশ্য , ১৮৯৪ সালে স্ট্যাটুটারি
সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায়ের সঙ্গে তার বিবাহের পর তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন ।
উল্লেখ্য , তখন থেকে
তিনি কামিনী সেনের পরিবর্তে কামিনী রায় হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন ।
কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ( ১৮৩৮-১৯০৩) -এর
গুণমুদ্ধ পাঠিকা হিসেবেই কামিনী সেন তথা কামিনী রায়
কাব্যপাঠে মনোনিবেশ করেন । প্রসঙ্গক্রমে এখানে ১৯২৩ সালে এক পরিচিত ব্যক্তিকে লেখা
তাঁর একটি চিঠির উদ্ধৃতি দেওয়া যেতে পারে – “রবীন্দ্রের অভ্যুদয়ের
পূর্বে হেমচন্দ্র বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন । তাঁহার জ্বলন্ত স্বদেশপ্রীতি , নারীজাতির প্রতি তাহার
শ্রদ্ধাপূর্ণ অকপট সহানুভূতি , দেশাচারের প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার , জাতীয় পরাধীনতায় কেশ ও লজ্জাবোধ – এই সকল তাঁহার মত
তেজস্বিতা ও সহৃদয়তার সহিত তাঁহার পূর্বে কেহ প্রকাশ করিতে
পারেন নাই । এখনকার বিচারে তাঁহার রচনার মধ্যে অনেক ত্রুটি
পাওয়া যাইতে পারে ,কিন্তু আমরা সেকালে কলাকুশলতা ( art ) হইতে কবির উচ্ছ্বসিত হৃদয়
দেখিয়া মুগ্ধ হইতাম । " স্মর্তব্য , মাত্র পনেরো বছর বয়সে ১৮৭৯
সালে কামিনী সেন ( কামিনী রায় ) – এর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আলো ও ছায়া ' হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ভূমিকা সহ প্রকাশিত হয় । এ সমস্ত কারণে কবি কামিনী রায়কে কবি হেমচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসকন্যা বলা হয় ।
কামিনী রায় কবি হিসাবে খ্যাতি পেলেও সাহিত্যের
বিভিন্ন শাখায় পদচারণা করেছেন । এখানে তার রচনা সমূহের উল্লেখ করা যেতে পারেঃ কাব্য -
কবিতা – ' আলো ও ছায়া " ( ১৮৭৯
, মতান্তরে
১৮৮৯ ) , ' নির্মাল্য (
১৮৯০ ) , ' মালা ও
নির্মাল্য ' ( ১৯১৩ ) এবং ‘সাদ্ধিকী ' ( ১৯১৩ ) ; ( ২ ) নাট্যকাব্য - শোকগাথা :
পৌরাণিকী ' ( ১৮৯৭ ) , “অম্বা ( ১৯১৫ ) , ' অশোক সঙ্গীত ' ( ১৯১৪ ) , ' সিতিমা ' ( ১৯১৬ ) , ' দীপ ও ধূপ ' ( ১৯২৯ ) এবং " জীবনপথে ' ( ১৯৩০ ) ; ( ৩ ) শিশুসাহিত্য – ' গুঞ্জন ' ( ১৯০৫ ) , টলস্টয়ের গল্পের অনুবাদ ‘ধর্মপুত্র ' ( ১৯০৭ ) , ঠাকুরমার চিঠি’ ( ১৯২৩ ) ইত্যাদি ।
স্কুল কলেজের পাঠ্যগ্রন্থে সংকলিত কামিনী রায়ের অনেক
কবিতা একসময়ে ছাত্রছাত্রী তথা পাঠক সমাজের কণ্ঠস্থ ছিল । “আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে / আসে নাই কেহ অবনী ’ পরে / সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে " , " গিয়াছে ভাঙ্গিয়া সাধের বীণাটি , / ছিড়িয়া গিয়াছে মধুর ভার ” , “ নাই কিরে সুখ , নাই কিরে সুখ , এ ধরা কি শুধু বিষাদময় ? ” , “ তোরা শুনে যা আমার মধুর স্বপন , / শুনে যা আমার আশার কথা ” — ইত্যাদি কবিতা একদা
ছাত্রছাত্রীদের কণ্ঠে কণ্ঠে ফিরত । আধুনিক ধরনের উচ্চশিক্ষা লাভ করে, অভিজাত পিতৃবংশ এবং সম্রান্ত
স্বামীর সান্নিধ্যে বর্ধিত হয়ে কামিনী সেন তথা কামিনী রায় শুধু সমকালীন মহিলা
সমাজে নয় , শিক্ষিত পাঠক
সমাজেও শ্রদ্ধার আসন লাভ করেছিলেন । ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তিনি ইংরেজি
লিরিকের আদর্শে অসংখ্য মাঝারি ধরনের গীতিকবিতা রচনা করেছিলেন । তাঁর রচিত সনেটের
সংখ্যা শতাধিক। তার কিছু কিছু গদ্য নিবন্ধও আছে । সাহিত্য সাধনার পাশাপাশি কামিনী
রায় বিভিন্ন প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান , আন্দোলন ইত্যাদির সঙ্গেও নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন ।
প্রেম , প্রকৃতি ও স্বদেশপ্রেম – মূলত এই তিন ধারায় প্রবাহিত
হয়েছে কবি কামিনী রায়ের কাব্যনদী । তাঁর কবিতায় জীবনের সুখ - দুঃখ , আশা - আকাঙ্খা ও আনন্দ - বেদনার
সহজ - সরল ও সাবলীলভাবে প্রকাশ ঘটেছে । স্বামী ও পুত্রকে অকালে হারানোর যন্ত্রণা
তাঁর কাব্য মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে । কামিনী রায়ই প্রথম মহিলা কবি যিনি মেয়েলি ঘরোয়া
ধরন ছেড়ে বৃহত্তর কাব্যজগতে পা রাখেন এবং রবীন্দ্রযুগের গৌরবময় পরিমণ্ডলে থেকেও
স্বকীয়তাকে অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হন ।
কবি কামিনী রায়ের কাব্যে নারী হৃদয়ের প্রকাশ বেশ
স্বতঃস্ফূর্ত । তার অনেক কবিতায় । আশাহত নারী হৃদয়ের অভিমান ও অনুযোগ প্রকাশিত
হয়েছে । যেমন- “তোমার কষ্ঠের
স্বর , তব
দৃষ্টিখানি / মনে হয় , আমি যেন চিরদিন জানি , আশা হল তোমা হতে ভাল করে পাব /
আপনার পরিচয় ... " ইত্যাদি । তার স্বদেশ প্রেমমূলক কবিতায় কবি হৃদয়ের
আন্তরিকতা বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে । যেমন – “যেইদিন ও চরণে ডালি দিনু এ জীবন
, / হাসি অশ্রু সেইদিন করিয়াছি
বিসর্জন । / হাসিবার কাদিবার অবসর নাহি আর , দুখিনী জনমভূমি , মা আমার মা আমার ” ইত্যাদি ।
পরিশেষে বলা যায় – কবি কামিনী রায় আত্মসুখের
চেয়ে পরের সুখেই বেশি সুখী হতেন , তৃপ্তি পেতেন । সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ ।
মানুষের প্রকৃত কত তথা লক্ষ্য হওয়া উচিত – “সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেক
আমরা পরের তরে । ” এটি তিনি অন্তরের অন্তরতম প্রদেশ থেকে
অনুভব করতেন । তিনি বুঝেছিলেন , নিজেকে নিয়ে ব্যস্ততায় সময় কাটানো নয়,বরং দুঃখী মানুষের সেবা ও দুঃখে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে
উৎসর্গ করার মাধ্যমেই যথার্থ সুখের সন্ধান পাওয়া যায় । তাইতো তিনি লিখেছেন :
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি / এ জীবন মন সকলই দাও , তার মত সুখ কোথাও কি আছে ? / আপনার ব্যথা ভুলিয়া যাও । ' ইত্যাদি । ভাষাচার্য ডঃ সুকুমার
সেন ( ১৯০০-১৯৯২ ) কামিনী রায়ের কবিতার বিশেষত্ব আলোচনা প্রসঙ্গে যথার্থই লিখেছেন ,ভাবের ও ভাষার সংযম ও শালীনতা ইহার রচনার প্রধান
বৈশিষ্ট্য । হৃদয় দ্বন্দ্বের মধ্যে । নৈতিক এবং বৃহত্তর আদর্শের সঙ্গতি অন্বেষণ
ইহার কবিতার মর্মকথা । ”
১৯৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মহতী ও মরমী কবি কামিনী
রায়ের জীবনাবসান ঘটে ।
ড.বাসুদেব রায়ের জন্ম ১৯৬২ সালে। কবিতার মাধ্যমে সাহিত্যের জগতে আত্মপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশিত বই মানব' (কাব্যগ্রন্থ), দ্বিতীয় বই রক্তের বাঁধন (উপন্যাস)। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় পদচারণা করলেও প্রবন্ধ সাহিত্যের দিকে তার ঝোঁক বেশি। তদুপরি গবেষণামূলক প্রবন্ধ তথা বই লিখতে তিনি অধিকতর উৎসাহী। গবেষণামূলক বইয়ের পাশাপাশি সাধু-মহাপুরুষদের জীবনী-গ্রন্থ, একাঙ্কিকা ইত্যাদি সম্পাদনাও করেছেন তিনি।
ড.বাসুদেব রায়ের বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। হার উল্লেখযোগ্য গবেষণা গুলোর মধ্যে রয়েছে মনসামঙ্গল কাব্যে দেবদেবীর স্বরূপ', চণ্ডীমঙ্গল ও অন্নদামঙ্গল কাব্যে দেবদেবীর স্বরূপ, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে সমাজ-চিত্র ইত্যাদি। তাঁর যৌথ রচনা ও উপেক্ষণীয় নয়।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বাসুদেব রায় নিরলস ভাবে লিখে চলেছেন। এছাড়াও নতুন করে তিনি একক ও যৌথভাবে বেশ কয়েকটি গবেষণামূলক কাজে হাত দিয়েছেন।