অসহায় চিত্রগুপ্ত
তপন চ্যাটার্জী
ছন্দপতন ঘটেছে ,
মহাজাগতিক কাব্যের জাদুকর আজ স্থবির ,
সৃষ্টির আনন্দে নেই উল্লাস
জীবনগানে নেই কোন নান্দনিক অভিমুখ
স্তব্ধ সব কর্মকাণ্ড ।
বিশ্বে এসেছে আজ
আদিতম বহুরূপীর নবীনতম রূপ ,
তার আলিঙ্গনে রয়েছে গূঢ় অভিলাষ ,
সবাই ভীত সন্ত্রস্ত , এবার
কি তবে
এই প্রেমের ফাঁদে পড়ে হবে কণ্ঠরোধ ।
পাষাণ হৃদয়
শোনে না কোন অনুনয় ,
লুণ্ঠিত হয় জীবনের শেষ বিদায়ক্ষণ ,
তুলে নিয়ে চলে যায়
দিগ্বলয় পেরিয়ে বহু দূরে ।
শ্মশানযাত্রীর ক্রন্দনরোলে
বিচলিত হয় স্বর্গের রাজসভার সভাসদ ও নর্তকী ,
চিত্রগুপ্ত অবাক বিস্ময়ে বিহ্বল-
তার চিরায়ত খাতায়
এখন যে ওঠেনি এদের নাম ।
কবি
পরিচিতি-
তপন চ্যাটার্জীর জন্ম কলকাতার উপকণ্ঠে কাঁচরাপাড়ায়। শিক্ষাগত যোগ্যতায় BE(Elect.),MBA এবং সর্বভারতীয় ইঞ্জিনীয়ারিং সারভিস্ পরীক্ষা দিয়ে CEA তে Asstt. Director পদে যোগ দিয়ে ২০০৯ সালে Chief Engineer পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এরপর কয়েক মাস GERC তে Consultant পদে কর্মরত থাকার পর আসাম ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনে (AERC) Member পদে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন।
চাকরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, ব্রিটেন ও সমগ্র পশ্চিম ইউরোপে বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করেছেন। বিভিন্ন টেকনিক্যাল ম্যাগাজিন ও সেমিনারে লেখা প্রকাশিত হয়েছে ও Guest Faculty তে ছিলেন।
সাহিত্যের জগতে তপন চ্যাটার্জী কবিতা ,গল্প ,ভ্রমণ কাহিনী এবং প্রবন্ধ লেখেন ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় এবং একটি কবিতার বই আছে।
একজন বাচিক শিল্পী হিসেবে তপন চ্যাটার্জীর বেশ কয়েকটি আবৃত্তি এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান YouTube এবং Facebook এ আছে ও সমাদৃত হয়েছে।