Advt

Advt

মানুষের তৈরি আশ্চর্য জলপথ - ড. তুষার রায়, Manusher Tairi Ascharya Jalapath by Dr. Tushar Ray, Tatkhanik Bengali Magazine Online Reading Free

 জানা অজানা

Manusher Tairi Ascharya Jalapath by Dr. Tushar Ray,

মানুষের তৈরি

আশ্চর্য জলপথ

ড. তুষার রায়

নতুন দিল্লি

প্রকৃতি তৈরি করে জল,স্থল,আকাশ,মর্ত,পাতাল আর মানুষ তৈরি করে রাজপথ,জনপথ। কিন্তু অধুনা মানুষ প্রয়োজনে আকাশ-পথ এমনকি জলপথও তৈরি করছে। হল্যান্ড দেশে একটা প্রবাদ আছে, “ভগবান সমুদ্র তৈরি করেন আর মানুষ তার থেকে স্থলভাগ ছিনিয়ে নেয়”(“God created the Sea and man made the land”)এইভাবে ওরা অনেক জমি সমুদ্র থেকে কেড়ে নিয়েছে।তাই ওখানের অনেক স্থান সমুদ্র সমতলের নিচে অবস্থিত;এমনকি হল্যান্ডের এয়ার পোর্ট,বিখ্যাত সিফল এয়ারপোর্ট’ (Schiphol Airport)ও সমুদ্র সমতলের নিচে অবস্থিত।ওরা এইসব জমিকে বলে, “পোল্ডার। কখনও সুযোগ হলে এ নিয়ে লিখব আপনাদের জন্য।

কথায় বলে খাল কেটে কুমীর আনা। আমাদের এই আধুনিক যুগে এখন আর কেউ খাল কেটে কুমীর আনেনা-আনে কোটি কোটি ডলার! গল্প কথা নয়- সোল আনা খাটি সত্যি কথা। কলকাতার বুকে (দমদম এয়ার পোর্টের রাস্তায় নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, “কেষ্টপুর খাল’-গ্রামের দিক থেকে কত জিনিষ-পত্র,যেমন,মাটির হাঁড়ি,বাসন,কলসি,খড়-বিচুলি,বাঁশ, পাট-কাঠি,খেজুর গুড়,আখের গুড়,শাক-সবজি অনেক কিছু আসত এক সময়। এখন সেসব কমে গেছে-কেবল বাঁশ আর পোড়া মাটির জিনিষই আসে বেশি। এসব জিনিষ এই পথে কেন আসে? কেননা,জলপথে জিনিষ-পত্র আনা-নেওয়ার খরচ কম। আমাদের এই পৃথিবীতে কয়েকটি মানুষের বানানো বিখ্যাত খাল বা ক্যানেল আছে যাদের থেকে ওই দেশের আমদানি হয় কোটি কোটি ডলার। হ্যাঁ,এই খাল গুলোর প্রধান হল-সুয়েজ খাল আর পানামা খাল। এই দুটি খাল বা ক্যানেলের নাম সবাই জানি আমরা, বার কেউ কেউ দেখেও এসেছি বা জাহাজে বসে পারও করেছি। আর একটি খাল আছে -একটি বাল্টিক সমুদ্র আর উত্তর সমুদ্র বা নর্থ সি’-কে যুক্ত করে। এই ক্যানেলটি অনেক পুরানো;এর খননের কাজ শুরু হয়েছিল ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দে আর ১৮৯৫-তে শেষ হয়। ওই বছর থেকেই সেখানে জাহাজ চলাচল শুরু হয়ে যায়। পরে,১৯০৭ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত, অবশ্য এটিকে অনেক চওড়া করা হয়েছে যার ফলে  বড় বড় জাহাজও চলতে পারে অনায়াসে। বাল্টিক সাগরের কিয়েল বন্দর থেকে শুরু বলে এটিকে বলে কিয়েল ক্যানেল(Kiel Canal) বা জার্মান ক্যানেল। লম্বায় ৯৮.২৬ কিলোমিটারেই কিয়েল খাল জার্মানি আর ডেনমার্কের সীমান্তে জাট-ল্যান্ড উপদ্বীপ ঘুরে ৪৬০ কিলোমিটার রাস্তা কমিয়ে দিয়ে কেবলমাত্র ১০০কিলোমিটার জলপথ বানিয়ে পশ্চিম ইয়োরোপের জাহাজ চলাচলের অনেক সুবিধা করে দিয়েছে। তাই এখন এই জলপথে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জাহাজ চলাচল করে। আর চতুর্থ প্রস্তাবিত থাই ক্যানেলটি তৈরি হচ্ছিল আমাদের খুব কাছে-থাইল্যান্ডে- এটি ক্রা (Kra) ক্যানেল বা ক্রা-ইস্থমাস ক্যানেল নামেও পরিচিত। এই প্রস্তাবিত খালটি গালফ অফ থাইল্যান্ড আর আন্দামান সমুদ্রকে যোগ করবে। প্রস্তাবিত ক্যানেল একশ দুই কিলোমিটার (১০২)লম্বা, ৪০০মিটার চওড়া আর ২৫মিটার গভীর হবার পরিকল্পনা। তাছাড়া যে উপদ্বীপীয় (Peninsula)অঞ্চল খুঁড়ে এই ক্যানেল বানাতে হবে তা দুদিকের সমুদ্র সমতলের অনেক উপরে,তাই এর খরচও অনেক বেশি পড়বে ;জমি খুঁড়ে এত মাটি সরিয়ে কোথায় রাখা হবে, তাছাড়া এই উপদ্বীপীয় অঞ্চল দিয়ে হাতি এবং অন্য বন্য পশুদের যাতায়াতের রাস্তা হবার ফলে পরিবেশ-রক্ষণ-সচেতন গোষ্ঠী (Environmentalist Group) প্রবল বাধার সৃষ্টি করছে। তাই রাজনৈতিক এবং প্রকৃতি-গত কারণে আপাতত এই ক্যানেলের কাজ বন্ধ আছে। এবার আসা যাক পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত আর ব্যস্ত ক্যানেল-সুয়েজ ক্যানেল এর কথায়। আজকের যে সুয়েজ ক্যানেল আমরা দেখি বা জানি তার অনেক অনেক আগে আদিম মিশরীয়রা একটি ছোট ক্যানেল খুঁড়ে রেড সিবা লোহিত সাগরের সংগে ভূমধ্যসাগরের যোগ করে নিয়েছিল। সেটা আজ থেকে ৩০০০ বছরের পুরানো কথা। সেই ক্যানেলটি কিন্তু আজকের সুয়েজ এর মত সোজাসুজি যেত না-সেটি যেত নীল নদ থেকে আজকের তেতো হ্রদ বা বিটার লেক হয়ে লোহিত সাগরে গিয়ে পড়ত। সেকালের রোমান এবং আরব ব্যবসায়ীরাও এই জলপথেই যাতায়াত করতো। পরে অবশ্য এই পথের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আজ থেকে ১৬২বছর আগে ১৮৫৯ খৃষ্টাব্দে ফার্দিনান্দ দে লেসেপস (Ferdinand De Lesseps) নামের এক ফরাসি ইঞ্জিনিয়ার আজকের সুয়েজ ক্যানেল খোঁড়ার পরিকল্পনা করেন ও কাজ শুরু করেন। এই ১৬৪ কিলোমিটার লম্বা, ১৫০ফুট চওড়া আর ২৬.৪ফুট গভীর ক্যানেল তৈরি করতে প্রায় ১০ বছর লেগেছিল। এই ভাবে আটলান্টিক মহাসাগর আর ভারত মহাসাগরের দূরত্ব কমিয়ে দিল ভূমধ্য সাগর,সুয়েজ ক্যানেল আর লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে। সাত হাজার কিলোমিটার দূরত্ব দুর করে দিল সুয়েজ ক্যানেল। যেহেতু ভূমধ্যসাগর আর রেড সির জল একই সমতলে আর মাঝখানের জমিও পাহাড়ি নয় তাই শুধু মাটি খুঁড়েই দুই সমুদ্রের যোগাযোগ সম্ভব হয়েছিল। পরে অবশ্য, বড় বড় জাহাজ যাবার প্রয়োজনে ক্যানেলকে বাড়াতে হয়েছে। এখন এর লম্বা ১৯৩.৩০ কিলোমিটার,২০৫ মিটার চওড়া আর ৭৯.২ফুট গভীর। তবুও তো কয়েক সপ্তাহ আগে আমরা খবরে দেখেছি বা পড়েছি একটা বিশাল জাপানি জাহাজ সুয়েজ ক্যানেলে আটকে পড়ে ছিল প্রায় দশ দিন। এর কারণ জাহাজের মালিকেরা খরচ কমাবার জন্য দিনে দিনে জাহাজের আকার বাড়াচ্ছে। সুয়েজ দিয়ে কত জাহাজ যায় জানেন ? প্রতিদিন কমসে কম ১০৬টি জাহাজ। বছরে গড়ে ১৯ হাজার জাহাজ মোট ১৮টন মাল নিয়ে সুয়েজ দিয়ে আসা-যাওয়া করে। আর এতে কত আয় হয়? পশ্চিমগামী জাহাজ থেকে ৫১০ কোটি ডলার আর পূর্বগামী থেকে ৪৫০কোটি ডলার, মোট ৯৬০ কোটি ডলার প্রতি বছর! একে ৭৫দিয়ে গুণ করলে পাবেন আমাদের টাকায় এই অঙ্ক,আপনারা এই কাজটা করে নেবেন,আমি পারছিনা,আমার মাথা ঘুরছে! সেই তুলনায় পানামা ক্যানেলের আয় অনেক কম-বছরে ২৭০ কোটী ডলার। তার কারণ,একে তো খনিজ কাঁচা তেল আর অন্যান্য মালবাহী জাহাজের সবচেয়ে ব্যস্ত জলপথ হলো সুয়েজ ক্যানেল দিয়ে। আরও একটা বড় কারণ হল পানামা ক্যানেল দিয়ে যেতে গেলে জাহাজের আকার আয়তন সীমিত রাখতে হয়। তাছাড়া সুয়েজের পথে জাহাজ চলাচল সোজা এবং সময়ও কম লাগে। বড় কারণটা একটু পরেই জানতে পারব।

এবারে আসা যাক পানামা ক্যানেলের কথায়। সবাই জানি,পানামা মধ্য-আমেরিকার একটি ছোট দেশ। এককালে ছিল বেশ গরীব। কিন্তু এই ক্যানেল তৈরি ও জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে ওদের গরিবি ঘুচে গেছে।

আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে যেতে হলে আগে দক্ষিণ আমেরিকা ঘুরে যেতে হত -৫০০০কিলোমিটারেরও বেশি জলপথ,সময় লাগত প্রায় ১৫ দিন। এমনকি আমেরিকার এক (পূর্ব) উপকূল থেকে অন্য (পশ্চিম) উপকূলে যেতে হলেও ওই একই জলপথ ব্যবহার করতে হত,অর্থাৎ ১৫ দিনের ব্যাপার। এই অসুবিধা দূর করতে ১৮৮১তে এক ফরাসি কোম্পানি পানামা দেশের সরু উপদ্বীপীয় (Peninsula) অঞ্চলে একটি ৮২ কিলোমিটার লম্বা খাল দিয়ে দুই মহাসাগরের যোগ করার পরিকল্পনা করেন এবং সেই মত কাজ শুরু করেন। কিন্তু ২০ বছরের অধিক কাজ করার পরেও খালের ব্যাপারে বেশিদূর এগোতে পারেনি। তার পরে ছিল ম্যালেরিয়া আর পীত-জ্বর (Yellow fever) এর প্রকোপ। এই দুই অসুখে আর দুর্ঘটনায় প্রায় মোট ২১ হাজার শ্রমিক মারা যায়। জানা যায় প্রায় সাড়ে চার হাজার ভারতীয় শ্রমিকও এই প্রকল্পে প্রাণ দিয়েছিল। অবশেষে, ১৯০৪ সালে আমেরিকা এগিয়ে এলো এই প্রকল্পে। দশ বছর কাজ করার পর ওরা এই ক্যানেল এর কাজ শেষ করল। এই প্রকল্পের সবচেয়ে দূরুহ কাজ ছিল এই যে পানামার উপদ্বীপীয় অঞ্চল (Peninsula) ছিল দুই সমুদ্রের জলের তুলনায় উঁচু আর সেই উচ্চতায় আছে একটি ৮০ কিলোমিটার লম্বা হ্রদ,নাম গাটুন লেক। তার মানে একধারের ১ কিলোমিটার আর অন্য পাড়ের ১ কিলোমিটার খুঁড়লেই সমুদ্র পাওয়া যাবে। বাকি তো লেকের জলই রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, জাহাজকে সমুদ্র-তল থেকে গাটুন লেকের জল পর্যন্ত তোলা হবে কিকরে? এত বড় লিফট তো আর পাওয়া যাবেনা। ভাবতে ভাবতে উপায় বের করল মানুষ। সে এক অভূতপূর্ব ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান গাটুন লেকের দুই প্রান্তে জলে তিনটি করে লক-গেটওয়ালা চেম্বার বানান হল। এক একটি চেম্বার ১০৫০ ফুট লম্বা,১১০ফুট চওড়া। এই লক-চেম্বার গুলোকে মোটা-মোটা পাইপ দিয়ে সংযুক্ত করা হল,আর লাগান হল শক্তিশালী কতকগুলি পাম্প। জাহাজ প্রথমে সমুদ্র থেকে প্রথম চেম্বারে ঢুকলেই সেই চেম্বারের জল পাম্পের সাহায্য খানিকটা উঁচু করা হয়। তারপর, দুই নম্বর চেম্বারের জল নিচু করে জাহাজকে তাতে নেওয়া হয়,এরপর,এই চেম্বারের জলকে উঁচু করে জাহাজকে পরের চেম্বারে চালান করা হয়। এইভাবে শেষ (তৃতীয়) চেম্বারের জল গাটুন লেকের জলের সমতলে আনা হয়। তারপর গাটুন লেকের উপর জাহাজকে দুই পাড় থেকে ছোট ছোট রেল ইঞ্জিন দ্বারা টেনে গাটুন লেকের অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। তারপর আবার একই পদ্ধতিতে চেম্বারের জল নিচু করে তৃতীয় চেম্বারের জল সমুদ্র সমতলে এনে জাহাজ আবার সমুদ্রে ভাসমান হয়ে আপন পথে ভেসে চলে।

Manusher Tairi Ascharya Jalapath by Dr. Tushar Ray,

 
 ওপরের ব্লক ছবিটি (Block Diagram) দেখলে বুঝতে সহজ হয়। ব্যাপারটা অনেকটা আমরা যেভাবে মেট্রো রেল চড়ার জন্য এক এস্কালেটার থেকে অন্য এস্কালেটার চড়ে প্ল্যাটফর্মে উঠে ট্রেন ধরে অন্য স্টেশনে যাই আর পরে গন্তব্য স্টেশনে নেমে এক এস্কালেটর থেকে অন্য এস্কালেটার বেয়ে রাস্তায় নেমে আসি। এইভাবে ৫০০০কিলোমিটার জল-পথ ১৫দিনের পরিবর্তে মাত্র ৯-১০ঘন্টায় অতিক্রম করে জ্বালানী,সময়, কর্মীদের খরচ আর পচন-শীল মালের সুরক্ষা করা হল। এই সাশ্রয়ের জন্য অবশ্য বেশ কিছু শুল্ক দিতে হয় পানামা ক্যানেল কর্তৃপক্ষকে। মোটামুটি, ৯০ ডলার প্রতি কন্টেইনার Container) হিসাবে চার্জ করা হয়। এই হিসাবে ক্যানেল কর্তৃপক্ষ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় করে। এর উপরে আছে ক্রুজ সিপ বা প্যাসেঞ্জার জাহাজের উপর শুল্ক। সেটা হল ১৫০ ডলার প্রতি জন যাত্রী হিসাবে। এই ক্রুজ জাহাজ গুলি বিশাল ১৭-১৮তলা বাড়ির মত হয় আর প্রায় ৬৭০০ যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে। তাহলে বুঝুন এইসব জাহাজ থেকেও কি পরিমাণ শুল্ক আদায় হয়। এইভাবে মোটামুটি জাহাজ-প্রতি ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করে পানামা ক্যানেল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ওদের ক্যানেল চালাবার খরচও কম নয়পানামা ক্যানেল সুষ্ঠুভাবে চালাবার জন্য ৯০০০ লোক দিন-রাত কাজ করে। ওদের ভরণ-পোষণের খরচ তো কম নয়। এবার দেখুন,আগেই জেনেছি পানামা ক্যানেল দিয়ে যেতে গেলে জাহাজের আয়তন সীমিত কেন রাখতে হয়;কারণ, জাহাজ তো লক-গেটের চেয়ে লম্বা-চওড়ায় বড় হলে লক গেট ভেঙে দেবে। তাই,এখান দিয়ে যেতে হলে জাহাজ লম্বায় ১০৫০ফুট আর চওড়ায় ১১০ফুটের কিছু কম হতে হবে। এইসব অসুবিধার জন্য পানামা ক্যানেল অথরিটি সম্প্রতি লক গেট গুলির আকার ও ক্ষমতা দেড় গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এরফলে ২৬জুন ২০১৬ থেকে বাড়তি ক্ষমতা সম্পন্ন পানামা ক্যানেলে এখন অনেক বড় আর ভারী জাহাজ চলাচল করতে সক্ষম। এরফলে তাদের বাৎসরিক আয়ও দেড়গুণ বেড়ে গেছে। এই আর্থিক উন্নতির ব্যাপারটা মাথায় রেখেই পানামার প্রতিবেশী দেশ নিকারাগুয়া চীনের সাহায্যে পানামা খালের উত্তরে আর একটি ক্যানেল বানাবার চেষ্টা করছিল। কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কারণে এখন ওই প্রকল্প বন্ধ আছে। তাই বলেছিলাম-খাল কেটে কুমীর আনা নয়,খাল কেটে ডলার আনা

লেখক পরিচিতি দেয়াল পত্রিকা (হাতে লেখা) দিয়ে শুরু করেছিলেন স্কুলে থাকতেই।পরে কলেজে বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে শুকতারাতে লেখা প্রকাশিত হল- অসীমের অন্বেষণ। এরই মধ্যে ছোট-খাটো পত্র-পত্রিকায় গল্প বেরুতে শুরু হলো।বিজ্ঞান বিষয়ক এবং ইতিহাসের পটভূমিকায় লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হতে লাগল জনপ্রিয় প্রবন্ধ।দেশওয়েব সাইটেও প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় প্রবন্ধ। দিল্লি থেকেনামক দৈনিক ই-পত্রিকায় দুই মাসে তিনটি ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে।পশ্চিম বঙ্গের অনেক ই-ম্যাগে প্রকাশিত আমন্ত্রিত বিশেষ লেখা এবং ছোট গল্প বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছে।করোনা মহামারীর কারণে আর ও কয়েকটি লেখা প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক মাস ধরে । দিল্লি থেকে প্রকাশিত ই-ম্যাগাজিন, “তাৎক্ষণিকএ বিজ্ঞান ভিত্তিক সুখপাঠ্য এবং জনপ্রিয় সাপ্তাহিক কলম জানা-অজানালিখছেন বিগত ছমাস ধরে।এই ম্যাগাজিনেই প্রকাশিত অনেকগুলি ছোটগল্প খুব জনপ্রিয় হয়েছে। তিনটি ছোটগল্প সংকলন হয়েছে এখন পর্যন্ত। দিল্লি থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় কলমের সাত রঙপত্রিকার লেখক এবং একনিষ্ঠ ভাবে জড়িত।

 

Manusher Tairi Ascharya Jalapath by Dr. Tushar Ray,