ডাক এসেছে –
দীনেশ চন্দ্র দাস,নতুন দিল্লি
জাগো জাগো যাত্রী
সুপ্তির দিন গিয়েছে কেটে প্রলয় হয়েছে
শুরু
আকাশে বাতাসে বাজিছে ডমরু গুরু গুরু গুরু।
আষাঢ়ের ঘন মেঘ গলে নামল শ্রাবণের ধারা
ভাটার মুখে নদী ফুলে চলে সাগরে হতে হারা।
জাগো জাগো যাত্রী।
বিপদের রাত্রি
রুদ্র ঈশান উঠেছে মাতিয়া প্রলয়ঙ্কর তালে
ভষ্ম বিভূতি মলিন করিয়া অগ্নি ঠিকরে
ভালে।
রক্ত আঁখি দু’টি ঢুলু ঢুলু পারে না সহিতে দেরি
ত্রিশূল সংঘাতে ছিড়িতে চায় অন্যায়ের
বেড়ি।
বিপদের রাত্রি।
কাল রজনীতে
অত্যাচারী দর্পভরে চড়ে জয়যাত্রার বিজয়
রথে
তােমার ঘর চূর্ণ করে সন্ত্রাসে নামাল পথে।
কিন্তু আত্মদানের প্রত্যয়ে দাঁড়ালে মাথা
তুলে
হলে নির্মম বীর, ভাঙ্গলে ঘুমিয়ে থাকার ভুলে।
কাল রজনীতে।
ঝড় বাদলেতে
দুঃখ যদি অট্টহাসে মাথায় কঠোর বজ্র হানে
হাসি মুখে ধৈর্য ধরে সহ্য করো সবার মানে।
মৃত্যু যদি বঁধুর বেশে বরণ করে সোহাগে হেসে
বলবে হে মরণ এসো তুমি রুক্ষ এলোকেশে।
ঝড় বাদলেতে।
জাগো জাগো যাত্রী
সুপ্তির দিন গিয়েছে কেটে প্রলয়
হয়েছে শুরু
আকাশে বাতাসে বাজিছে ডমরু গুরু গুরু গুরু।
আষাঢ়ের ঘন মেঘ গলে নামল শ্রাবণের
ধারা।
ভাটার মুখে নদী ফুলে চলে সাগরে হতে
হারা।
জাগো জাগো যাত্রী।
কবি পরিচিতি -
স্কুল-কলেজ পেরিয়ে উচ্চশিক্ষা পান আই টি খরগপুর, নেডারল্যান্ডস্ ও জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইউ এস এ -তে । কর্মক্ষেত্র উত্তর প্রদেশ-এর তরাই অঞ্চলের গ্রাম, ভারত সরকার-এর অধীনে অরুণাচল-এ, (শিলং-এ থেকে), উটি (তামিলনাড়ু), দেরাদুন-এ (উত্তরাখণ্ড) , কৃষি এবং পরিবেশ মন্ত্রালয়, দিল্লি-তে।
দিল্লির ৩৪ পল্লীর কালীবাড়ির সাথে যুক্ত আছে বিগত ৩০ বছর ধরে। ১৯৪৮ সাল থেকেই লেখেন কিন্তু প্রথম প্রকাশন ২০১৫-তে। কবিতা , গল্প, ভ্রমণ কাহিনী ও প্রবন্ধ ছাপতে থাকে দিল্লির পত্র-পত্রিকাগুলোতে। কলকাতা এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। প্রথম বই ' অনুভূতি বহুরূপে'। অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে দিল্লিথেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ' কলমের সাথ রঙ' পত্রিকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং উচ্চপদে আছেন।