Advt

Advt

ভ্রমণ - বুদ্ধগয়া, রাজগীর, নালন্দা ও পাওয়াপুরী, পরিব্রাজক, Buddhagaya, Rajgir, Nalanda & Pawapuri by Paribrajak, Tatkhanik Bangla / Bengali Web Magazine

 

ভ্রমণ - বুদ্ধগয়া, রাজগীর, নালন্দা ও পাওয়াপুরী, পরিব্রাজক, Buddhagaya, Rajgir, Nalanda & Pawapuri by Paribrajak, Tatkhanik Bangla / Bengali Web Magazine

থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে

(বুদ্ধগয়া, রাজগীর, নালন্দা ও পাওয়াপুরী)

 

(আপনারা অনেকেই লকডাউন এবং করোনার কারণে ঘরে আবদ্ধ থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন তাই ভাবছেন এবার ভ্যাক্সিনটা এসে গেলেই বেড়িয়ে পড়বেন ঘরের বাইরে। কোথাও একটা যেতেই হবে নয়তো জীবনটা কেমন একঘেয়ে হয়ে উঠেছে। তাই পাঠকদের কথা ভেবে আমরা আমাদের আশেপাশের কিছু জায়গার খোঁজ-খবর নিয়ে হাজির হলাম।

 

আমরা বাঙালিরা তর্ক প্রিয়, আড্ডা প্রিয়, খাদ্য প্রিয়, ভোজন প্রিয়, বাঙালি সাহিত্য প্রিয়, কবিতা প্রিয়, সংস্কৃতি প্রিয়। সবকিছু ছাড়িয়ে বাঙালি হল পর্যটন প্রিয়। প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। পর্যটকেরা চান নতুন নতুন জায়গার সন্ধান, সেখানকার মাটির গন্ধ, গাছ, ফুল, পাতা, ওই অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস ইতাদির স্পর্শ পেতে। সেসব কথা মনে রেখেই তাৎক্ষণিকের এই প্রচেষ্টা।)

সাতদিনের জন্য বর্তমানকে পেছনে ফেলে ইতিহাসের ভেলায় নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে যদি বেড়িয়ে পড়তে পারেন তবে মন্দ কী! সারা সপ্তাহের ক্লান্তিশেষে মন যখন উতলা হয়ে ওঠে, উপলব্ধি করারও অবকাশ পায় না,তখন সহিষ্ণুতা ও শান্তির খোঁজে বুদ্ধগয়া- রাজগীর-নালন্দা ঘুরে আসাই যায়। আজ বিহার রাজ্যের অন্তর্গত হলেও এই সার্কিটের অনেকটা জুড়ে আছে এক সময়ের মগধ, যার আনাচে- কানাচে আছেন বিম্বিসার, অশোক কিংবা হিউ এন সাং। কান পাতলে আজও তাদের পদধ্বনি শোনা যায়, শোনাযায় তথাগত বৃদ্ধ কিংবা মহাবীরের। এ যেন অনন্ত সাগর মাঝে দাও তরী ভাসাইয়া-র মত

বুদ্ধগয়া

একদা নিরঞ্জনা আর আজকের ফল্গু নদীর তীরের বুদ্ধগয়া বৌদ্ধ তথা হিন্দুদেরও তীর্থক্ষেত্র। গয়া থেকে বুদ্ধগয়া প্রায় ১৪ কিলোমিটার। যিশুখ্রিস্টের জন্মের প্রায় ছশো বছর আগে নেপালের লুম্বিনী নগর থেকে এখানে এসেছিলেন তরুণ রাজপুত্র সিদ্ধার্থ। বুদ্ধগয়া তখন উরুবিল্ব নামে এক গ্রাম। নিরঞ্জনা নদীর তীরে এক অশ্বথ গাছের নিচে তপস্যা করতে বসে ৪৯তম দিনে বৈশাখী পূর্ণিমায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন তিনি। এই পিপুল বা অশ্বথ গাছটিই এখন বোধিবৃক্ষ। এই বোধিবৃক্ষকে কেন্দ্র করে ১৮০ ফুট উঁচু ও ৬০ ফুট চওড়া মহাবোধি মন্দির তৈরি করা হয়েছে, যা ভারতীয় স্থাপত্যশৈলীর অপূর্ব নিদর্শন। মন্দিরটিতে সোনার পাতে মোড়া ৮০ ফুট উঁচু ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধমূর্তি আছে। মন্দিরটির গায়ে বিভিন্ন জাতকের কাহিনী অলঙ্কৃত, যা আজও আমাদের মুগ্ধ করে। রত্নাগার নামে আরও একটি ছোট মন্দির আছে। শোনা যায়, সেখানে নাকি বুদ্ধদেব ৭ দিন ধ্যান করেছিলেন। মন্দির দেখার সময় সকাল ৫টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর ২টা থেকে সন্ধে ৭টা। প্রবেশমূল্য ছাড়াও ক্যামেরার চার্জ লাগে। মন্দির চত্বরে স্থানীয় গাইড পাওয়া যায়।

মহাবোধি মন্দিরের ২ কিমি পশ্চিমে সুজাতা দিঘি। স্থানীয় লোকেরা বলেন, সুজাতা এই দিঘির জলে স্নানসেরে পায়েস রান্না করে বুদ্ধদেবকে নিবেদন করতেন। তাঁরই উদ্দেশে নির্মিত হয়েছে সুজাতা মন্দির।

মহাবোধি মন্দির থেকে ৩ কিমি দূরে মুচলিন্ড লেক, যেখানে নাগরাজ মুচলিন্ড ছত্রাকার ফণা বিস্তার করে পদ্মাসনে উপবিষ্ট বুদ্ধদেবকে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করছেন। এই লেকের ধারেই ছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সেকালের মগধ বিশ্ববিদ্যালয়, যা এখন বিপন্ন ও বিধ্বস্ত অবস্থায় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বিরাজ করছে। মহাবোধি মন্দিরের উত্তরে অনিমেষলোচন চৈত্যগৃহ। কথিত আছে, সেখানে দাঁড়িয়ে গৌতম বুদ্ধ বোধিবৃক্ষ দর্শন করতেন। চীন, জাপান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম প্রভৃতি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বৌদ্ধদের জন্য এখানে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন বৌদ্ধবিহার। যেমন চীনা বিহার, তিব্বতি বিহার, জাপানি বিহার ইত্যাদি। জন্মের তাৎপর্য খুঁজে পেতে গৌতম বুদ্ধ সারা জীবন তপস্যা করেছেন। তিনি মনে করতেন জন্মচক্রই দুঃখের কারণ। তাই হয়ত বুদ্ধগয়াতে গেলে মনটা শান্ত হয়ে যায়, অনেকে হয়তো শান্তির মন্ত্রও খুঁজে পান। পড়ন্ত বিকেলের রোদে মন্দির প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ালে মন প্রশান্ত হয়ে যায়। দলাই লামা বছরে অন্তত একবার এখানে আসেন। সে সময় মহাবোধি মন্দিরে শান্তির প্রার্থনা’-র আসর বসে, যা সত্যিই মনোরম। বুদ্ধগয়ার জন্য দুদিন যথেষ্ট। পায়ে হেঁটে বা শদুয়েক টাকায় রিকশা করে দেখে নিতে পারেন এই জনপদ।



রাজগীর

বুদ্ধগয়া থেকে রাজগীর বা রাজগৃহ ৭৮ কিমি। বাসে প্রায় দু ঘণ্টা  সময় লাগে।  বৈভার, বিপুল, রত্নগিরি, উদয়গিরি ও শোন গিরি - এই পাঁচটি পাহাড় নিয়ে মগধরাজ জরাসন্ধের একসময় রাজধানী ছিল এই জনপদ। জনশ্রুতি দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীম ও জরাসন্ধের যুদ্ধ হয় এখানে। সে যুদ্ধে জরাসন্ধের মৃত্যু হয়েছিল। বুদ্ধগয়ায় বোধিপ্রাপ্তির পর তথাগত বুদ্ধ রাজগীরে এসেছিলেন। সে সময়ে তিনি মৌর্য সম্রাট বিম্বিসারকে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করেন। দীর্ঘ ১২ বছর তিনি এখানে কাটান। অন্য দিকে ২৪তম জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীরেরও অনেকটা সময় কেটেছে এখানে। স্থানীয় বিপুল পর্বতে তিনি প্রথম ধর্মসভাও করেছিলেন। রাজগীর সফরে প্রথম গন্তব্য মণিয়ার মঠ বা জরাসন্ধের আখড়া'। এখানে ভীম ও জরাসন্ধের যুদ্ধ হয়েছিল। কাছেই বিম্বিসারের খাজাঞ্চিখানা বা স্বৰ্ণভাণ্ডার। এখানে একটি গুপ্তদ্বার ও তার গায়ে শঙ্খলিপিতে কিছু লেখা আছে, যার পাঠোদ্ধার করা আজও সম্ভব হয়নি। হলে হয়ত বিম্বিসারের ধনসম্পদ খুঁজে পাওয়া যেত। তবে সবার অজান্তে তারও চেয়ে অনেক বেশি সম্পদ যে আপনি মানস কোঠায় লুণ্ঠন করে নিয়ে আসতে পারবেন, তা পরে বুঝতে পারবেন।

রাজগীরের অন্যতম আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য শান্তিস্তুপগৃদ্ধকূট পাহাড়শীর্ষে অবস্থিত। সেখানে ওঠার জন্য রোপওয়ে আছে, যা সকাল ৯টা-১২টা এবং দুপুর ২টা-বিকেল ৫টা চালু থাকে। আমি কয়েকবছর আগে যখন গিয়েছিলাম তখন জনপ্রতি ভাড়া ১০০ টাকা ছিল। এই স্থানের অনুপম স্নিগ্ধতা মনকে প্রশান্ত করে দেয়। কথিত আছে, এখানে প্রতি বর্ষায় বুদ্ধ তাঁর প্রিয় শিষ্যদের উপদেশ দিতেন। সুজাতার হাতের মিষ্টান্ন তিনি নাকি এখানেই গ্রহণ করতেন। বিম্বিসার এখানে দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি রথে চেপে এসে যে জায়গায় নামতেন, তা আজও লোকমুখে রথকে উতোর। নামে পরিচিত। শান্তিস্তুপের শুভ্রতা মনের কালো মেঘ কাটিয়ে দু'দণ্ডের শান্তিতে ভরিয়ে দেবে- এটা হলফ করে বলতে পারি। বিম্বিসারের কারাগারে অজাতশত্রু পিতা বিম্বিসারকে বন্দী। করে রেখেছিলেন। সেই কারাগার থেকে বিম্বিসার গৃদ্ধকূট পাহাড়ে সফররত বুদ্ধকে দেখতে পেতেন। এ ছাড়াও রাজগীরে আছে অজাতশত্রুর তৈরি দুর্গ, যা বর্তমানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়ে ইতিহাসের জীবাশ্ম হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দুর্গটির একটু দূরে এক স্তূপ। আর আছে রাজবৈদ্য জীবকের আমবন। রাজগীরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দর্শণীয় উষ্ণ প্রস্রবণ যাওয়ার পথে দেখে নেওয়া যায় বেণুবন। বিম্বিসারের দান করা এই জমিতে বুদ্ধদেব থাকতেন। উষ্ণ প্রস্রবণটি বৈভব পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত, সপ্তধারা নামেও যার পরিচিতি আছে। প্রাচীরবেষ্টিত এই কুণ্ডে স্নান করা যায় জলে। সালফার থাকায় স্নানে অনেক রোগের নিরাময় ঘটে। তবে ওই কুণ্ড বহু লোকের স্নান করার ফলে অপরিষ্কার থাকতে দেখেছি। সরকার থেকে অবশ্য ওপরে কল লাগিয়ে স্নানের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। যাঁরা ওই কুন্ডে নামতে না চান তারা ওপরের কলগুলোতে সালফারের উষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন।

বৈভব পাহাড়ের সিঁড়ি দিয়ে উঠলে পাহাড়ের মাথায় হিন্দু ও জৈন মন্দির যেমন দেখা যায়, তেমনি একটি ছোট মসজিদের দর্শনও মেলে। এ ছাড়াও রাজগীর শহরে আছে জৈন মন্দির, বার্মিজ মন্দির, বুদ্ধ মন্দির, আনন্দময়ী মায়ের আশ্রম, রামকৃষ্ণ মঠ, ডিয়ার পার্ক, মুসলিম তীর্থ মুকদুমকুণ্ড। ছোট এই শহরটি অতীতকে বুকে নিয়ে আজও হাস্যময়ী। রাজগীর শহর দুদিনে আরামে ঘুরে মহাবোধী মন্দির বেড়ানো যায়। রাজগীর থেকে নালন্দার পথে পড়ে সিলাও গ্রাম। গ্রামটি খাজার জন্য বিখ্যাত। রাজগীর দেখুন টাঙ্গাতে। অন্য সব জায়গায় যখন ঘোড়ায় টানা এই গাড়ি বাতিলের দলে, তখন আজও রাজগীরে নিজের ছন্দে শহরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। টাঙ্গা। একটা টাঙ্গায় সর্বাধিক পাঁচজন বসতে পারবেন।

নালন্দা

রাজগীর থেকে ১৫ কিমি দূরে ভারত তথা এশিয়ার এককালের সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য স্মারক'। বিশ্বের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা। বলা হয়, মৌর্য সম্রাট অশোক খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দে নালন্দাতে প্রথম বৌদ্ধ উপাসনালয় গড়ে তোলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে আরও অনেক পরে, কুমারগুপ্তের হাত ধরে ৪১৩ খ্রিস্টাব্দে। ৬৩৭ সালে চীনা পরিব্রাজক হিউ এন সাং বুদ্ধগয়া থেকে নালন্দায় আসেন। তদানীন্তন আচার্য শীলভদ্রের অধীনে তিনি ৫ বছর ধরে বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন এবং ব্যাকরণ, তর্কশাস্ত্র, সংস্কৃত ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। তাঁর ভ্রমণ কাহিনী থেকে সে সময়ের অনেককিছু তথ্য পাওয়া যায়। দ্বাদশ শতাব্দীতে তুর্কি সেনাবাহিনী এই বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে। প্রায় ১৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে নালন্দার ধংসাবশেষ ঘুরে দেখতে দেখতে সেদিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্বকে অনুভব করা যায়। বিভিন্ন মুদ্রায় বৌদ্ধমূর্তি, ছাত্রাবাস, প্রার্থনাস্থান ঘুরে ঘুরে দেখতে বেশ ভাল লাগে। ছোট থেকে যে ভগ্নস্তূপের চিত্র ইতিহাস বইয়ের পাতায় দেখে এসেছি, তাকে স্পর্শ করে দেখার আনন্দই আলাদা।

২০১০ সালে ভারতীয় সংসদ একটি বিলে নালন্দাকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয়। প্রতিষ্ঠানের প্রথম আচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ৮০০ বছরেরও বেশি সময় পরে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর ১৫ জন ছাত্রছাত্রী ও ১১ জন শিক্ষক নিয়ে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করে। আজকের বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে গড়ে উঠেছে বাগান, মনুমেন্ট, নবনালন্দা মহাবিহার ও আর্ট গ্যালারি। ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা সামগ্রী নিয়ে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক মিউজিয়ামও গড়ে তোলা হয়েছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা-বিকেল ৫টা খোলা। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১৫ টাকা। ১৫ বছরের নিচে বাচ্চাদের প্রবেশমূল্য লাগে না। এখানে হিউ এন সাং-এর স্মৃতিরক্ষায় হিউ এন সাং মেমোরিয়াল প্রতিষ্ঠা করা অন্যান্য। নালন্দা থেকে ২ কিমি উত্তরে সুরজপুর-বাড়গাঁও গ্রামে সূর্যমন্দির ও একটি লেক আছে। উৎসুক সফরপিপাসুরা তা অনায়াসেই দর্শন করতে পারেন। কার্তিক মাসে ছট পুজো উপলক্ষে এখানে বড় মেলা বসে।

পাওয়াপুরী

পাওয়াপুরী নালন্দা থেকে ১৮ কিমি দূরে পাওয়াপুরী। জৈন তীর্থক্ষেত্রগুলির মধ্যে পাওয়াপুরী অন্যতম। এখানকার জলমন্দির খুবই পবিত্র স্থান। এটি পদ্ম ফুলের সরোবরের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। শ্বেত মার্বেল পাথরের মন্দিরটিকে ঘিরে পদ্মফুল ও নানা রঙের পাখিরা মেলা বসিয়ে দেয়, যা মনে অনাবিল আনন্দ আনে। এ ছাড়া পাওয়াপুরীতে গুৰ্গস্থান মন্দির, গৌণ মন্দির, নয়া মন্দির, সমাশরুণ মন্দির আছে। অন্যান্য নালন্দা ও পাওয়াপুরী ঘুরে রাজগীর ফিরে ২৫ কিমি দূরে বিহার শরিফের মকদুম শা শরিফউদ্দিনের দরগা ঘুরে নিতে পারেন, যা ভারতীয় সহিষ্ণুতার অপর নিদর্শন সুফি সংস্কৃতিকে বহন করে নিয়ে চলেছে।